ভবিষ্যৎ নির্বাচনে কে কোথায় থাকবে সময় বলে দেবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সময় আসলে বলতে হবে। নির্বাচন যখন আসবে…হ্যাঁ আমরা ১৪ দল করেছি, আমরা জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করেছি। জাতীয়পার্টি আমাদের সঙ্গে ছিল কিন্তু তারা আলাদা নির্বাচন করেছে। কিন্তু আমাদের সঙ্গে একটা সমঝোতা ছিল। আর ভবিষ্যত নির্বাচনে কে কোথায় থাকবে সেটা সময়ই বলে দেবে।
আর আওয়ামী লীগ উদার মনে কাজ করে। আওয়ামী লীগের দরজা খোলা। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে আমরা সরকারে আসার পর বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে পেরেছি। যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ,গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া, দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। সার্বিক দিক থেকে অর্থনৈতিক দিক, কর্মসংস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্য,ব্যাংক, বীমা, শিল্পকারখানা, সবকিছু করে দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, এতো কাজ করার পর যদি দেশের মানুষ চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় তাহলে অবশ্যই তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে। না চাইলে তো কিছু করার নাই। সেটা তো জনগণের ইচ্ছা।
সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে যারা সব সময় আমাদের সঙ্গে ছিল তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে। আর নমিনেশনের বিষয়ে পরিবর্তন যেটা, সেটা তো খুবই স্বাভাবিক বিষয়। ক্ষেত্র মত আমরা অবশ্যই দেখব যার জিতার সম্ভাবনা আছে, কার নেই সবকিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। অথবা যারা বয়োবৃদ্ধ হয়ে গেছেন তাদেরকে আর কষ্ট দিতে চাই না। এখনও নির্বাচনের এক বছরের বেশি সময় বাকি আছে। সময় যত যাবে ততোই সবকিছু পরিস্কার হবে।
তিনি বলেন, আর জোটে কে থাকবে বা না থাকবে বা নতুন জোট হবে, হোক অসুবিধা নেই। সবাই নির্বাচনে অংশ নিক সেটাই আমরা চাই। আর যদি কেউ না করে সেটা যার যার দলের বিষয়। এখানে সংবিধান তো আমরা বন্ধ করে রাখতে পারি না। সংবিধানের যে ধারা সে অনুযায়ী গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক। তিন টার্ম আওয়ামী লীগ একটানা ক্ষমতায় আছে বলে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। ভুলে গেছেন ৭৫ এ জাতির পিতা হত্যার পর বার বার ক্যু হচ্ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা বলি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে কেউ এতো কথা বলার সুযোগ পেয়েছে বলেন তো? সুযোগ পায়নি। একটা টেলিভিশন, একটা রেডিও। কোথাও টকশো করার সুযোগ পায়নি। আজকে রাস্তায় আন্দোলন হয়। কিন্তু জনগণ সাড়া না দিলে তো সেটা আমাদের …।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তো বিএনপির হাতে নির্যাতিত। সেই কথাটা ভুলে গেছেন। সেই জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করল, তারপর একের পর এক। লাশ টানতে টানতে আর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের চিকিৎসা করতে করতে নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, আমার পার্টির কেউ যদি অন্যায় করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। যে অন্যায় করবে তাকে শাস্তি পেতে হবে।
এনএইচবি/এএস