সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ
৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায়
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা, টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, শতভাগ পেনশন পুনর্বহাল, পে কমিশন গঠন পূর্বক পে স্কেল বাস্তবায়ন এবং চাকরির বয়সসীমা ৩২ বছর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) হোটেল রয়েল প্যালেসে এক সভা থেকে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
সংহতি পরিষদের সভাপতি নিজামুল ইসলাম মিলন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদের মহাসচিব মো. আমজাদ আলী খান, সহ সভাপতি মতিউর রহমান, আবু তাহের, ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পিএলআই ঢাকা’র মাকসুদা খাতুন, সহ-মহাসচিব শফি মোহাম্মদ রেজা, ক্যান্সার হাসপাতাল মহাখালীর যুগ্ম মহাসচিব মো. হেলাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাভেদ চৌধুরী, সরকারি কর্মচারি সংহতি পরিষদের অতিরিক্ত মহাসচিব জাহাঙ্গীর কবির, সচিবালয় কেয়ারটেকিং প্রতিষ্ঠানের যুগ্ম সচিব রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সচিবালয় হিসাব রক্ষণ কর্মচারী সমিতির সভাপতি নিলুফা আক্তার, হৃদরোগ হাসপাতালের লতিফ গাজী, ইনকাম ট্যাক্সের আবুল কালাম আজাদ, নির্বাচন কমিশন অফিসের মো. জাহাঙ্গীর, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মো. রায়হান, আয়কর বিভাগের মো. হারুন অর রশীদ ও আব্দুর রহিম।
সভায় সংহতি পরিষদের নেতারা বলেন, নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পরিবহন ব্যয় ও চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি কর্মচারীরা তাদের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।
তারা বলেন, ২০১৫ সালে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বেতন বেড়েছে, ৩য় শ্রেণি, ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাড়েনি। ৩য়, ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বিষয়গুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপেক্ষিত হয়েছে। সাত দফা দাবি আদায়ে তারা জোট গঠন করেছে।
বক্তারা আরও বলেন, তাদের আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়,সরকারকে বিব্রত করার জন্যও নয়। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ জোট গঠন করবে। তারা সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন কর্মসূচি দেবে।
সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কর্মসূচি তারা গ্রহণ করবে না বলেও জানান তারা। ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম, সমাবেশ, মানববন্ধন, মিছিলসহ কঠোর কর্মসূচির প্রস্তাব করেন।
সভা থেকে পাঁচ দপা দাবি জানানো হয়। এগুলো হচ্ছে-৯ম পে স্কেল গঠন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ১৯৭৩ সালে ১০ (দশ) ধাপে ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন প্রথা পুনর্ববহাল করতে হবে। এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি চালুসহ সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয়ের বাহিরে সরকারি কর্মচারীদের পদ ও বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের পূর্বের ৩টি টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন সমতাকরণ পুনর্বহাল করতে হবে।
প্রশাসন ক্যাডারে কর্মরত কর্মচারীদের ন্যায় সরকারি কর্মচারীদের বিনা সুদে ৩০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে হবে। এবং চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বৎসর ও অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে।
তাদের এসব দাবি আদায়ে সংহতি পরিষদের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এনএইচবি/এমএমএ/