কবি কাজী রোজীর জীবনাবসান
করোনার সঙ্গে ২১ দিনের লড়াই শেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বরেণ্য কবি ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রোজী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক এই সংসদ সদস্য। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে সুমী সিকান্দার।
তিনি জানান, কাজী রোজীর মরদেহ হাসপাতাল থেকে সেগুনবাগিচার বাসভবনে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
কাজী রোজীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা শোক প্রকাশ করেছেন।
নানান শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। কোভিড পজিটিভ হওয়ায় তাকে আইসোলেশন ইউনিটের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। এর আগে সুমী সিকান্দার জানিয়েছিলেন, তার মায়ের মস্তিষ্ক কাজ করছিল না, কিডনিতে ইনফেকশন; মাল্টি অরগান প্রবলেম।
কাজী রোজী ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
গত শতাব্দীর ষাটের দশকে কবিতা লেখা শুরু করেছিলেন কাজী রোজী। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো–‘লড়াই’, ‘পথঘাট মানুষের নাম’, ‘আমার পিরানের কোনো মাপ নেই’ প্রভৃতি। কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২১ সালের বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন।
কবিতা চর্চা ছাড়াও তিনি সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন, ২০০৭ সালে তথ্য অধিদফরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন। পরে রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাতক্ষীরা জেলার জন্য নির্ধারিত সংরক্ষিত নারী আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন : কবি কাজী রোজী বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত হবেন
কাজী রোজীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
এসএ/