খালের সীমানা থেকে স্বেচ্ছায় না গেলে গুঁড়িয়ে দেব: মেয়র আতিক
'খালের সীমানার মধ্যে যারা আছেন স্বেচ্ছায় চলে যান, না হলে আমরা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেব।' খালের পানি প্রবাহ ফিরিয়ে দিতে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকাধিন ২৯টি খাল ও একটি রেগুলেটিং পন্ডের সীমানা নির্ধারণ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র একথা বলেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, "এক বছরের মধ্যে ঢাকা শহরের সকল খালের সীমানা নির্ধারণ করার জন্য টার্গেট নিয়েছি। তারই ফলশ্রুতিতে এখানে কাজ শুরু করছি। সীমানা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকে বলবে, 'আমার বাড়ির উঠান, আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খালের মধ্যে পড়েছে'। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আমরা কাজ করব।"
খাল দখলকারীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, যারা দখল করে আছেন, এটা আপনার জায়গা না। আপনাকে ছেড়ে যেতেই হবে। আপনারা যদি স্বেচ্ছায় না ছাড়েন, বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিতে হবে। আমাদের কঠিন হতে হবে। কঠিন হতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে, জলবদ্ধতা মুক্ত ঢাকা শহরে গড়ার স্বার্থে। খালের প্রবাহ ঠিক রাখতে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। এই কাজ করতে গেলে অবশ্যই খালের অবৈধ দলখদার উচ্ছেদ করতে হবে।
মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় যে খালের সীমানা নির্ধারণ করা হলো সেই খাল নিয়ে ডিএনসিসির পরিকল্পনা তুলে ধরে মেয়র বলেন, অনেক দুরূহ কাজ হাতে নিয়েছি। কল্যাণপুর খালে একটি ইকো পার্ক করতে চাচ্ছি। ইকোপার্ক যখন করব তখন অনেকে বলবে আমার জায়গা এর মধ্যে পড়েছে। সেজন্যই সীমানা নির্ধারণটা জরুরি। আমরা সিএস জরিপ ও এসএ জরিপের সহায়তা নিয়ে যেখানে খালের সর্বোচ্চ জায়গা পাব সেটাই ধরা হবে। আমরা ড্রোনের সাহায্যে ছবি নিয়ে খালের সীমানা নির্ধারণ করছি। এই কাজে ৩০-৪০ ফুট এদিক সেদিক হওয়ার সুযোগ নাই। হয়তো ১ থেকে ৫ মিটার এদিক সেদিক হতে পারে। তাই কেউ আর নিজের জায়গায় খুঁটি পড়ছে বলে দাবি করতে পারবে না।
মেয়র বলেন, 'ড্রোনের সাহায্যে খালের সীমানা নির্ধারণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করলাম। তাই নগরবাসীকে অনুরোধ করব আপনারা আমাদের এই কাজে সহযোগিতা করুন। আমরা যেন আগের মতো খালে পানি প্রবাহ বাড়াতে পারি জলাবদ্ধতামুক্ত ঢাকা শহর উপহার দিতে পারি।'
প্রথমবারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের খালগুলো নিজস্ব ঠিকানা পাওয়া শুরু করেছে। ড্রোনের সাহায্যে খালের সীমানা নির্ধারণ করে স্থায়ী পিলার স্থাপন করে দিচ্ছে। পুরো ডিএনসিসি এলাকার এই কাজ করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাচ।
এসএম/টিটি