সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রস্তুত শহিদ মিনার

শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। ভাষা আন্দোলনের নানা অনুষঙ্গ দিয়ে আলপনায় সাজানো হয়েছে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ।

রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে শুরু হবে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব। রাষ্ট্রীয় রীতি অনুসারে একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। রাত পোহালেই সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শহিদ মিনারে ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করবে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হবেন মাতৃভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী শহিদরা।

বিকালে শহিদ মিনার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চারিদিকে ঝাড়ু দেওয়া ও পানি দিয়ে ধোয়া-মোছার কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। রং-তুলির আঁচড়ে রঙিন হয়ে উঠেছে পুরো প্রাঙ্গণ।

একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে রোদ উপেক্ষা করে আলপনা এঁকেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা।

শহিদ মিনারের পাশের দেওয়ালে আলপনা আঁকছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থী ইমরান মাহমুদ ইমু।

শহিদদের স্মরণে আলপনা আঁকার অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবছর আমরা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে এই আলপনা আঁকি। অনেক ভালো লাগা কাজ করে৷ এই দেশের মানুষের জন্য, বাংলা ভাষার জন্য যারা জীবন বিলিয়ে দিয়ে গেছেন তাদের স্মরণ করে অঙ্কন করা প্রতিটা রঙের আঁচড়ই অন্যরকম অনুভূতি জাগায়। মনে হয় যে দেশের জন্য আমিও কিছু করতে পারছি।

কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ছাত্রীর তিন্নির সঙ্গে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে এসেই আলপনার কাজ ধরি কিন্তু রাস্তা বন্ধ না থাকায় কাজের একটু সমস্যা হয় এরপর দুপুরের দিকে আলপনার কাজ সম্পন্ন করেছি। আলপনা আঁকতে আমার বেশ ভালো লাগে।’

কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ফরহাদ হাসানের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি দশ বছর ধরে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলপনার কাজ করি। দেখতে পারছেন শহীদ মিনার প্রস্তুত আমাদের আলপনার কাজও শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ঢাবির প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র মিলে আলপনা আঁকার কাজ করে থাকি। এটা আমাদের বেশ ভালো লাগে।’

শহিদ মিনারের আশেপাশের দেওয়ালে বাহারি রঙে লেখা হয়েছে ভাষাশহিদের প্রতি উৎসর্গ করা কবিতার লাইন ও স্লোগান দিয়ে। আঁকা হয়েছে লোকজ মোটিফের রং-বেরঙের আলপনা। উক্তিগুলো হলো-‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’, ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা, তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা’, ‘মাতৃভাষায় যাহার শ্রদ্ধা নাই সে মানুষ নহে’, ‘মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!’, ‘তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালোবাসা’ ইত্যাদি।

শহিদ মিনার এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য শহিদ মিনার এলাকা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। যানজট এড়াতে শহিদ মিনারের আশপাশ এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়াতে গত বছরের ন্যায় এবারও শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব সীমিত পরিসরে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পলাশী মোড় থেকে শহিদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় ৩ ফুট পর পর চিহ্ন থাকবে। এই চিহ্ন অনুসরণ করে সবাই পর্যায়ক্রমে শহিদ মিনারে যাবেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পালিত হবে অমর একুশে। শ্রদ্ধা জানাতে সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫ জন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২ জন একসঙ্গে শহিদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে আসা সবাইকে করোনা টিকা সনদ সঙ্গে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে আগেই।

শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শহিদদের উদ্দেশ্যে কাজ করার আনন্দটাই অন্যরকম। বাংলা ভাষার জন্য যারা শহিদ হয়েছেন তাদের জন্য প্রতিবছরই চারুকলা অনুষদের পক্ষ থেকে ছাত্র এবং শিক্ষক একসঙ্গে কাজ করে। এটি একটি মিলনমেলার মতো। ক্লাসের সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক হয়, কাজের ক্ষেত্রে সে সম্পর্ক একটু আলাদা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমি যখন প্রথম বর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই তখন থেকেই আমি এই কাজ করি। অনেক ধরনের কাজ হয়, দেওয়ালে লেখা, আলপনা আঁকা, বিভিন্ন কবি বা বিশিষ্ট-জনের বাণী, কবিতা লেখা হয়, শহিদ মিনার বেদীতে বড় বড় ৯টি আলপনা হয়, রাস্তায় আলপনা হয়। এই কাজগুলো করতে পেরে গর্ববোধ হয়। বছরের এই সময়ে শহিদ মিনারে কাজের জন্য আমি অন্য কোনো কাজ রাখি না বা কোনো কাজে ব্যস্ত থাকি না। পুরো কাজে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কাজ করি, এটা আমার অনেক ভালো লাগে।

