পানির দাম বাড়ানো হবে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত: জিএম কাদের
ঢাকা ওয়াসা পানির দাম বাড়ানো যে প্রস্তাব করেছে তাতে ক্ষুব্ধ জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) বলেছেন, পানির দাম বাড়ানো হবে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। পানির দাম বাড়ালে মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে। তাই কোনভাবেই পানির দাম বাড়ানো ঠিক হবে না। সম্প্রতি ওয়াসার বিশেষ বোর্ড সভায় পানির দাম ৪০ শতাংশ বাড়ানোর যে প্রস্তাব করেছে তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিবদের এক সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান একথা বলেন।
জিএম কাদের আরও বলেন, মহামারি করোনার কারনে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। চাকরি ও ব্যবসা হারিয়ে দেশে বেকারের সংখ্যা কয়েক কোটি। এমন বাস্তবতায় সংসার চালাতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। আবার প্রতিদিনই দ্রব্যমূল্য বেড়ে আকাশচুম্বি হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাজধানীর অনেকেই প্রতিমাসে পানির বিল দিয়ে প্রয়োজন মতো পানি পাচ্ছেন না। আবার অনেকের অভিযোগ ওয়াসা লাইনের পানি ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় তা পান করা যায় না।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকা ওয়াসা নিজস্ব আয় দিয়ে পরিচালন ব্যয় ও উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণ পরিশোধে হিমসিম খাচ্ছে এ অজুহাতে পানির দাম বৃদ্ধি করা কখনোই যৌক্তিক হতে পারে না। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের অভিযোগে জানা যায়, ওয়াসার বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি ও অপচয়ের কারনে অযৌক্তিক হারে উন্নয়ন ও পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। যেটা পুষিয়ে নিতেই জনগনের ঘাড়ে অতিরিক্ত হারে পানির দাম চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের তার বক্তৃতায় প্রমাণস্বরুপ গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বলেছিলেন, পদ্মা নদীর পানি শোধনের মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসাকে দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ৩হাজার ৮শত কোটি টাকার ‘পদ্মা জশলদিয়া পানি শোধনাগার’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। সে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার ও সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের পর দেখা যায় সেখান থেকে দৈনিক মাত্র ১৫ কোটি লিটার পানি পওয়া যাচ্ছে। এতে করে প্রতি মাসে সরকারের ক্ষতি ১৭ কোটি টাকা বা বাৎসরিক ২০৪ কোটি টাকা।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাড শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম এমপি, এটিইউ তাজ রহমান, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মেজর (অব.) রানা মো. সোহেল এমপি।
এসএম/এমএইচ/এএস