আইইউবি বাংলাদেশের ‘জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতি:পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের পৃষ্ঠপোষক
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইইউবি)’র পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হচ্ছে আমাদের দেশের ‘জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতি:পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড’।
মহাকাশ অলিম্পিয়াডটির আঞ্চলিক রাউন্ডের রেজিস্ট্রেশন এখন চলছে। চলবে ছয় মার্চ পর্যন্ত। আঞ্চলিক রাউন্ডের জন্য রেজিস্ট্রেশনের লিংক হলো-bdoaa.org/registration. এটি আগ্রহী নানা বয়সের, মূলত কিশোর-তরুণ প্রতিযোগীদের সরাসরি রেজিষ্ট্রেশনের লিংক। শুধু তাই নয়, ধারাবাহিকভাবে বিডিওএএ তাদের সব কাজের খবর জানাবে https://bdoaa.org/ এই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে। ফলে প্রতিযোগী ও আগ্রহী এবং তাদের অভিভাবক সবাইকেই সাইটটি অনুসরণ করতে অনুরোধ করেছেন তারা।
অলিম্পিয়াডটির আয়োজন ও তত্বাবধান করছে ‘বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (বিডিওএএ)’। তাদের নতুন কমিটিও তৈরি হয়েছে। তাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আইইউবির নামকরা অধ্যাপকরা দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।
আয়োজক ও পৃষ্ঠপোষক সূত্রে জানানো হয়েছে, ছয় মার্চ’র পর রেস্ট্রিশনের মাধ্যমে প্রতিযোগিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। নিশ্চিত প্রাথীদের তালিকা প্রদান করেছেন সেখানে আয়োজক নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি। এবার নতুন এই কমিটি দিয়েছে ‘বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (বিডিওএএ)।
রেজিস্ট্রেশন ও নিশ্চিত হওয়া আগ্রহীদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আঞ্চলিক পর্বগুলোর আয়োজন করা হবে। এজন্য বিডিওএএ এবং আইউবি সারা বাংলাদেশের এই মহাকাশ অলিম্পিয়াডের প্রতিযোগিদের তিনটি অঞ্চলে ভাগ করেছেন। তাদের নিয়ে আয়োজন করা হবে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতি:পদার্থবিজ্ঞানের নানা প্রতিযোগিতাগুলো।
অত্যন্ত কৌতুহলোদ্দীপক এবং জ্ঞানগর্ভ এই রাউন্ডগুলোতে যেমন তারা নিজেদের মেধা ও যোগ্যতাকে ঝালাই করে নিতে পারবেন, তেমনি জানতে পারবেন মহাকাশের অনেক কিছু। অজানাকে জানার অপার সুযোগ ঘটবে। থাকবে টেলিস্কোপ, দূরবীন, তারার রাজ্যে ঘুরে আসার সুযোগ। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের বিষ্ময়কর জীবন। নাসাসহ কত কিছু। মহাবিশ্বকে নিয়ে তাদের এই প্রতিযোগিতার এরপর হবে জাতীয় পর্যায় বা ন্যাশনাল রাইন্ড। সেই রাউন্ডে আসবেন আঞ্চলিক পর্বের বিজয়ীরা। ন্যাশনাল রাউন্ড হবে ঢাকায়, এপ্রিলে।
সেখান থেকে নির্বাচিত যোগ্য প্রতিযোগিদের নিয়ে জুন মাসে অনলাইনে এবং সরাসরি জাতীয় ক্যাম্পটির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাতেও জ্যোর্তিবিজ্ঞানের হালআমলের নানা কিছু যেমন জানানো হবে, তেমনি মৌলিক ভুবনে ঘুরে আসতে পারবেন তারা। জ্যোতি:পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও তাই ঘটবে বলে জানিয়েছেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্বিক পদাথবিজ্ঞানের অধ্যাপক, বিখ্যাত লেখক ও বিডিওএএ’র সভাপতি ড. আরশাদ মোমেন। তার সঙ্গে বিরাট এই আয়োজনে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক তালাত আহমেদ । তিনি বিডিওএএ’র ট্রেজারার। বিডিওএএর মহাসচিব হিসেবে রয়েছেন অন্যতম আয়োজক ও পৃষ্ঠপোষক বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের অ্যাস্ট্রোনমি রিসার্চ গ্রুপের সহকারী অধ্যাপক খান আসাদ।
তারা বলেছেন, এভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে সেরা ও যোগ্য প্রার্থীদের নিয়ে ২০২২ ও ২০২৩ সালের ইউক্রেন, পোল্যান্ড ও বেলারুশের ‘ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (আইওএএ)’র বিশ্ব আসরগুলোতে বাংলাদেশ দলটি অংশগ্রহণ করবে। তাদের আরো প্রশিক্ষণ ও কাজ করানো হবে আসরগুলোর জন্য জানিয়েছেন ড. আরশাদ মোমেন।
বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডটি ২০০৭ সাল থেকে আয়োজন করা হচ্ছে। ‘বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (বিডিওএএ)’ ২০১৮ থেকে দেশে অলিম্পিয়াডের আয়োজন ও নির্বাচিত যোগ্য মহাকাশ অনুসন্ধিৎসুদের আইওএএতে বিভিন্নভাবে প্রেরণ করছে।
আমাদের দেশের ছাত্র, ছাত্রীদের অনেক সাফল্য আছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ দল ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (আইওএএ)-এ অংশ নিয়েছে। দুটি রৌপ্য ও তিনটি ব্রোঞ্জ জয় করেছে।
২০২১ সালে আইইউবি’র কম্পিউটার ল্যাবের মাধ্যমে অনলাইনে অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ দল। তারা সেবারের ‘ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড অন অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (আইওএএ)’-এ একটি ব্রোঞ্জ পদক জয় করে এনেছেন। চারটি অত্যন্ত সম্মানের স্বীকৃতিপত্র লাভ করেছেন।
ছবি : ১. বিডিওএএর প্রদান করা ২০২১ সালে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের সেরা পাঁচ প্রতিযোগী ও তাদের সুপারভাইজর, আয়োজকরা।
২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক, লেখক ড. আরশাদ মোমেন
ওএস।