বিএসএমএমইউতে মারা গেছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কায়সার
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত সাবেক জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা ও প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে তিনি মারা যান।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক(এস আই) অমল কৃষ্ণদে জানান,বার্ধক্যজনিত কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখানে তিনি মারাযান। পরে আইনের প্রক্রিয়ার শেষে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
আজ বিকেলে এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. দীপিকা বলেন, আমরা তার ময়না তদন্ত শেষ করে তার আত্নীয়- স্বজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছি। এস আই আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি ও ধর্ষণের দু’টিসহ মোট ১৬টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ১৪টি প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় ট্রাইব্যুনালের রায়ে। ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বর অভিযোগে সাত বছর ও ১১ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ অভিযোগগুলোতে কায়সারকে কোনো সাজা দেননি আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন সৈয়দ কায়সার। আপিলে খালাসের আরজিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়। এছাড়া ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করা হয়।
নিহতের ছোটভাই সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল জানান,আমরা এখনো মরদেহ বুঝে পাইনি। মরদেহ বুঝে পেলে উনাকে মাধবপুর উপজেলার, করেনোয়াপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হবে।