রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আন্দোলন করুক কাউকে গ্রেপ্তার নয়: প্রধানমন্ত্রী

বিরোধী দলের আন্দোলনে বাধা না দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমি আজকেও নির্দেশ দিয়েছি, তারা আন্দোলন করতে চায় করুক। খবরদার কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়। প্রধানমন্ত্রীর অফিস ঘেরাও করবে? আমি বলেছি হ্যাঁ আসতে দাও।’

রবিবার (১৪ আগস্ট) গণভবনে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সরকার প্রধান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিয়েছি খবরদার কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, কোনো ডিস্টার্ব করা না হয়। তারা আন্দোলন করতে চায় করুক অসুবিধা কী? আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছি দেশের কাজ করতে দেশের মানুষ তো সেটা জানে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের কষ্ট যে আমরা বুঝি না তা নয়। আমাদের বিরোধীরা সুযোগ পাচ্ছে তারা আন্দোলন করবে করুক। আমি নির্দেশ দিয়েছি; তারা আন্দোলন করতে চায় করুক, খবরদার কাউকে যেন অ্যারেস্ট করা না হয়। প্রধানমন্ত্রীর অফিস ঘেরাও করবে আমি বলেছি হ্যাঁ আসতে দাও। আমি বলে দিয়েছি খবরদার কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, কোন ডিস্টার্ব করা না হয়। তারা আন্দোলন করতে চায় করুক। অসুবিধা কী? আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছি দেশের কাজ করতে, দেশের মানুষ তো সেটা জানে। নানা কথা বলে সুযোগ যখন পাচ্ছে তারা কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে। তারা যদি বেশি করতে যায় এর প্রভাবে মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে। এটাও তাদের বোঝা উচিত। তাতে কিন্তু মানুষের কষ্ট বাড়বে। আন্দোলন করে কতটুকু সফল হবে সেটা জানি না। কিন্তু তারা যেভাবে করতে চাচ্ছে তাতে দেশের জন্য আরও ক্ষতি হবে। কিন্তু আমরা সেটা সামাল দিতে পারব সে বিশ্বাস আমার আছে।

তিনি বলেন, যখনই বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমবে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করব, সেই নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। সেটা আমরা করে দিচ্ছি। মানুষের কিছুদিন কষ্ট করতে হবে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যখন চালু হয়ে যাবে তখন বিদ্যুতের সমস্যাটা অনেকটা দূর হবে। আমরা যে ওয়াদা দিয়েছিলাম সেগুলো করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, একটা শ্রেণি সব সময় রয়েছে যেন এদেশের মানুষের কল্যাণ হোক; এটা তারা চায়ই না। অর্থাৎ স্বাধীনতাটা অর্থবহ হোক, স্বাধীনতার সুফল বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছাক এখানে একটা বাধা দেওয়ার প্রচেষ্টা সব সময় ছিল। সেজন্য যখনই মানুষ একটু ভালো থাকে তখনই যেন চক্রান্ত, ষড়যন্ত্রটা শুরু হয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মনে হয় এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ যদি অবদান রাখতে যায় তাকে বোধ হয় বিপর্যয়ে পড়তে হয়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এটাই হচ্ছে আমাদের জন্য সব থেকে দুর্ভাগ্যের যখনই এই দেশের মানুষ একটু ভালো থাকে বা ভালো অবস্থায় আসে তখনই যেন চক্রান্ত ষড়যন্ত্রটা শুরু হয়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ, একটি প্রদেশ, সেই প্রদেশকে রাষ্ট্রে উন্নীত করা এবং বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হাতে সময় পেলেন মাত্র সাড়ে ৩ বছর। কোনো সম্পদ ছিল না। তিনি শুধু বলেছেন আমার মাটি আর মানুষ হচ্ছে আমার সম্পদ। এই মাটি আর মানুষের উপর নির্ভর করে মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে সেই বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করে দিয়ে যান। এবং তার লক্ষ্য ছিল ঘুণে ধরা সমাজ ভেঙে একটা নতুন সমাজ দেবেন। উপনিবেশিক শাসনামলের কাঠামো ভেঙে গণমুখী প্রশাসনিক কাঠামো তিনি করতে চেয়েছিলেন। গণমুখী প্রশাসনিক কাঠামো করতে যেয়ে বিরাট পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। গণমুখী প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলে ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূলের মানুষের কাছে ক্ষমতা নিতে চেয়েছিলেন। সেজন্য বাংলাদেশকে প্রত্যেকটা মহকুমায় রূপান্তর করলেন। এক একটা জেলার উন্নয়নটা যেন ওই জেলা ভিত্তিক হয়, যাতে মানুষের দুঃখ দুর্দশা দূর হয় আর্থ সামাজিক উন্নতি হয় সেই পদক্ষেপটাই তিনি নিলেন। দ্বিতীয় বিপ্লবের যে ডাক দিলেন সেটার লক্ষ্যই ছিল জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা। উৎপাদন বৃদ্ধি করা আর্থ সামাজিক উন্নতি করা।

