বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

নাটোরের এমপি শিমুলকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

বিদেশে অর্থ পাচার করে বাড়ি কেনার অভিযোগে নাটোরের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্সে প্রকাশিত অর্থ পাচারকারীদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অর্থ পাচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করে সংগঠনটি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, মুক্তিযোদ্ধা নির্মল চন্দ্র দাস, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মাহিমসহ নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, 'মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন ও সংগ্রামের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে নাটোরের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। বিদেশে অর্থ পাচারের অপরাধে এমপি শিমুলকে অবিলম্বে জাতীয় সংসদ ও আওয়ামী লীগ থেকে অপসারণ করতে হবে।'

রুহুল আমিন মজুমদার বলেন, 'বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধ ব্যতীত দেশের সার্বিক উন্নয়ন অসম্ভব। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করার পূর্বশর্ত হচ্ছে দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু কতিপয় দুর্নীতিবাজদের কারণে দেশের সার্বিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের পতাকা আবারও খামচে ধরতে চায় একাত্তরে পরাজিত সেই পুরনো শকুনের দোসররা। আমরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। কোন স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যদেরকে আওয়ামী লীগে দেখতে চাই না। প্রধানমন্ত্রীর নিকট আহ্বান রাজাকার পুত্র শিমুলকে দ্রুত জাতীয় সংসদ ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করুন। এদের কারণে প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।'

জহির উদ্দিন জালাল বলেন, 'নাটোরের এমপি রাজাকার পুত্র শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নামে কানাডায় বাড়ি কেনার অভিযোগ ওঠেছে। কিন্তু দুদক এখনো পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নাটোর শহরে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, জায়গা-জমি কেনার অভিযোগ ওঠেছে। তার বর্তমান স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নির্বাচনী হলফনামার সাথে অসামঞ্জস্য। সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে তার সম্পত্তির পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে যা দেশের প্রচলিত আইন পরিপন্থী। অবিলম্বে তার সম্পত্তির হিসাব জাতির সামনে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি। এমপি শিমুলের স্ত্রী পেশায় একজন গৃহিণী। কানাডার বেগমপাড়ায় তার স্ত্রী কিভাবে বাড়ি কিনলেন? জনগণের টাকা লুট করে বিদেশে অর্থ পাচার করা কোন সাংসদের দায়িত্ব হতে পারে না। তাকে অবশ্যই দুদকের নিকট জবাবদিহি করতে হবে। আমরা অস্ত্র জমা দিয়েছি, ট্রেনিং জমা দেইনি। প্রয়োজনে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমরা আবার যুদ্ধে নামব।'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ বলেন, 'মহান মুক্তিযুদ্ধে এমপি শিমুলের পিতার বিতর্কিত ভূমিকা ছিল বলে নাটোরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নামক বইয়ে উল্লেখ আছে। নাটোরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নামক সেই বইয়ের লেখক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার সরকারকেও বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এমপি শিমুলের বিরুদ্ধে। এছাড়াও নাটোরে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অবিলম্বে সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগগুলো তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।'

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, 'সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্সে প্রকাশিত ৬৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশিত হয়েছে যারা বিদেশে অর্থ পাচারের সাথে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কিন্তু এখনোও পর্যন্ত এদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়নি। প্রতিবছর জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে যা দেশের অর্থনীতির জন্য অনেক বড় অশনিসংকেত। এমপি শিমুলসহ বিদেশে অর্থ পাচারকারীরা কি রাষ্ট্র ও দুদকের চেয়ে শক্তিশালী? এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে রাষ্ট্র ও দুদককে প্রমাণ করতে হবে তারা সত্যিকার অর্থে শক্তিশালী। জনগণ দুদকের দিকে তাকিয়ে আছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের নিকট দাবি, কানাডার বেগমপাড়াসহ অন্যান্য দেশে যারা অবৈধভাবে অর্থ পাচার করেছে তাদের নামের তালিকা জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে।'

এসএম/এএস

Header Ad
Header Ad

নতুন তথ্য উপদেষ্টা হচ্ছেন মাহফুজ আলম

মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন তথ্য উপদেষ্টা হচ্ছেন মাহফুজ আলম। মঙ্গলবার মো. নাহিদ ইসলাম এই পদ থেকে পদত্যাগ করায় মাহফুজ আলম তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।

বিষয়টি মোটামুটি চূড়ান্ত। শিগগিরই এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে। মঙ্গলবার সরকারের একটি সূত্র যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মো. নাহিদ ইসলাম মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তার পদত্যাগের পর এ দুই মন্ত্রণালয়ের বিষয়টি আলোচনা আসে।

সূত্র জানায়, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের কারণে নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ জরুরি ছিল। ফলে পরবর্তী তথ্য উপদেষ্টা কে হচ্ছেন, তা আলোচনায় আসে। এক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার বর্তমান প্রেস সচিব শফিকুল আলমের নাম সবার আগে আলোচনায় আসে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শেষ মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা তাকে ছাড়তে চাননি। এ কারণে সম্প্রতি শফিকুল আলমকে পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়র সচিবের মর্যাদা দেওয়া হয়। এরপর তথ্য উপদেষ্টা হিসাবে মাহফুজ আলমের নাম চূড়ান্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।

জানা যায়, মাহফুজ আলম ১০ নভেম্বর উপদেষ্টা হিসাবে শপথ নেন। তবে তিনি কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ২০ দিনের মাথায় ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসাবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক করেছেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে পতিত হাসিনা সরকারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাহফুজ আলম। যুক্তরাষ্ট্রের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা তাকে এই আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি গণ-অভু্যত্থানপরবর্তী ছাত্র, নাগরিক ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষায় লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতি, বাঁধা দেওয়ায় শিক্ষকসহ দুইজনকে মারধর

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শিক্ষা সফরের ৪ স্কুল বাসে একসঙ্গে দুর্ধর্ষ সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে চার টার দিকে উপজেলার ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের লক্ষণের বাধা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই সময় ডাকাতরা বাস থেকে মালামাল লুট করে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে এই সড়কে পর পর ৩ টি ডাকাতির ঘটনা ঘটল।

জানা গেছে, ময়মনসিংহ বিভাগের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সোয়াইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি ঘাটাইল উপজেলার স্বীমানা ঘেঁষা। মঙ্গলবার ভোরে ৪টি বাস নিয়ে ওই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শিক্ষা সফরের জন্য নাটোরের গ্রীনভ্যালি পার্কের উদ্দেশে রওনা দেন। পরে ঘাটাইল উপজেলার ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের সাগরদীঘি ইউনিয়নের লক্ষণের বাধা নামকস্থানে পৌঁছলে তারা ডাকাত দলের কবলে পড়েন।

এ ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান জানান, রাতে বেলা রাস্তা খালি পেয়ে দ্রুতগতিতে চলছিল। হঠাৎ তিনিসহ অন্যরা সড়কের মাঝ বরাবর গাছের গুঁড়ি দেখতে পান। তিনি বুঝে ফেলেন এই কাজ ডাকাতদের। সতর্ক করেন সবাইকে। বন্ধ করে দেওয়া হয় গাড়ির জানালা ও গেট। কিছু বুঝে উঠার আগেই ১০-১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গাড়িতে আঘাত শুরু করে। ডাকাতরা পেছনের গাড়ি থেকে তাদের মালামাল লুট করা শুরু করে। এরই মধ্যে তিনি জরুরি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ততক্ষণে তিনটি গাড়ির যাত্রীদের কাছ থেকে মালামাল লুট করা শেষ করে ডাকাতরা।

খলিলুর রহমান আরও জানান, ডাকাতরা দেড় লাখ নগদ টাকা নিয়ে গেছে। দেড় ভরি স্বর্ণ ও ১০টা স্মার্টফোন নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাখাওয়াত হোসাইন রবিন (২৫) ও অভিভাবক শহিদুল্লাহ তালুকদার (৩৯) ডাকাতদের মারধরে আহত হয়েছেন।

