‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু’
বঙ্গবন্ধু একে অপরের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ভারতের সিমলায় বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপের দশম রাউন্ডের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাহরিয়ার আলম এ অঞ্চলে এবং এর বাইরেও শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের অটল অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন। বঙ্গবন্ধুর নীতির দ্বারা পরিচালিত, বাংলাদেশ শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করে, যাতে প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব জনগণের কল্যাণে অগ্রসর হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজে তার সম্পদ ও শক্তি উৎসর্গ করতে পারে।
মানুষে মানুষে যোগাযোগের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইতিবাচক আখ্যান তৈরিতে নীতিনির্ধারক, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষযটি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি বাংলাদেশের অংশীদারদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে।
দুই দিনব্যাপী এ মৈত্রী সংলাপের আয়োজন করেছে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ। আগামীকাল শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংলাপ শেষ হবে।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপ প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য উভয়দেশের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং সুশীল সমাজসহ মূল স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করার একটি ফোরাম। ২০১৯ সালে কক্সবাজারে নবম দফা সংলাপের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর, ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং, গভর্নিং কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সদস্য রাম মাধব, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, মির্জা আজম, অসীম কুমার উকিল, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান প্রমুখ।
আরইউ/আরএ/