সরকার প্রধান বলেন, যখনই দুর্যোগ দুর্বিপাক প্রাকৃতিক দুর্যোগ যাই আসুক আওয়ামী লীগ বা আমাদের সহযোগী সংগঠন সব সময় সজাগ থাকে। মানুষের পাশে সকলের আগে দাঁড়ায়। সংগঠনকে সুসংহত করাই আমাদের লক্ষ্য। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত আমাদের মেয়াদকাল যখন শেষ হয়ে যায় তখন আমরা কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তর করে চলে আসি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এপর্যন্ত আর কখনই এ রকম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা পরিবর্তন হয়নি। প্রতিবারই এক একটা ঘটনার মধ্য দিয়ে ঘটেছে, এটা সকলের মাথায় রাখতে হবে। একটি বার শুধু যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তখন শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, নীতিতে বিশ্বাস করে। জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। সেজন্য ওই একবারই শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে। তারপরের ইতিহাস সবার জানা আছে। ২০০১ সালের নির্বাচন আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা। সংখ্যা লঘুদের উপর অত্যাচার সেখানে হিন্দু খ্রিস্টান কেউ তো বাদ যায়নি। ২০০১ সালের নির্বাচনের চিত্র সবার মনে আছে। বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ বোমা হামলা। ১৫ আগস্টের খুনিদের জিয়াউর রহমান শুধু ইনডেমনিটি দিয়ে দূতাবাস চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে তা তো না। এরপর এরশাদ এসে খুনি ফারককে প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যান্ডিডেট করল। খালেদা জিয়া এসে আরও এক ধাপ উপরে রশীদ, ফারুক, হুদা ৩ জনকে নমিনেশন দেয়। ফারককে জেতাতে চেষ্টা করেছিল কিন্তু নওগাঁয় সেটা পারে নাই। হুদা আর রশীদকে পার্লামেন্টে বসালো, শুধু তাই না খুনি রশীদকে সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার চেয়ারে বসালো। এদের সঙ্গে খুনিদের সৌহার্দ্য কত সেটা মানুষের জানা উচিত। সেই খুনিদের পুরস্কৃত করার মানে কী? ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে এদের যে সম্পৃক্ততা জিয়াউর রহমানের যে সম্পৃক্ততা এবং ইনডেমনিটি দিয়ে বিচার হবে না। আমি বা আমরা যারা ১৫ আগস্ট স্বজন হারিয়েছি আমাদের বিচার পাবার অধিকার ছিল না, মামলা করার অধিকার ছিল না এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে অর্থাৎ বিচারহীনতার একটা সংস্কৃতি এই দেশে চালু করে দিয়েছিল। আমার অবাক লাগে যখন কেউ মারা গেলে বিচার চায়। আমার তো ৩৫ বছর সময় লাগছে বিচার পেতে। আমার বাবা, মা, ভাই সব হারানোর পর বিচার চাইতে পারিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি। তারা আমাদের বার বার ভোট দিয়েছে। তৃতীয় দফায় এক টানা ক্ষমতায়। আজকে দারিদ্রের হার কমে গেছে, মানুষের পুষ্টির নিশ্চয়তা আমরা করছি। খাদ্য নিরাপত্তা করতে পেরেছি স্বাক্ষরতার হার বেড়ে গেছে, মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়েছে শিশু মৃত্যু হার কমেছে। মাতৃ মৃত্যু হার কমেছে।

চলমান সংকট নিয়ে বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এই যুদ্ধে স্যাংশন পাল্টা স্যাংশন। আমেরিকা স্যাংশন দিল রাশিয়াকে শায়েস্তা করার জন্য কিন্তু শায়েস্তা হচ্ছে সাধারণ মানুষ। আমাদের দেশ না ইউরোপ আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে সকল মহাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সব জিনিসের উপর এর একটা প্রভাব পড়েছে। স্যাংশন দিয়ে লাভটা কী হল? লাভ আমেরিকা রাশিয়ার হয়েছে। কারণ রুবালের দাম বাড়ছে এদিকে ডলারের দাম বেড়েছে। সারা বিশ্বব্যাপী রুবাল আর ডলারের দাম বাড়ছে আর মরছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ যারা। মধ্যবিত্তদের জন্য চরম দুর্ভোগ এটা আমার দেশ বলে না। ইউরোপ আমেরিকা সব জায়গায় এই অবস্থার সৃষ্টি। স্যাংশন পাল্টা স্যাংশন আর এই যুদ্ধ যেটা মানুষের জীবনে সর্বনাশটা টেনে আনে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটা আমরা উপলব্ধি করতে পারি। কষ্ট লাঘবের জন্য কী কী করা যায় আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আমাদের কিছু লোক তো থাকে অপ্রয়োজনে জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়, ছুতা ধরে। সেটা হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায়। হঠাৎ এত দাম তো বাড়ার কথা নয় প্রত্যেক জিনিসের। তবে আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে।

এসএম/এমএমএ/

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি