শত প্রাণের বিনিময়ে ইউপি নির্বাচনের ভোট ৭২.২০%
স্থানীয় সরকারের চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মোট আটটি ধাপে ভোট পড়েছে ৭২ দশমিক ২০ শতাংশ। এই আট ধাপে সারাদেশে মোট ৪ হাজার ১৩৬টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সাথে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১০০ জনের মতো প্রানহানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি’র অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত সচিব। এসময় ইসি’র যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান ও যুগ্মসচিব ফরহাদ আহম্মদ খান উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অষ্টম ধাপের সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা। অষ্টম ধাপে দু'টি ইউপিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। একই সাথে এখন পর্যন্ত শেষ হওয়া আটটি ধাপে মোট বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৭১ জন নির্বাচিত হয়েছেন। আর মোট ৩৯৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এরপরও কোথাও কোথাও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে কিছু প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এজন্য নির্বাচন কমিশন দুঃখ প্রকাশ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠান একটি মহা কর্মযজ্ঞ। এতে ব্যাপক জনবলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও এর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোষ্টগার্ড, আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইভিএমের ধীরগতির বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক হয়েছে আজ। ইভিএমের কারিগরি বিষয়ের সাথে যারা প্রথম থেকে এটার সাথে জাড়িত ছিলেন, তারা মতামত দিয়েছে। তারা বলেছেন, ইভিএমে ভোট দিতে প্রথম ধাপে ফিঙ্গার না মিললে ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড সময় নেয়। তারপর আবার ফিঙ্গার দিতে হয়। এজন্য ইভিএমে ভোটগ্রহণে দেরি হচ্ছে। আমাদের ভোটার ইকোজেশন কম থাকাতে ইভিএমে ভোট দিতে দেরি হচ্ছে। বাস্তবিক অর্থে মেশিনের কারণে কোন ধীরগতি হচ্ছে না বলে জানান তিনি।’
অতিরিক্ত সচিব জানান, ‘কমিটির সভায় বেশ কিছু সুপারিশ এসেছে। সুপারিশগুলো কম্পাইল করে পরবর্তী কমিশনে এগুলো অনুমোদন করলে প্রকাশ করা হবে। যেই সুপারিশগুলো এসেছে সেগুলো আরও বেশি ব্যবহারযোগ্য কিভাবে করা যায় সেই বিষয়গুলো দেখা হবে। উল্লেখযোগ্য সুপারিশ হচ্ছে, ইভিএমের জন্য গবেষণাগারগার নির্মাণ করে প্রতিনিয়ত এগুলো আরও যুগপোযোগী করতে কাজ করতে হবে। আরেকটি সুপারিশ হচ্ছে, আমাদের ইভিএমগুলো হ্যাকারদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আয়োজন করতে হবে। এই আয়োজন করতে পারলে হ্যাকাররা ইভিএমের অনেক ত্রুটি বের করে আনতে পারবে। এই আয়োজনটা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।’
এসএম/