স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যা থাকছে
আর মাত্র পাঁচ দিন বাদেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের জন্মের ৫০ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি স্বাধীনতার মহান নায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনেরও সমাপ্তি হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বর্ষ শুরু হয় ২০২০ সালের ১৭ মার্চ, যা ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর শেষ হবে।
বিশেষ এই দিনে বর্ণাঢ্য আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ চলছে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের মূল অনুষ্ঠান হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সংসদের দক্ষিণ প্লাজা ঘুরে দেখা গেছে অনুষ্ঠান স্থলে চলছে শেষ মুহুর্তের সাজসজ্জা।
সংসদ চত্বরের দক্ষিণ প্লাজার সবুজ মাঠে তিনটি অস্থায়ী শেড নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এ প্লাজায় থাকবে লেজার শো। পুরো সংসদ এলাকা এবং মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সড়কের গাছগুলোতে নানা রঙের লাইট দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশে আসবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলবেন তিনি।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যা যা থাকছে- সেদিন দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অতিথিদের আগমন ও আসন গ্রহণ চলবে। এরপর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হবেন। অনুষ্ঠানে তার পরিচালনায় সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের শপথ পাঠ করানো হবে।
এরপর রাষ্ট্রপতি ও সম্মানিত অতিথিদের উপস্থিতিতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন শেষে ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠ করা হবে। এরপরেই স্বাগত সম্ভাষণ দেবেন মুজিব শতবর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
স্বাগত সম্ভাষণ শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা। এরপর সম্মানীয় অতিথিদের বক্তব্য। প্রথমে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ তার বক্তব্য রাখবেন। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বক্তব্য রাখবেন। সম্মানীয় অতিথিদের বক্তব্যের পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা সম্মানীয় অতিথিকে মুজিব চিরন্তন গ্রন্থ স্মারক প্রদান করবেন।
এরপরেই থাকবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সভাপতির বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে রাত ৭টা ৫ থেকে ৮টা ১০ পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এসএম/টিটি/