প্রথম ডোজের গণটিকা কর্মসূচির শেষ দিন
করোনার প্রথম ডোজের গণটিকা কর্মসূচি শেষ হচ্ছে আজ (সোমবার)। তৃতীয় দিনে সকাল সাড়ে ৮টায় আটাশ হাজার কেন্দ্রে এ টিকাদান শুরু হয়েছে। যারা নিবন্ধন করেছেন, এখনও এসএমএস পাননি, তারাও টিকা নিতে পারবেন। তারা সবাই এ টিকা নিচ্ছেন।
এ ছাড়া বারো বছর পার হলে নিবন্ধন ছাড়াও কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। একদিনে এক কোটি টিকাদান কর্মসূচি নেওয়া হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি। এতে আগ্রহীদের বিপুল সাড়া মেলায় এই কার্যক্রম আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশে করোনা টিকার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। চালু থাকছে প্রথম ডোজের টিকাদান। শনিবার একদিনে দেশের এক কোটি বিশ লাখ মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।’
এখন পর্যন্ত দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষকে এই টিকার অন্তত এক ডোজ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনেও কেন্দ্রগুলোতে দিনভর ছিল টিকা প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন জায়গায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তুষ্টির কথা জানায় সাধারণ মানুষ।
রাজধানীর কেন্দ্রগুলোতেও ছিল প্রচুর ভিড়। গেল এক বছর গুরুত্ব না দিলেও, সরকারি নানা বিধিনিষেধের কারণে এখন টিকা নিচ্ছেন অনেকে। প্রতিটি কেন্দ্রে নারী-পুরুষের পাশাপাশি বারো থেকে ১৮ বছর বয়সীরাও নিচ্ছে টিকা।
কেউ অসুস্থ কিংবা খুব জরুরি কারণে প্রথম ডোজের টিকা নিতে না পারলে, এমন ব্যক্তিরাও পরে টিকা নিতে পারবেন। গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয়। দুই মাস পর ৮ এপ্রিল শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কার্যক্রম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, বুধবার পর্যন্ত সারাদেশে ১০ কোটি ৬৫ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৮ কোটি ছয় লক্ষাধিক। তা ছাড়া (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, গণটিকার সময়সীমা আরও দুই দিন বাড়িয়েছে সরকার।
দেশব্যাপী গণটিকা গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনে মানুষের বিপুল চাহিদার কথা বিবেচনা করে গণটিকা কার্যক্রম আরো দুই দিন বৃদ্ধি করার কথা জানান সরকার। তবে প্রথম ডোজের গণটিকা কর্মসূচির শেষ দিনের টিকাদান কার্যক্রম ব্যাপক ভাবে সাড়া পড়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর থেকে করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করে।
কেএম/এসএ/