সিইসি-ইসির প্রজ্ঞাপন শিগগির: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

সকল প্রক্রিয়া শেষে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চূড়ান্ত দশ জনের নাম জমা দিয়েছে অনুসন্ধান কমিটি।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন সার্চ কমিটি ১০ জনের তালিকা জমা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নামগুলো পর্যালোচনা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন। অতি শিগগির প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে।’
অনুসন্ধান কমিটির প্রধান আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান অসুস্থতার কারণে বঙ্গভবনে যেতে পারেননি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার কমিশনারের নিয়োগ যেকোনো সময়। তবে সবকিছু নির্ভর করছে রাষ্ট্রপতির উপর। তিনি যখন চাইবেন তখনই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।
গত মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বৈঠক করে ১০টি নাম চূড়ান্ত করে তা সিলগালা করে রাখে অনুসন্ধান কমিটি। নাম চূড়ান্ত করতে অনুসন্ধান কমিটি নিজেদের মধ্যে সাতটি বৈঠক করেছে।
এ ছাড়া, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আরও চারটি বৈঠক করেছে।
এবারই প্রথম আইন অনুযায়ী ইসি গঠিত হচ্ছে। গত ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে আইন পাসের পর ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।
সার্চ কমিটির অপর পাঁচ সদস্য হলেন হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। এই কমিটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। ব্যক্তিপর্যায়েও নাম আহ্বান করা হয়।
এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে কমিটি। এরপরও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকে আরও কিছু নামের প্রস্তাব আসে। সব নাম কাটছাঁট করে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে অনুসন্ধান কমিটি। চূড়ান্ত তালিকা হতে সিইসি পদে সাবেক এক সচিবই আসছেন এমনটাই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এসএম/এমএমএ/