আহত সাখাওয়াত হোসাইন রবিন জানান, তিনি দুই নম্বর গাড়িতে ছিলেন। ওই গাড়িতে শুধু ছাত্রীরা ছিল। ডাকাতরা তার কাছে থেকে মোবাইল নেওয়ার পর যখন ছাত্রীদের দিকে যাচ্ছিল তখন তিনি বাধা দেন। এর ফলে তারা তাকে দায়ের উলটো পিঠ দিয়ে আঘাত করে। ডাকাতদের অস্ত্র ও ভয়ংকর রূপ দেখে গাড়িতে জ্ঞান হারান কৃষি বিষয়ের শিক্ষক আবুল কালাম (৫২)।

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া আক্তার জানায়- ভয়ে সে অনেক কেঁদেছে। এখনও তার ভয় দূর হয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য লিয়াকত হোসেন জানান, মাঝে মধ্যেই ওই স্থানে (লক্ষণের বাধা) ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গত বুধবারও(১৯ ফেব্রুয়ারি) একই স্থানে ডাকাতি হয়েছে।

মালিরচালা গ্রামের লিটন ভূইয়া জানান, সড়কে গাছ ফেলে একই কায়দায় গত বুধবারের ডাকাতির ঘটনায় মোটরসাইকেল ও কাঁচামালের ট্রাক আটকে তাদের কাছ থেকে সবকিছু লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।

এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কে গাছ ফেলে শিক্ষা সফরে যাওয়ার পথে ৪ টি স্কুলবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যতটুকু জানতে পেরেছি ৭টি মোবাইল ও দুই হাজার ৭০০ টাকা নিয়েছে ডাকাতরা। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলাকার লোকদের নিয়ে বৈঠক করেছি। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি।

প্রসঙ্গত, উপজেলা সদর থেকে সাগরদীঘি পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার সড়কে প্রতিনিয়ত ডাকাতি হচ্ছে। গত ১০ দিনে সড়কের একই স্থানে ৩টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতের দল চালকসহ যাত্রীদের মালপত্র লুটে নেয়। শুধু তাই নয়, চালক ও যাত্রীদের মারধর করে যানবাহনে ভাঙচুরও করা হয়।

Header Ad
Header Ad

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তিতে সম্মত ইউক্রেন  

ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র্রের সঙ্গে বড় খনিজ চুক্তির শর্তাবলিতে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। কিয়েভের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন।

“আমরা বেশ কয়েকটি ভালো সংশোধনীতে একমত হয়েছি এবং এটিকে একটি ইতিবাচক ফলাফল হিসেবে দেখছি,” আর কোনো বিবরণ না দিয়ে বলেন ওই কর্মকর্তা ।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার থেকে সম্ভাব্য ৫০০ বিলিয়ন ডলার রাজস্বের অধিকারের প্রাথমিক দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে দৃঢ় নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়নি, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউক্রেনীয় দাবি।

দুই নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র বাক্য বিনিময়ের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি আশা করছেন, এই সপ্তাহে ওয়াশিংটনে তার ইউক্রেনীয় প্রতিপক্ষ ভলোদিমির জেলেনস্কি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

কোনো চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত না করেই, ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেন, চুক্তির বিনিময়ে ইউক্রেন ‘লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অধিকার’ পাবে।

“তারা খুব সাহসী,” তিনি সাংবাদিকদের বলেন।

“কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ এবং সামরিক সরঞ্জাম ছাড়া এই যুদ্ধ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যেত।” যোগ করেন ট্রাম্প।

ইউক্রেনে মার্কিন সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ সরবরাহ অব্যাহত থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “হয়তো রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত... আমাদের একটি চুক্তি করতে হবে, অন্যথায় এটি চলতেই থাকবে।”

ট্রাম্প আরও বলেন, “যেকোনো শান্তি চুক্তির পর ইউক্রেনে “শান্তিরক্ষা’ প্রয়োজন হবে। তবে তা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।”

গত সপ্তাহেই ট্রাম্প জেলেনস্কিকে ‘একনায়ক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং যুদ্ধ শুরু করার জন্য রাশিয়াকে নয় বরং ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছেন বলে মনে হচ্ছে, যখন ইউক্রেনের নেতা ৫০০ বিলিয়ন ডলারের খনিজ সম্পদের জন্য মার্কিন দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রপতি রাশিয়ার তৈরি ‘ভুল তথ্যের জায়গায়’ বাস করছেন।

