নির্বাচন এলেই সাম্প্রদায়িক হামলা চালায় আওয়ামী লীগ: মির্জা ফখরুল
বিরোধী দলগুলোর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি বানচাল করতেই আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক হামলা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব কিছুতেই ডাইভারশন (মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে) শুরু করেছে। দেশের মানুষ বলছে এদেশে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নির্বাচন কমিশনও বলতে বাধ্য হচ্ছে, সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। ঠিক সেই সময় এ দাবি পাশ কাটিয়ে দিতেই সাম্প্রদায়িক হামলা তাদের (আওয়ামী লীগের) এক ধরনের কৌশল।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'গণতন্ত্র নেই বলে মানুষের অধিকার রক্ষা করা যাচ্ছে না। সংসদ নেই যা খুশি লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণও তাই।'
জনশুমারির সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য জনসংখ্যা কম দেখানো হয়েছে। যেখানে আমরা হিসাব করি ১৮ কোটি মানুষ সেখানে দেখানো হয়েছে ১৬ কোটি, যেকোনো মানুষই বুঝবে এর ফলে মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর সুযোগ হবে। এমনকি জনশুমারির এসব তথ্য তারা নিজেরাই স্বীকার করেছে, যে তথ্য সঠিক হয়নি। বাড়ি বাড়ি তারা যায়নি। মূলত বিভিন্নভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত ও প্রতারণা করা হচ্ছে। কারণ সরকারই প্রতারণার উপর দাঁড়িয়ে আছে- ফেইক সরকার।'
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই সংখ্যায় কম সেসব সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে। মূল কথা হলো যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে তখনই সবচেয়ে বেশি এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। গুরুত্বের সঙ্গে আমরা বিষয়টি নিয়েছি। আমরা মনে করি- গণতন্ত্রের অভাবে এ সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস-হামলা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সম্পদের মানুষদের দেশ থেকে তাড়িয়ে তাদের সম্পদ লুট করায় আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য।'
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'দুর্ভাগ্যজনকভাবে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উপর হামলা বৃদ্ধি পায়। দেখা যায় সম্পূর্ণভাবে তাদের লোকেরাই সাম্প্রদায়িক হামলাগুলোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে। আওয়ামী লীগ তাদের নিজস্ব সম্পত্তি মনে করে। তারা মনে করে সংখ্যালঘুদের ভোটগুলো আওয়ামী লীগ কে দিতে হবে।'
এসএন