একুশে ফেব্রুয়ারিতে ইস্ট ওয়েস্টের শহিদ মিনার উদ্বোধন করলেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী
এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের মালিক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান, তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী দীর্ঘদিন পর তার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে এলেন। ইংরেজি দৈনিক দি ফিনানশিয়াল এক্সপ্রেসের কর্ণধার, গ্রে অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেডের প্রধান বাংলাদেশের বরেণ্য এই শিল্প উদ্যোক্তা আমাদের চামড়াজাত শিল্পের প্রাণপুরুষ।
তিনি ইস্ট ওয়েস্টের অন্যতম উদ্যোক্তা ও ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারপারসন।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সাল, সোমবার বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়টির আফতাবনগরের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যখন তার পা পড়লো, তখন ভোর। চারদিকে কুয়াশা ঝরছে শীতের। নীল পাঞ্জাবি, সাদা পাজামাতে চির তরুণ ও সবসময় দারুণ স্মার্ট মঞ্জুর এলাহীকে অনন্য লাগছিল। সেদিন আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন দিবস।
১৯৫২ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে সংখ্যাগরিষ্ট প্রদেশটির তরুণরা বুকের রক্ত ঢেলে রাজপথকে লাল করে দিয়েছিলেন। এরপর তারা চূড়ান্ত মুক্তিযুদ্ধে অবর্তীণ হয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। এই সময়গুলোতে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ছেলে মঞ্জুর এলাহী ছিলেন তরুণ। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।
তাদের ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শহিদ মিনারটি বিরাট। তাতে স্মতিফলক আছে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা ভাষা শহিদ ও ভাষা সৈনিকদের স্মরণে।
সামনে স্থায়ী বেদিতে ফুল ফুটে থাকছে সবসময়। ফুল ফুটে শহীদদের প্রতি ভালোবাসা ও তাদের জীবনের মূল্য জানাচ্ছে।
লাল ইটের অনন্য ইস্ট ওয়েস্টের এই শহিদ মিনারটি লাল। তরুণ রফিক, জব্বার, সালাম, বরকত, শফিউর এবং অন্যদের মতো।
ইস্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভনর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ মিনারে প্রথম প্রভাত ফেরি ও পুস্পস্তবক অর্পনানুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের সব সদস্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, সবগুলো বিভাগের সব অধ্যাপক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে ছিলেন বিপুল ছাত্র, ছাত্রী।
তারা সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে শহীদ মিনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।
২১ ফেব্রুয়ারি, সোমবার ভোরে প্রভাত ফেরি শেষে ইস্ট ওয়েস্টের শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেছেন তারা সবাই। তাতে লেখা-‘শ্রদ্ধাঞ্জলি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি।’ এভাবেই বাঙালির ‘একুশের শহিদ দিবস’ ও বাংলা ভাষাকে উপলক্ষ্য করে ‘আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করেছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এরপর এপেক্সের প্রধান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ও ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন উদ্বোধন করেছেন সবাইকে নিয়ে ‘ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভাসিটি শহিদ মিনার।’
শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, ‘ইস্ট ওয়েস্টের শহিদ মিনার নির্মাণের ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা আরো সহজে একুশের চেতনাকে ধারণ করতে পারবে। তাঁদের মধ্যে দেশপ্রেমের আদর্শ ও সততার ভালোভাবে বীজ রোপিত হবে।’
একুশের শহিদদের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার অনুষ্ঠানে তাদের আত্মার মাগফেরাত, বাংলাদেশের আরো সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়েছে।
ওএস।