যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা জানতে চায় সংসদীয় কমিটি
র্যাব ও আইন শৃঙ্খলার শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞা কেন? বিষয়টি আগে থেকে কেন জানতে পারল না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিষেধাজ্ঞার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা কি এসব বিষয়ে জানতে চেয়েছে সংসদীয় কমিটি। বাংলাদেশের মতো অন্যান্য দেশেও এই নিষেধাজ্ঞা আছে কি না? কেন দিলো সেসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের মিশনগুলোকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য তৎপর থাকার সুপারিশ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মত করে অন্য দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কিনা, বাংলাদেশের বিপরীতে অন্য কোন দেশের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কি না তা আগামী বৈঠকে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নিচ থেকে ৩৫তম।
এছাড়া মালদ্বীপের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ-মালদ্বীপ বাণিজ্য বৃদ্ধিকল্পে দ্রুত ও সরাসরি নৌ যোগাযোগ স্থাপন করার ব্যাপারে কমিটি থেকে সুপারিশ করা হয়। মালদ্বীপে ডাক্তার নার্সদের অনেক চাহিদা রয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে যেসকল বাংলাদেশী অবৈধভাবে রয়েছে তাদের কিভাবে কাজ দিয়ে বৈধভাবে থাকার ব্যবস্থা করা যায় তা নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মো. আব্দুল মজিদ খান, মো. হাবিবে মিল্লাত এবং নাহিম রাজ্জাক অংশগ্রহণ করেন।
এসএম/