রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আন্দোলন করুক কাউকে গ্রেপ্তার নয়: প্রধানমন্ত্রী

বিরোধী দলের আন্দোলনে বাধা না দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমি আজকেও নির্দেশ দিয়েছি, তারা আন্দোলন করতে চায় করুক। খবরদার কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়। প্রধানমন্ত্রীর অফিস ঘেরাও করবে? আমি বলেছি হ্যাঁ আসতে দাও।’

রবিবার (১৪ আগস্ট) গণভবনে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সরকার প্রধান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিয়েছি খবরদার কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, কোনো ডিস্টার্ব করা না হয়। তারা আন্দোলন করতে চায় করুক অসুবিধা কী? আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছি দেশের কাজ করতে দেশের মানুষ তো সেটা জানে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের কষ্ট যে আমরা বুঝি না তা নয়। আমাদের বিরোধীরা সুযোগ পাচ্ছে তারা আন্দোলন করবে করুক। আমি নির্দেশ দিয়েছি; তারা আন্দোলন করতে চায় করুক, খবরদার কাউকে যেন অ্যারেস্ট করা না হয়। প্রধানমন্ত্রীর অফিস ঘেরাও করবে আমি বলেছি হ্যাঁ আসতে দাও। আমি বলে দিয়েছি খবরদার কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, কোন ডিস্টার্ব করা না হয়। তারা আন্দোলন করতে চায় করুক। অসুবিধা কী? আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছি দেশের কাজ করতে, দেশের মানুষ তো সেটা জানে। নানা কথা বলে সুযোগ যখন পাচ্ছে তারা কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে। তারা যদি বেশি করতে যায় এর প্রভাবে মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে। এটাও তাদের বোঝা উচিত। তাতে কিন্তু মানুষের কষ্ট বাড়বে। আন্দোলন করে কতটুকু সফল হবে সেটা জানি না। কিন্তু তারা যেভাবে করতে চাচ্ছে তাতে দেশের জন্য আরও ক্ষতি হবে। কিন্তু আমরা সেটা সামাল দিতে পারব সে বিশ্বাস আমার আছে।

তিনি বলেন, যখনই বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমবে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করব, সেই নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। সেটা আমরা করে দিচ্ছি। মানুষের কিছুদিন কষ্ট করতে হবে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যখন চালু হয়ে যাবে তখন বিদ্যুতের সমস্যাটা অনেকটা দূর হবে। আমরা যে ওয়াদা দিয়েছিলাম সেগুলো করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, একটা শ্রেণি সব সময় রয়েছে যেন এদেশের মানুষের কল্যাণ হোক; এটা তারা চায়ই না। অর্থাৎ স্বাধীনতাটা অর্থবহ হোক, স্বাধীনতার সুফল বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছাক এখানে একটা বাধা দেওয়ার প্রচেষ্টা সব সময় ছিল। সেজন্য যখনই মানুষ একটু ভালো থাকে তখনই যেন চক্রান্ত, ষড়যন্ত্রটা শুরু হয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মনে হয় এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ যদি অবদান রাখতে যায় তাকে বোধ হয় বিপর্যয়ে পড়তে হয়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এটাই হচ্ছে আমাদের জন্য সব থেকে দুর্ভাগ্যের যখনই এই দেশের মানুষ একটু ভালো থাকে বা ভালো অবস্থায় আসে তখনই যেন চক্রান্ত ষড়যন্ত্রটা শুরু হয়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ, একটি প্রদেশ, সেই প্রদেশকে রাষ্ট্রে উন্নীত করা এবং বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হাতে সময় পেলেন মাত্র সাড়ে ৩ বছর। কোনো সম্পদ ছিল না। তিনি শুধু বলেছেন আমার মাটি আর মানুষ হচ্ছে আমার সম্পদ। এই মাটি আর মানুষের উপর নির্ভর করে মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে সেই বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করে দিয়ে যান। এবং তার লক্ষ্য ছিল ঘুণে ধরা সমাজ ভেঙে একটা নতুন সমাজ দেবেন। উপনিবেশিক শাসনামলের কাঠামো ভেঙে গণমুখী প্রশাসনিক কাঠামো তিনি করতে চেয়েছিলেন। গণমুখী প্রশাসনিক কাঠামো করতে যেয়ে বিরাট পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। গণমুখী প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলে ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূলের মানুষের কাছে ক্ষমতা নিতে চেয়েছিলেন। সেজন্য বাংলাদেশকে প্রত্যেকটা মহকুমায় রূপান্তর করলেন। এক একটা জেলার উন্নয়নটা যেন ওই জেলা ভিত্তিক হয়, যাতে মানুষের দুঃখ দুর্দশা দূর হয় আর্থ সামাজিক উন্নতি হয় সেই পদক্ষেপটাই তিনি নিলেন। দ্বিতীয় বিপ্লবের যে ডাক দিলেন সেটার লক্ষ্যই ছিল জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা। উৎপাদন বৃদ্ধি করা আর্থ সামাজিক উন্নতি করা।

