সবচেয়ে ভালো নির্বাচন করব: সিইসি
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সদ্য শপথ নেওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা সবচেয়ে ভালোটাই দেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা আশাবাদী অত্যান্ত আশাবাদী সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের বেস্ট পসিবল ইজ দ্যা ফাস্ট সেটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শপথ গ্রহণের পর রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে নতুন সিইসি এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে শপথ নেন অন্য চারজন নির্বাচন কমিশনার। সুপ্রিম কোর্টর জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী প্রথমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এরপর একে একে চারজনের শপথ পাঠ করান।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আজ আমরা সাংবিধানিক শপথ গ্রহণ করেছি। শপথ গ্রহণ করার পরই কার্যত আমরা পদে অধিষ্টিত হয়েছি। আমাদের উপর দায়িত্ব আরোপিত হয়ে গেছে। তারপরও আমাদের বাস্তব দায়িত্ব কার্যস্থলে গিযে গ্রহণ করিনি। আমরা সহসাই কার্যস্থালে যাব, আগামীকাল (সোমবার) আমরা বসে নিজেদের মধ্যে ভাবের আদান প্রদান করে, আলাপ আলোচনা করে সংবিধানে ও আইনে আমাদের উপর কি কি দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে সেগুলো জানব এবং ভবিষৎতে দায়িত্বটা কিভাবে পালন করব ঠিক এই মুহূর্তে বলতে পারব না। আর একটু লেখাপড়া করে জেনে তারপর বলতে পারব। তিনি সকলের দোয়া চান।
সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের উপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, সেই দায়িত্ব যেন সঠিকভবে, দক্ষতার সঙ্গে, আমাদের গৃহিত শপথের প্রতি অনুগত থেকে যেন পালন করতে পারি এজন্য সকলের দোয়া চাইছি।
ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কি করবেন, প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এই মুহূর্তে বেশি কিছু বলব না। শনিবার আমি বেশ কিছু বক্তব্য রেখে ফেলেছি। নতুন আর বক্তব্য নেই। নতুন যে বক্তব্য দেব সেগুলো আমরা সহকর্মীরা সমন্মিতভাবে বসে ঐক্যমত পোষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে তখন নির্ভরযোগ্য তথ্য দেব।
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন চ্যালেঞ্জ কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচনই একটা চ্যালেঞ্জ। মানুষের জীবনটাও কিন্তু চ্যালেঞ্জ। কোনো চ্যালেঞ্জ কম না। সেই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে সকলের সহযোগিতা নিয়ে যারা স্টেক হোল্ডার তাদের সহায়ত নিয়ে..গণতন্ত্রে নির্বাচন একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। চ্যালেঞ্জটা কি সেটাই এখনও বুঝে উঠি নাই। আমরা বসলে বুঝব আসলে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি-না। কিভাবে সেই জ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায় আমরা বসে কর্মপদ্ধতি ঠিক করব কর্মকৌশল নিরুপণ করব।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করে না। নির্বাচন একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ, এর সঙ্গে অনেকে জড়িত। সকলে যদি সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করেন সকলে যদি সহযোগিতা করেন আমাদের উপর যে দায়িত্ব আছে, সহযোগিতা পেলে আমরা আশাবাদি, অত্যান্ত আশাবাদি। আমার সহকর্মীদের উপর আমার আস্থা আছে, আশাকরি আমার উপরেও ওদের আস্থা আছে। আমরা আমাদের বেস্ট পসিবল ইজ দ্যা ফাস্ট সেটাই দেওয়ার চেস্টা করব। বাকিটা আল্লাহ জানেন।
এসময় পাশে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান। এরআগে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কশিনার নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। নিয়োগের পরপরই প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। আগামীকাল সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রথম বৈঠক থেকে শুরু হবে নতুন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদকাল। আগামী পাঁচ বছর তারা দায়িত্ব পালন করবেন। এই নির্বাচন কমিশনই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন পরিচালনা করবে।
এসএম/