জগা খিচুড়ির ঐক্য দিয়ে নির্বাচনে জয় হবে না: কাদের
বিএনপির জগা খিচুড়ির ঐক্য দিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘গতবার ঐক্যের যে পরিণতি হয়েছে, এবারও সেই পরিণতি আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই বাংলার মাটিতে, মুক্তিযুদ্ধের মাটিতে বাংলাদেশ বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী যে চেতনার শক্তি জগা খিচুড়ির ঐক্য করে, সেই ঐক্য দিয়ে নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের দেশে জয়লাভ করা যাবে না।’
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক একথা বলেন। তিনি তার বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে, আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ স্বাধীনতার আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে তৃণমূলের কর্মী-বাহিনীকে বাঁচাতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, অনেক সংগ্রামের পর আমরা এখানে এসেছি। যারা ইতিহাসের অবাঞ্ছিত সত্যের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। তাদের স্বরূপ উন্মোচিত করতে হবে। মির্জা ফখরুল যখন বলে পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম। তাহলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার মাস্টার মাইন সেটাও কি সত্য? বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জিয়াউর রহমারন পুরস্কৃত করেছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি আইন সংবিধানে সংযুক্ত হয়েছে। ফখরুলের কথায় প্রমাণ করে দিচ্ছে বিএনপির রাজনীতি পাকিস্তানি ভাব ধারার রাজনীতি। বিএনপির রাজনীতি দ্বিজাতি তত্ত্বের রাজনীতি। বিএনপির রাজনীতি সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি। বিএনপির রাজনীতি সন্ত্রাসের রাজনীতি। বিএনপির রাজনীতি শুধু বাংলাদেশ নয় জেনেভার আদালত বিএনপিকে স্বীকৃতি দিয়েছে সন্ত্রাসী দল হিসেবে। কোন মুখে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী বলেন? আপনার দল দেশে-বিদেশে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল আর আপনি পাকিস্তান প্রীতি দেখিয়ে আবার প্রমাণ করলেন আপনার দল সাম্প্রদায়িক দল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যদি কোন দিন ক্ষমতায় যেতে পারে এদেশকে আবার পাকিস্তানি ধারায় এগিয়ে যাবে। সেটাই আপনাদের টার্গেট। বিএনপি ঐক্যের নামে টালবাহানা করছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে জোট করছেন। এই বাংলার মাটিতে মুক্তিযুদ্ধের মাটিতে বাংলাদেশ বিরোধী মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী যে চেতনার শক্তি জগা খিচুড়ির ঐক্য করে, সেই ঐক্য দিয়ে নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের দেশে জয়লাভ করা যাবে না। এই মুক্তিযুদ্ধের দেশে স্বাধীনতার আদর্শের দেশে বঙ্গবন্ধু কন্যার শেখ হাসিনা উন্নয়ন অর্জনের যে পথ রচনা করেছেন, উন্নয়নশীল বাংলাদেশে করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যারই বিজয় হবে। আগামী নির্বাচনেও নৌকা বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে।
দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি আস্থা রাখুন। সংকটে সব কিছু সামাল দিচ্ছেন। অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। আমরা সংকট থেকে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছি। সংকট সামাল দেওয়ার হন্য যা যা করার সব কিছুই করব। অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। আস্থা রাখুন বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি। ভয় করার কিছু নেই, জয় আমাদের হবেই। ভয় তাদের করে যাদের জনগণের উপর আস্থা নেই, তারাই নির্বাচনে যেতে ভয় পায়, তারাই এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। এটা তো মিউজিয়ামে চলে গেছে উচ্চ আদালতের নির্দেশে। তত্ত্বাবধায়ক চান, সেটা আর আসবে না।
এসএম/এএস