শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আন্দোলন করুক কাউকে গ্রেপ্তার নয়: প্রধানমন্ত্রী

বিরোধী দলের আন্দোলনে বাধা না দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমি আজকেও নির্দেশ দিয়েছি, তারা আন্দোলন করতে চায় করুক। খবরদার কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়। প্রধানমন্ত্রীর অফিস ঘেরাও করবে? আমি বলেছি হ্যাঁ আসতে দাও।’

রবিবার (১৪ আগস্ট) গণভবনে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সরকার প্রধান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিয়েছি খবরদার কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, কোনো ডিস্টার্ব করা না হয়। তারা আন্দোলন করতে চায় করুক অসুবিধা কী? আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছি দেশের কাজ করতে দেশের মানুষ তো সেটা জানে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের কষ্ট যে আমরা বুঝি না তা নয়। আমাদের বিরোধীরা সুযোগ পাচ্ছে তারা আন্দোলন করবে করুক। আমি নির্দেশ দিয়েছি; তারা আন্দোলন করতে চায় করুক, খবরদার কাউকে যেন অ্যারেস্ট করা না হয়। প্রধানমন্ত্রীর অফিস ঘেরাও করবে আমি বলেছি হ্যাঁ আসতে দাও। আমি বলে দিয়েছি খবরদার কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, কোন ডিস্টার্ব করা না হয়। তারা আন্দোলন করতে চায় করুক। অসুবিধা কী? আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছি দেশের কাজ করতে, দেশের মানুষ তো সেটা জানে। নানা কথা বলে সুযোগ যখন পাচ্ছে তারা কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে। তারা যদি বেশি করতে যায় এর প্রভাবে মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে। এটাও তাদের বোঝা উচিত। তাতে কিন্তু মানুষের কষ্ট বাড়বে। আন্দোলন করে কতটুকু সফল হবে সেটা জানি না। কিন্তু তারা যেভাবে করতে চাচ্ছে তাতে দেশের জন্য আরও ক্ষতি হবে। কিন্তু আমরা সেটা সামাল দিতে পারব সে বিশ্বাস আমার আছে।

তিনি বলেন, যখনই বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমবে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করব, সেই নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। সেটা আমরা করে দিচ্ছি। মানুষের কিছুদিন কষ্ট করতে হবে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যখন চালু হয়ে যাবে তখন বিদ্যুতের সমস্যাটা অনেকটা দূর হবে। আমরা যে ওয়াদা দিয়েছিলাম সেগুলো করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, একটা শ্রেণি সব সময় রয়েছে যেন এদেশের মানুষের কল্যাণ হোক; এটা তারা চায়ই না। অর্থাৎ স্বাধীনতাটা অর্থবহ হোক, স্বাধীনতার সুফল বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছাক এখানে একটা বাধা দেওয়ার প্রচেষ্টা সব সময় ছিল। সেজন্য যখনই মানুষ একটু ভালো থাকে তখনই যেন চক্রান্ত, ষড়যন্ত্রটা শুরু হয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মনে হয় এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ যদি অবদান রাখতে যায় তাকে বোধ হয় বিপর্যয়ে পড়তে হয়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এটাই হচ্ছে আমাদের জন্য সব থেকে দুর্ভাগ্যের যখনই এই দেশের মানুষ একটু ভালো থাকে বা ভালো অবস্থায় আসে তখনই যেন চক্রান্ত ষড়যন্ত্রটা শুরু হয়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ, একটি প্রদেশ, সেই প্রদেশকে রাষ্ট্রে উন্নীত করা এবং বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হাতে সময় পেলেন মাত্র সাড়ে ৩ বছর। কোনো সম্পদ ছিল না। তিনি শুধু বলেছেন আমার মাটি আর মানুষ হচ্ছে আমার সম্পদ। এই মাটি আর মানুষের উপর নির্ভর করে মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে সেই বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করে দিয়ে যান। এবং তার লক্ষ্য ছিল ঘুণে ধরা সমাজ ভেঙে একটা নতুন সমাজ দেবেন। উপনিবেশিক শাসনামলের কাঠামো ভেঙে গণমুখী প্রশাসনিক কাঠামো তিনি করতে চেয়েছিলেন। গণমুখী প্রশাসনিক কাঠামো করতে যেয়ে বিরাট পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। গণমুখী প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলে ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূলের মানুষের কাছে ক্ষমতা নিতে চেয়েছিলেন। সেজন্য বাংলাদেশকে প্রত্যেকটা মহকুমায় রূপান্তর করলেন। এক একটা জেলার উন্নয়নটা যেন ওই জেলা ভিত্তিক হয়, যাতে মানুষের দুঃখ দুর্দশা দূর হয় আর্থ সামাজিক উন্নতি হয় সেই পদক্ষেপটাই তিনি নিলেন। দ্বিতীয় বিপ্লবের যে ডাক দিলেন সেটার লক্ষ্যই ছিল জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা। উৎপাদন বৃদ্ধি করা আর্থ সামাজিক উন্নতি করা।

সরকার প্রধান বলেন, যখনই দুর্যোগ দুর্বিপাক প্রাকৃতিক দুর্যোগ যাই আসুক আওয়ামী লীগ বা আমাদের সহযোগী সংগঠন সব সময় সজাগ থাকে। মানুষের পাশে সকলের আগে দাঁড়ায়। সংগঠনকে সুসংহত করাই আমাদের লক্ষ্য। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত আমাদের মেয়াদকাল যখন শেষ হয়ে যায় তখন আমরা কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তর করে চলে আসি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এপর্যন্ত আর কখনই এ রকম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা পরিবর্তন হয়নি। প্রতিবারই এক একটা ঘটনার মধ্য দিয়ে ঘটেছে, এটা সকলের মাথায় রাখতে হবে। একটি বার শুধু যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তখন শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, নীতিতে বিশ্বাস করে। জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। সেজন্য ওই একবারই শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে। তারপরের ইতিহাস সবার জানা আছে। ২০০১ সালের নির্বাচন আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা। সংখ্যা লঘুদের উপর অত্যাচার সেখানে হিন্দু খ্রিস্টান কেউ তো বাদ যায়নি। ২০০১ সালের নির্বাচনের চিত্র সবার মনে আছে। বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ বোমা হামলা। ১৫ আগস্টের খুনিদের জিয়াউর রহমান শুধু ইনডেমনিটি দিয়ে দূতাবাস চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে তা তো না। এরপর এরশাদ এসে খুনি ফারককে প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যান্ডিডেট করল। খালেদা জিয়া এসে আরও এক ধাপ উপরে রশীদ, ফারুক, হুদা ৩ জনকে নমিনেশন দেয়। ফারককে জেতাতে চেষ্টা করেছিল কিন্তু নওগাঁয় সেটা পারে নাই। হুদা আর রশীদকে পার্লামেন্টে বসালো, শুধু তাই না খুনি রশীদকে সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার চেয়ারে বসালো। এদের সঙ্গে খুনিদের সৌহার্দ্য কত সেটা মানুষের জানা উচিত। সেই খুনিদের পুরস্কৃত করার মানে কী? ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে এদের যে সম্পৃক্ততা জিয়াউর রহমানের যে সম্পৃক্ততা এবং ইনডেমনিটি দিয়ে বিচার হবে না। আমি বা আমরা যারা ১৫ আগস্ট স্বজন হারিয়েছি আমাদের বিচার পাবার অধিকার ছিল না, মামলা করার অধিকার ছিল না এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে অর্থাৎ বিচারহীনতার একটা সংস্কৃতি এই দেশে চালু করে দিয়েছিল। আমার অবাক লাগে যখন কেউ মারা গেলে বিচার চায়। আমার তো ৩৫ বছর সময় লাগছে বিচার পেতে। আমার বাবা, মা, ভাই সব হারানোর পর বিচার চাইতে পারিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি। তারা আমাদের বার বার ভোট দিয়েছে। তৃতীয় দফায় এক টানা ক্ষমতায়। আজকে দারিদ্রের হার কমে গেছে, মানুষের পুষ্টির নিশ্চয়তা আমরা করছি। খাদ্য নিরাপত্তা করতে পেরেছি স্বাক্ষরতার হার বেড়ে গেছে, মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়েছে শিশু মৃত্যু হার কমেছে। মাতৃ মৃত্যু হার কমেছে।

চলমান সংকট নিয়ে বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এই যুদ্ধে স্যাংশন পাল্টা স্যাংশন। আমেরিকা স্যাংশন দিল রাশিয়াকে শায়েস্তা করার জন্য কিন্তু শায়েস্তা হচ্ছে সাধারণ মানুষ। আমাদের দেশ না ইউরোপ আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে সকল মহাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সব জিনিসের উপর এর একটা প্রভাব পড়েছে। স্যাংশন দিয়ে লাভটা কী হল? লাভ আমেরিকা রাশিয়ার হয়েছে। কারণ রুবালের দাম বাড়ছে এদিকে ডলারের দাম বেড়েছে। সারা বিশ্বব্যাপী রুবাল আর ডলারের দাম বাড়ছে আর মরছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ যারা। মধ্যবিত্তদের জন্য চরম দুর্ভোগ এটা আমার দেশ বলে না। ইউরোপ আমেরিকা সব জায়গায় এই অবস্থার সৃষ্টি। স্যাংশন পাল্টা স্যাংশন আর এই যুদ্ধ যেটা মানুষের জীবনে সর্বনাশটা টেনে আনে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটা আমরা উপলব্ধি করতে পারি। কষ্ট লাঘবের জন্য কী কী করা যায় আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আমাদের কিছু লোক তো থাকে অপ্রয়োজনে জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়, ছুতা ধরে। সেটা হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায়। হঠাৎ এত দাম তো বাড়ার কথা নয় প্রত্যেক জিনিসের। তবে আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে।

এসএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (বামে) এবং পূজা চেরী। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতেই নির্মাতা আলোক হাসান ‘টগর’ সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশ করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে হইচই ফেলে দেন। মোশন পোস্টারে আদর আজাদ এবং প্রার্থনা ফারদিন দীঘির নাম ঘোষণা করা হলেও, এবার পরিবর্তন এসেছে।

জানা গেছে, দীঘির পরিবর্তে সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী।

চলচ্চিত্রের পরিচালক আলোক হাসান জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে দীঘির নাম থাকলেও, কিছু কারণবশত নায়িকা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। আলোক হাসান বলেন, “আমরা মনে করি, পূজা চেরীকে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।”

‘টগর’-এর শুটিং শুরু হবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি, এবং পুরো ইউনিট শুটিংয়ের জন্য ঢাকা ছাড়বে দুদিন আগে। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক, যেখানে আদর আজাদ, পূজা চেরী ছাড়াও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

অভিনেতা আদর আজাদ বলেন, “গত চার মাস ধরে এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত। তবে মাঝখানে ‘পিনিক’-এর শুটিং করেছি। এখন অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে, এবং আমরা সবাই প্রোডাকশন ও কাজটি নিয়ে আশাবাদী।”

পূজা চেরী বলেন, “আলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগে কাজ করেছি। প্রথমে এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং দেখার কারণে আমি সিনেমাটি করতে চাচ্ছিলাম না, তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে গল্পটি বোঝালে এবং স্ক্রিপ্টের ডক্টরিং ও রিডিং সেশনে এটি ভিন্ন মাত্রা পাওয়ার পর আমি রাজি হয়ে যাই।”

সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য এ আর মুভি নেটওয়ার্কের, এবং সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম। নির্মাতারা জানিয়েছেন, সিনেমাটি আগামী ঈদুল আযহায় মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার