`ঐক্যমতের ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি হবে'
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতেই সরকার হটানোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাজারবাগের হোয়াইট হাউজ রেস্টুরেন্টে নাগরিক ঐক্যের ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু এ সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়। এর সঙ্গে আমরাও একমত প্রকাশ করছি। এ কথার সঙ্গে আরও যুক্ত করতে চাই আর এ সরকার না। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন তো নয়-ই। দেশের যে পরিস্থিতি যে অবস্থা তাতে এখন সময় এসেছে সরকারকে না বলা।’
‘এ সরকারকে বিদায় দিতে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। দেশের মানুষের যে ঐক্যবদ্ধ আকাঙ্ক্ষা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা, দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং এদেশের মানুষের মালিকানা তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া– এর জন্য সব গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক শক্তি, রাজনৈতিক শক্তি, দল ও ব্যক্তিকে আমরা আহ্বান জানাব। এ স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে এদেশের জনগণকে মুক্ত করি। সেজন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য যে কর্মসূচি প্রয়োজন হবে তা আলোচনার মাধ্যমে আমরা সিদ্ধান্ত নিই।’
বুধবার নাগরিক ঐক্যের আয়োজনে ‘এ সরকারের অধীনে নির্বাচনকে না বলুন’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়। এতে বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণফোরামের মোস্তফা মোহসিন মন্টু, গণঅধিকার পরিষদের ড. রেজা কিবরিয়া, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুতফুর রহমান, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
ইফতারে বিএনপির আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শ্যামা ওবায়েদ, জহির উদ্দিন স্বপনসহ ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।
তবে জামায়াতে ইসলামীর কাউকে এ ইফতারে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এসএন