শহিদ মিনার এলাকার আশপাশের হোটেল-মেসে তল্লাশি

যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলার জন্য। শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনকে ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দেওয়া হয়েছে রোডম্যাপও। একই সঙ্গে ওই এলাকা ও আশপাশের হোটেল-মেসে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। কাউকে মিনারের আঙিনায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চারদিকে সিসিটিভি স্থাপন করা হচ্ছে।

ছয়স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে (কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার) নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনো ঘটতি থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘এখানে ইউনিফর্মে পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ডিবি, র‍্যাব, ও সোয়াটের টিম থাকবে। ছয় স্তরের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলতে পারেন।’

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল বলেন, ‘আমাদের যারা গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করেন, তাদের সঙ্গে আমরা আলাদা আলাদাভাবে বসেছি। তারা থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। কোনো সংস্থা থেকে এখন পর্যন্ত ঝুঁকির কথা পাওয়া যায়নি।’

র‌্যাবের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহিদ মিনার এলাকাসহ সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহিদ মিনারে সিসিটিভি ক্যামেরাসহ ডগ স্কোয়াড কাজ করবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

র‌্যাব ডিজি বলেন, সাধারণ নিরাপত্তার পাশাপাশি ভার্চ্যুয়াল জগতেও রাখা হবে কড়া নজরদারি। নারীরা শ্রদ্ধা নিবেদনে এসে যাতে কোনো রকম হেনস্তার শিকার না হন সেটিও নিশ্চিত করা হবে।

শহিদ মিনারে প্রবেশের রাস্তা

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবাইকে পলাশী মোড় ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্য কোনো রাস্তা ব্যবহার করে শহিদ মিনারে প্রবেশ করা যাবে না।

শহিদ মিনার থেকে বের হওয়ার রাস্তা

শহিদ মিনার থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে দোয়েল চত্বরের রাস্তা রোমানা চত্বরের রাস্তা দিয়ে বের হতে পারবেন। কোনোক্রমেই প্রবেশের রাস্তা দিয়ে বের হওয়া যাবে না।
যেসব রাস্তা বন্ধ থাকবে
১. বকশিবাজার-জগন্নাথ হল ক্রসিং সড়ক।
২. চাঁনখারপুল-রোমানা চত্বর ক্রসিং সড়ক।
৩. টিএসসি-শিববাড়ি মোড় ক্রসিং।
৪. উপাচার্য ভবন-ভাস্কর্য ক্রসিং।

ডাইভারশন ব্যবস্থা

ক. ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যত্রতত্র অনুপ্রবেশ বন্ধের লক্ষ্যে নীলক্ষেত, পলাশী মোড়, ফুলার রোড, বকশীবাজার, চাঁনখারপুল, শহিদুল্লাহ হল, দোয়েল চত্বর, জিমনেশিয়াম, রোমানা চত্বর, হাইকোর্ট, টিএসসি, শাহবাগ ইন্টারসেকশন রোড ব্লক দিয়ে গাড়ি ডাইভারশন দেওয়া হবে।

খ. ২১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টায় সায়েন্সল্যাব থেকে নিউমার্কেট ক্রসিং,কাঁটাবন ক্রসিং থেকে নীলক্ষেত ক্রসিং এবং ফুলবাড়িয়া ক্রসিং থেকে চাঁনখারপুল ক্রসিং পর্যন্ত প্রভাতফেরি উপলক্ষে সব ধরনের যাত্রীবাহী গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।

সাধারণ নির্দেশনাবলী

ক. বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কবরস্থান ও শহিদ মিনারে যারা শ্রদ্ধার্ঘ্য ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন, তারা অনুগ্রহ করে মাস্ক পরিধান করবেন।

খ. কবরস্থান ও শহিদ মিনারে যারা শ্রদ্ধার্ঘ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যাবেন, তারা অনুগ্রহ করে অন্যদের অসুবিধার কথা ভেবে রাস্তায় বসা বা দাঁড়ানো থেকে বিরত থাকবেন।

গ. সর্বসাধারণের চলাচলের সুবিধার জন্য ওপরে বর্ণিত রাস্তায় কোনো প্রকার প্যান্ডেল তৈরি না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ঘ. শহিদ মিনারে প্রবেশের ক্ষেত্রে আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করে সবাইকে প্রবেশ করতে হবে। এক্ষেত্রে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ঙ. শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে প্রচার করা নির্দেশনা নাগরিকদের মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

চ. কোনো ধরনের ব্যাগ সঙ্গে বহন না করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।