সরকার প্রধান বলেন, যখনই দুর্যোগ দুর্বিপাক প্রাকৃতিক দুর্যোগ যাই আসুক আওয়ামী লীগ বা আমাদের সহযোগী সংগঠন সব সময় সজাগ থাকে। মানুষের পাশে সকলের আগে দাঁড়ায়। সংগঠনকে সুসংহত করাই আমাদের লক্ষ্য। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত আমাদের মেয়াদকাল যখন শেষ হয়ে যায় তখন আমরা কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তর করে চলে আসি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এপর্যন্ত আর কখনই এ রকম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা পরিবর্তন হয়নি। প্রতিবারই এক একটা ঘটনার মধ্য দিয়ে ঘটেছে, এটা সকলের মাথায় রাখতে হবে। একটি বার শুধু যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তখন শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, নীতিতে বিশ্বাস করে। জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। সেজন্য ওই একবারই শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে। তারপরের ইতিহাস সবার জানা আছে। ২০০১ সালের নির্বাচন আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা। সংখ্যা লঘুদের উপর অত্যাচার সেখানে হিন্দু খ্রিস্টান কেউ তো বাদ যায়নি। ২০০১ সালের নির্বাচনের চিত্র সবার মনে আছে। বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ বোমা হামলা। ১৫ আগস্টের খুনিদের জিয়াউর রহমান শুধু ইনডেমনিটি দিয়ে দূতাবাস চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে তা তো না। এরপর এরশাদ এসে খুনি ফারককে প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যান্ডিডেট করল। খালেদা জিয়া এসে আরও এক ধাপ উপরে রশীদ, ফারুক, হুদা ৩ জনকে নমিনেশন দেয়। ফারককে জেতাতে চেষ্টা করেছিল কিন্তু নওগাঁয় সেটা পারে নাই। হুদা আর রশীদকে পার্লামেন্টে বসালো, শুধু তাই না খুনি রশীদকে সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার চেয়ারে বসালো। এদের সঙ্গে খুনিদের সৌহার্দ্য কত সেটা মানুষের জানা উচিত। সেই খুনিদের পুরস্কৃত করার মানে কী? ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে এদের যে সম্পৃক্ততা জিয়াউর রহমানের যে সম্পৃক্ততা এবং ইনডেমনিটি দিয়ে বিচার হবে না। আমি বা আমরা যারা ১৫ আগস্ট স্বজন হারিয়েছি আমাদের বিচার পাবার অধিকার ছিল না, মামলা করার অধিকার ছিল না এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে অর্থাৎ বিচারহীনতার একটা সংস্কৃতি এই দেশে চালু করে দিয়েছিল। আমার অবাক লাগে যখন কেউ মারা গেলে বিচার চায়। আমার তো ৩৫ বছর সময় লাগছে বিচার পেতে। আমার বাবা, মা, ভাই সব হারানোর পর বিচার চাইতে পারিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি। তারা আমাদের বার বার ভোট দিয়েছে। তৃতীয় দফায় এক টানা ক্ষমতায়। আজকে দারিদ্রের হার কমে গেছে, মানুষের পুষ্টির নিশ্চয়তা আমরা করছি। খাদ্য নিরাপত্তা করতে পেরেছি স্বাক্ষরতার হার বেড়ে গেছে, মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়েছে শিশু মৃত্যু হার কমেছে। মাতৃ মৃত্যু হার কমেছে।

চলমান সংকট নিয়ে বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এই যুদ্ধে স্যাংশন পাল্টা স্যাংশন। আমেরিকা স্যাংশন দিল রাশিয়াকে শায়েস্তা করার জন্য কিন্তু শায়েস্তা হচ্ছে সাধারণ মানুষ। আমাদের দেশ না ইউরোপ আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে সকল মহাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সব জিনিসের উপর এর একটা প্রভাব পড়েছে। স্যাংশন দিয়ে লাভটা কী হল? লাভ আমেরিকা রাশিয়ার হয়েছে। কারণ রুবালের দাম বাড়ছে এদিকে ডলারের দাম বেড়েছে। সারা বিশ্বব্যাপী রুবাল আর ডলারের দাম বাড়ছে আর মরছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ যারা। মধ্যবিত্তদের জন্য চরম দুর্ভোগ এটা আমার দেশ বলে না। ইউরোপ আমেরিকা সব জায়গায় এই অবস্থার সৃষ্টি। স্যাংশন পাল্টা স্যাংশন আর এই যুদ্ধ যেটা মানুষের জীবনে সর্বনাশটা টেনে আনে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটা আমরা উপলব্ধি করতে পারি। কষ্ট লাঘবের জন্য কী কী করা যায় আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আমাদের কিছু লোক তো থাকে অপ্রয়োজনে জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়, ছুতা ধরে। সেটা হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায়। হঠাৎ এত দাম তো বাড়ার কথা নয় প্রত্যেক জিনিসের। তবে আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে।

এসএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে সাত দিন ধরে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে এই জঘন্য ঘটনাটি সংঘটিত হয়।

অভিযোগ, মাদক মিশ্রিত পানীয় খাইয়ে ২৩ জন যুবক ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে, এবং বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

নির্যাতিতা তরুণী একটি ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং নিয়মিত দৌড়ের অনুশীলনের জন্য বারাণসীর ইউপি কলেজে যেতেন। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে পিশাচমোচন এলাকার একটি হুক্কা বারে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন যুবক ছিলেন। তরুণীর অভিযোগ, কথোপকথনের সময় একজন যুবক তাঁর পানীয়তে গোপনে মাদক মিশিয়ে দেয়। মাদকের প্রভাবে তিনি প্রায় অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর অভিযুক্তরা তাঁকে সিগ্রা এলাকার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে সাত দিন ধরে একের পর এক ধর্ষণ করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন তরুণীর পূর্বপরিচিত ছিলেন, যার মধ্যে তাঁর সামাজিক মাধ্যমের বন্ধু এবং সহপাঠীরাও রয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে তরুণী নিখোঁজ ছিলেন। ৪ এপ্রিল তাঁর খোঁজ মেলে, এবং ৬ এপ্রিল তাঁর পরিবার থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে ছয়জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া, হুক্কা বারের কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

এই ঘটনা বারাণসীসহ গোটা উত্তরপ্রদেশে ব্যাপক ক্ষোভ ও শোকের সৃষ্টি করেছে। নির্যাতিতার পরিবার ন্যায়বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে, এবং এই মামলায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ।

তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে বরুণা এলাকার ডিসিপি চন্দ্রকান্ত মীনা বলেন, ‘‘তরুণী প্রথমে স্বেচ্ছায় তাঁর বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিলেন। কিন্তু বন্ধুরাই তাঁকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। ৪ এপ্রিল তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়। এর পর ৬ এপ্রিল লালপুর থানায় অভিযোগ করেন নির্যাতিতা।’’ অভিযোগের ভিত্তিতে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরামপুরে পিকআপভ্যানের ধাক্কায় হাসান আলী (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নাঈম হোসেন নামে আরও এক যুবক।

দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পল্লবী (দোয়েল মোড়) এলাকায়।

নিহত হাসান আলী পৌর শহরের থানাপাড়া (লিচু বাগান) এলাকার বাসিন্দা মিলন হোসেনের ছেলে। সে এবার আমানুল্লাহ স্কুল থেকে এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল বলে জানিয়েছেন স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমিনুর ইসলাম।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে মোটরসাইকেলে করে হাসান আলী ও তার বন্ধু নাঈম শহরে ঘুরতে বের হয়। তারা যখন পল্লবী মোড় এলাকায় পৌঁছায়, ঠিক তখন গোবিন্দগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি মালবাহী পিকআপ তাদের মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে হাসান আলী রাস্তায় ছিটকে পড়ে এবং পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়।

স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাহাজুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহত নাঈম হোসেন পৌর শহরের একই এলাকার নিয়ামত হক ভোলার ছেলে বলে জানা গেছে।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তরুণ শিক্ষার্থী হাসানের অকাল মৃত্যুতে সহপাঠী ও শিক্ষকদের মাঝে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী হাফিজুর রহমান মিঠু। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নাশকতার অভিযোগে ডেভিল হান্টের অভিযানে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সক্রিয় যুবলীগ কর্মী হাফিজুর রহমান মিঠুকে গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।

রবিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মধুপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ভূঞাপুর পৌর শহরের ঘাটান্দি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, মধুপুর থানায় নাশকতার মামলায় ওই যুবলীগ কর্মীকে গ্রেফতারের পর মধুপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর