কক্সবাজার-রাখাইন কানেক্টিভিটি হতে পারে: জাপান
অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কক্সবাজার-রাখাইন কানেক্টিভিটি হতে পারে এমন অভিমত ব্যক্ত করে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে এই অঞ্চলে কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক এমনটা চায় না জাপান।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটিজিক স্টাডিস (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ইন্দো প্যাসিফিকে ভূ-রাজনীতি বিষয়ক এক সেমিনারে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত তার দেশের এ অবস্থানের কথা জানান।
পাঁচ বছর পর কী অবস্থা হতে পারে সেটি বিবেচনা করে কক্সবাজার ও রাখাইনের মধ্যে কানেক্টিভিটি হতে পারে এমন অভিমত জানিয়ে এজন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং বিমসটেক ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মন্তব্য করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার এবং এজন্য জাপান সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে জানান তিনি।
ইউক্রেন ইস্যুতে ইতো নাওকি বলেন, স্বাধীন ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকে প্রধান উপাদান হচ্ছে নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা। ইউক্রেনের পরিস্থিতি আমাদের মনে করিয়ে দেয় আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলা খুব জরুরি।
বাংলাদেশের প্রকল্পগুলোতে কাজ করা নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, মেট্রো রেলের একটি অংশ বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু করবে এ বছরের ডিসেম্বরে। এছাড়া চট্টগ্রামের আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির কাজও এবছর শেষ হবে। শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজও চলমান রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফারুক খান বলেন, বঙ্গোপসাগর এখন আগের থেকে অনেক বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করছে। জাপানের মতো দেশের কাছে প্রত্যাশা যে তারা ইন্দো-প্যাসিফিকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। কারণ সবার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো।
আরইউ/এএস