ছ. যেকোনো পুলিশি সহযোগিতার প্রয়োজনে শহিদ মিনার এলাকায় স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা

ক. একুশের প্রথম প্রহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেশিয়াম মাঠে ভিআইপি গাড়িগুলো পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।

খ. অন্যরা নীলক্ষেত-পলাশী, পলাশী-ঢাকেশ্বরী সড়কে তাদের গাড়ি পার্কিং করতে পারবেন।

সার্বিক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ১২টি পয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কেউ পাস ছাড়া ঢুকতে পারবে না। সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রক্টরিয়াল টিম টহল দেবে।

 

কেএম/এপি/এমএমএমএ/

Header Ad

ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ তৃতীয় দিনটা শুরু করেছিল ২ উইকেটে ৪০ রান নিয়ে। ২৩ রানের মাথায় মেহেদী হাসান মিরাজ যখন বিদায় নেন তখনো ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৮৫ রান। তবে জাকের আলীর ৫৩ রানে ভর করে শেষ পর্যন্ত ফলোঅন এড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ।

এর আগে অ্যান্টিগা টেস্টে ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিন শেষ করে টাইগাররা। তৃতীয় দিনের শুরুতেই শাহদাত হোসেন দিপুর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে মুমিনুল হক প্রতিরোধ গড়লেও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই দুই ব্যাটার।

তাদের বিদায়ে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা। তবে জাকের আলি ও তাইজুল ইসলামের ব্যাটে ফলোঅন এড়ায় লাল-সবুজের বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান সংগ্রহ করে।

মুমিনুল ২৩ বলে ৭ ও দিপু ৩১ বলে ১০ রানে নিয়ে তৃতীয় দিনে খেলতে নামেন। তবে এ দিন সুবিধা করতে পারেননি দিপু। দলীয় ৬৬ রানে ৭১ বলে ১৮ রান করে আউট হন তিনি।

দিপুর বিদায়ের পর ক্রিজে আসা লিটনকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। দেখেশুনে খেলে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই ব্যাটার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল।

৬২ রানের জুটি গড়েন লিটন ও মুমিনুল। তবে দলীয় ১২৮ রানে ১১৬ বলে ৫০ রান করে আউট হন মুমিনুল। তার বিদায়ের পর পরই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন। ৭৬ বলে করেন ৪০ রান।

এরপর জাকের আলিকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে দলীয় ১৬৬ রানে ৬৭ বলে ২৩ রান করে আউট হন মিরাজ। তার বিদায়ে বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেন জাকের আলি। ৬৮ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।

ফিফটি তুলে নেন জাকের। তবে দলীয় ২৩৪ রানে ৬৩ বলে ২৫ রান করে আউট হন তাইজুল। ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকের। ফিরেছেন ৫৩ রান করে। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি হাসান মাহমুদ। ১৬ বলে ৮ রান করে আউট হন তিনি।

এরপর তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম মিলে দিনের বাকি খেলা শেষ করেন। তাসকিন ১১ ও শরিফুল ৫ রানে অপরাজিত আছেন।

Header Ad

অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারি-চালিত অটোরিকশা চলাচল সীমিত করার বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার । এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

উপ-প্রেস সচিব বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করার। আমরা আশা করি, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শহরের রাস্তায় চলতে পারবে কি না, তা নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি সমাধান খুঁজে পেতে চায় সরকার।

এর আগে, ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার আদেশ দেয় হাইকোর্ট; যা তিন দিনের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করে আসছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা। এ সময় হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবি জানায় তারা।

Header Ad

পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রতিষ্ঠিত সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

রোববার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২৩(১) (গ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সূচনা ফাউন্ডেশনের পরিচালিত সব হিসাবের লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হলো।

এতে আরও বলা হয়, সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে পরিচালিত সব হিসাবের হিসাব সংক্রান্ত তথ্যাদি (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ফরম, শুরু হতে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী) সংযোজিত এক্সেল শিট আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এ ইউনিটে পাঠানোর অনুরোধ করা যাচ্ছে।

নির্দেশনার আওতায় লেনদেন স্থগিত করা হিসাবগুলোর ক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ -এর বিধি ২৬(২) প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুলছাড়াও সূচনা ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন ডা. মাজহারুল মান্নান, মো. শামসুজ্জামান, জাইন বারি রিজভী ও নাজমুল হাসান।

উল্লেখ্য, সূচনা ফাউন্ডেশন মূলত মানসিক ও স্নায়ুবিক প্রতিবন্ধিতা, অটিজম এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করার উদ্দেশে কাজ করে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা