পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা অনুসন্ধানে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচের সঙ্গে সাক্ষাতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘কিছু বাধা আছে। আমাদের সেগুলো অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
অতীতের কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব বালুচ বলেন, ‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে দুই দেশের মধ্যে সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব অধিকারে বিশাল আন্ত আঞ্চলিক বাজার রয়েছে। আমাদের এটি ব্যবহার করা উচিত। আমরা প্রতিবার বাস মিস করতে পারি না। দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে নিয়মিত বিটুবি (ব্যবসা থেকে ব্যবসা) মিথস্ক্রিয়া এবং সব স্তরে সফর বিনিময়ের প্রয়োজন।’
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ব্যাবসায়িক চেম্বার এফপিসিসিআইয়ের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে এবং এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আশা করেন, ‘এপ্রিলের শেষে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের আসন্ন সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করবে।’
তিনি সর্বদা সার্কের কাঠামোর মধ্যে পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পছন্দ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক স্থবির হয়ে পড়ায় আমরা দীর্ঘদিন ধরে একে অপরকে মিস করে চলেছি। আমাদের বাধাগুলো অতিক্রম করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পাশাপাশি নিউইয়র্কে এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কায়রোতে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতিতে এই সাক্ষাতের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সার্ক, ওআইসি এবং ডি-৮-এর মতো বহুপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।
এ সময় এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৫ বছরের মধ্যে প্রথম পাকিস্তানি পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন আমনা বেলুচ।