রোহিঙ্গা-স্বাগতিকদের জন্য জাপানের ৪৪ লাখ ডলার অনুদান
জাপান সরকার এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) কক্সবাজারে ‘রোহিঙ্গা’ এবং ‘স্বাগতিক সম্প্রদায়ের’ জন্য বহুক্ষেত্রীয় সহায়তা প্রদানের জন্য ৪৪ লাখ মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি সই করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং আইওএম বাংলাদেশের অফিসার ইন চার্জ ফাতিমা নুসরাথ গাজ্জালি চুক্তিতে সই করেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাপান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পর্যাপ্ত আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা, ল্যাট্রিন এবং নিরাপদ পানির অভাবের কারণে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা এবং স্বাগতিক সম্প্রদায় উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এছাড়াও কক্সবাজার প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য ভৌগলিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় হয়।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি এবং কক্সবাজার জেলার ঝুঁকিপূর্ণ স্বাগতিক সম্প্রদায়ের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রের উন্নয়ন এবং জীবনযাত্রার অবস্থার উন্নতির জন্য প্রকল্প' শিরোনামের প্রকল্পটি ক্যাম্পে প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর উন্নীতকরণে সহায়তা করবে। এখানে স্বাগতিক সম্প্রদায়ের প্রায় ১ হাজার ৩৮০ জন আছেন।
এটি দু’টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা এবং নয়টি স্বাস্থ্য পোস্টের রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করবে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্যাম্পে ৯২টি ল্যাট্রিন এবং ১০টি জল নিষ্কাশন ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্বাগতিক সম্প্রদায়ে ৪০টি গভীর নলকূপ নির্মাণে সহায়তা করবে। উপরন্তু, প্রকল্পটি স্বাগতিক সম্প্রদায়গুলোর এলাকায় ১১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য মহিলা স্বেচ্ছাসেবকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
এই অনুদানের মাধ্যমে ২০১৭ সালের আগস্টে ব্যাপক অনুপ্রবেশের পর থেকে রোহিঙ্গা সংকটে জাপানের অনুদান প্রায় ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরইউ/আরএ/