এ মাসের শেষ নাগাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
এই মাসের শেষ দিকে করোনাভারইরাস পরিস্থিতির হয়ত পরিবর্তন হবে এবং সেই সময় আমরা সবগুলো স্কুল কলেজ আবার খুলে দিতে পারব, আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে সবাইকে টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সেগুনবাগিচা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
টিকা নিলে করোনা আক্রন্ত হলেও তেমন খারাপ পর্যায়ে যাবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে সমস্ত ছেলেমেয়ে ১২ বছরের উপরে তাদেরকেও টিকা দেওয়া শুরু করেছি। তবে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে অনেকের একটা অনীহা থাকে। টিকা নিতে চান না। তবে এখন আমরা সব সব স্তরের মানুষ যাতে টিকা পায় তার ব্যবস্থা নিয়েছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি যাতে আমরা খুলতে পারি তার জন্য টিকা কার্ক্রম অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু গতানুগতিক শিক্ষা নিলে হবে না, সময়ের উপযোগী শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি ছেলেমেয়ে বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে, উপযুক্ত নাগরিক হিসাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির যুগ, কারিগরির যুগ। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা ভোকেশনাল ট্রেনিং বা কারিগরি শিক্ষাকে সবথেকে গুরুত্ব দিচ্ছি।
শুধু গতানুগতিক ডিগ্রী নিলেই হবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাভাবিকভাবে যেকোনো মানুষ পড়াশোনা করে আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য, কর্মসংস্থানের জন্য। তাই কর্মসংস্থানের উপযুক্ত শিক্ষাই আমাদের গ্রহণ করতে হবে। সেই শিক্ষাই আমাদের দিতে হবে। শুধু শিক্ষা না গবেষণার উপর গুরুত্ব দিতে হবে যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে। কাজেই যারা অকৃতকার্য হয়েছেন তাদের কোনো দোষ নেই। অভিভাবকদের বলব, শিক্ষার্থীদের জন্য আপনারা আরও সুযোগ করে দেবেন। অকৃতকার্য হওয়া কোনো অপরাধ নয়।
করোনার সময়ও শিক্ষাক্রম অব্যাহত রেখে পরীক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘোষণা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
এসএম/কেএফ/