তিন বছর আগে মস্কো পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ট্রাম্প ইউক্রেনের পূর্ববর্তী সামরিক ও অন্যান্য সাহায্যের বিনিময়ে দেশটির খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকারের জন্য চাপ দিচ্ছেন।

জেলেনস্কি যুক্তি দেন যে এত বেশি আমেরিকান সাহায্য এখনো পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, “আমি আমাদের রাষ্ট্র বিক্রি করতে পারি না।”

মঙ্গলবার, ট্রাম্প বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৩০০ থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। আমরা সেই টাকা ফেরত পেতে চাই। আমরা দেশকে একটি খুব বড় সমস্যার মধ্য দিয়ে সাহায্য করছি... কিন্তু আমেরিকান করদাতারা এখন তাদের টাকা ফেরত পাবেন।”

ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলহা স্টেফানিশিনা মঙ্গলবার খনিজ চুক্তির বিষয়ে প্রথম রিপোর্ট করা ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, চুক্তিটি ‘ছবির একটি অংশ মাত্র’।

“আমরা মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকে একাধিকবার শুনেছি যে এটি একটি বৃহত্তর ছবির অংশ,” আলোচনার নেতৃত্বদানকারী স্টেফানিশিনা বলেন।

ইউক্রেনীয় সূত্রের মতে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির কাছ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তার আরও কিছু কঠিন দাবি থেকে সরে আসতে হয়েছে এবং এই চুক্তির অনেক বিবরণের জন্য আরও আলোচনার প্রয়োজন হবে।

ইউক্রেনের নিউজ ওয়েবসাইট ইউক্রেনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে যে খনিজ চুক্তিটি ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্বাক্ষর করবেন।

নিউজ সাইটের অর্থনীতি ইউনিট ইপি জানিয়েছে যে দুটি দেশ একটি পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল গঠনেও সম্মত হয়েছে।

ইউক্রেনে লিথিয়াম এবং টাইটানিয়ামসহ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং খনিজ পদার্থের বিশাল মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি বিশাল পরিমাণে কয়লা, গ্যাস, তেল এবং ইউরেনিয়াম রয়েছে।

গত বছর জেলেনস্কি ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা অংশীদারদের কাছে একটি ‘বিজয় পরিকল্পনা’ উপস্থাপন করেছিলেন যাতে প্রস্তাব করা হয়েছিল যে যুদ্ধের শেষে বিদেশী সংস্থাগুলি দেশগুলির কিছু খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার পেতে পারে।

মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন যে তিনি ইউক্রেনের রাশিয়া-অধিকৃত অঞ্চলগুলিসহ বিরল খনিজ পদার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রবেশাধিকার দেওয়ার জন্য উন্মুক্ত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন তথ্য উপদেষ্টা হচ্ছেন মাহফুজ আলম
টাঙ্গাইলে শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতি, বাঁধা দেওয়ায় শিক্ষকসহ দুইজনকে মারধর
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তিতে সম্মত ইউক্রেন  
ছোট অপরাধ বাড়লেও কমেছে বড় অপরাধ: আসিফ মাহমুদ  
নায়িকার মামলায় জাজের আজিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা  
মধুর ক্যান্টিনে বিকেলে যাত্রা শুরু করবে সমন্বয়কদের নতুন ছাত্রসংগঠন
১৩ মার্চ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব  
গোল উৎসবে নিষ্প্রাণ বার্সার রক্ষণ, সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ড্র
ইসরায়েলি কারাগারে কমপক্ষে ৫৯ ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যু  
পল্টনের জামান টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে  
ভোরে হঠাৎ পুলিশের টহল কার্যক্রম পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  
কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নারী নিহত
নওগাঁয় যৌথ বাহিনীর টহল সন্দেহ হলেই করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ
সরকারের কারও কারও বক্তব্যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে: তারেক রহমান
বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ, আটক ৪
জুলাইয়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় আসবে পাকিস্তান
টাঙ্গাইল পৌরসভায় দুদকের অভিযান
ডিআইজি-এসপিসহ পুলিশের ৮২ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ওএসডি
অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন ৭ জন অতিরিক্ত সচিব