বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩০ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতার কফিন মিছিল

ছবিঃ সংগৃহীত

গাজীপুরে হামলায় আবুল কাশেম নামে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল বের করেছে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৯টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাশেমের জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর লাশের কফিন নিয়ে শাহবাগের দিকে মিছিল বের করা হয়।

এ সময় তারা- ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’; ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘আমার ভাই কফিনে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘ছাত্র-জনতার অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’; ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, খুনি হাসিনা গেলি কই’; ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’; ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, গাজীপুরে অভ্যুত্থানের ৬ মাস পরে আমাদের ভাইকে কুপিয়ে শহীদ করা হলো। আমরা কিছুই করতে পারলাম না। লাশ সামনে নিয়ে বিগত দিনের ফ্যাসিবাদকে মনে পড়ছে। যে আওয়ামী লীগ আমার ভাইকে শহীদ করেছে সেই আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করার বিন্দু পরিমাণ অধিকার রাখে না। শহীদের লাশের শপথ করে বলছি, শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব।

তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। হাসিনা সেই ফ্যাসিবাদের ধারা বজায় রেখে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে গণহত্যা চালিয়েছে। তাই, এই মাটিতে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে, আওয়ামী লীগের রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, আজ স্বাধীনতার ৬ মাস পরেও বিপ্লবীদের শহিদ হতে হচ্ছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এর জবাব দিতে হবে। জুলাইয়ের একজন সৈনিক বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগের কবর রচনা করা হবে। শুধু নিষিদ্ধ করলেই হবে না, যারা বিভিন্নভাবে তাদের পক্ষ নিয়েছে প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করতে হবে। যদি তা না করে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা বিপ্লবকে সম্পন্ন করতে আইন হাতে তুলে নেবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আজকে আয়না ঘর প্রকাশিত হয়েছে, আজকেই অভ্যুত্থান বিষয়ক জাতিসংঘের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, আজকেই আমাদের ভাই শহীদ হলেন। বিপ্লবী ভাইয়ের শাহাদাত আমাদের ব্যর্থতা। আমরা এতদিন পর্যন্ত সুবিচার নিশ্চিত করতে পারিনি, আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর এ ভূখণ্ডের দখল আমরা পেয়েছি। ৫ আগস্টের পরে হয় আমরা থাকব না হলে আওয়ামী লীগ থাকবে। বিপ্লবীরা ও আওয়ামী লীগ এক সঙ্গে এ দেশে থাকতে পারে না। আমরা স্পষ্ট করে সরকারকে বলতে চাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর শাস্তি নিশ্চিত করুন এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন।

কাশেমের মৃত্যুর ঘটনায় এর আগে কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। কর্মসূচি অনুযায়ী— সারা দেশের প্রত্যেক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামে শহীদ আবুল কাশেমের গায়েবানা জানাজা এবং আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে খাটিয়া মিছিল করা হবে।

Header Ad
Header Ad

বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক

বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ভারতের কৃষ্ণনগর বিএসএফ সেক্টরের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তের বিপরীতে ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গেদে ক্যাম্পে বিজিবি-বিএসএফ এর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিটে  বৈঠক শুরু হয়। দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটে বৈঠক শেষ হয়। দু'ঘন্টা ধরে চলে এ বৈঠক।  বৈঠকে ভারতের বিএসএফের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন কৃষ্ণনগর সেক্টর কমান্ডার ডিআইজি শ্রী সঞ্জয় কুমার এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মারুফুল আবেদীন।

বৈঠকে দুই দেশের সীমান্তের চলমান সমস্যা, সীমান্ত হত্যা, মাদক চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার রোধসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে বাংলাদেশিদের ওপর গুলি না চালানো এবং যৌথভাবে কাজ করার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে উঠে আসে।

এই বৈঠকটি দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বৈঠক শেষে, উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে উপহার বিনিময় করা হয়।

বৈঠকে বিএসএফ এবং বিজিবির বিভিন্ন কর্মকর্তারা বিজিবির পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন  চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান,  মহেশপুর ৫৮ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম,  যশোর রিজিওনের স্টাফ অফিসার মেজর আমিনুর রহমান,  কুষ্টিয়া সেক্টরের স্টাফ অফিসার মেজর শফিকুল ইসলাম, ৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী,  দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার হাবিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সদস্যগণ।

অপরদিকে বিএসএফের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন কমান্ডেন্ট সঞ্জয় প্রসাদ সিং, কমান্ডেন্ট সুনীল কুমার, কমান্ডেন্ট বিপিন পান্থরি, কমান্ডেন্ট বি মধুসূদন রাও, কমান্ডেন্ট সুজিত কুমার, ডেপুটি কমান্ডেন্ট দুর্গেশ কুমার, ডেপুটি কমান্ডেন্ট বিনোদ কুমার, কোম্পানি কমান্ডার ভিতাশী ও কোম্পানি কমান্ডার ভিড পালসহ সংশ্লিষ্টরা।

বৈঠক শেষে বিজিবি প্রতিনিধি দল সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আইসিপি দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসে। এসময় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের ব্রিফ করেন বিজিবির কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মারুফুল আবেদীন। 

Header Ad
Header Ad

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শায়রুল কবির জানান, ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। বেলা ১১টায় তাদের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টে ৮৪৮ নেতাকর্মী হত্যা

শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ট্রাইব্যুনালে বিএনপির অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই আগস্ট গণহত্যায় দেশব্যাপী ৮৪৮ নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে জানান বিএনপির মামলা ও সমন্বয় প্রধান সালাউদ্দিন খান।

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মামলা ও সমন্বয় প্রধান সালাউদ্দিন খান। ছবি: সংগৃহীত

মামলায় সাবেক শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাতসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে। তালিকাসহ অডিও ভিডিও ও ৮৪টি মামলার এজাহারের কপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।

২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে কোটাবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন করে বিএনপির পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করে। সেখানে ৮৪৮ জনের শহীদের তালিকা জমা দেয় বিএনপি। একইসঙ্গে দেশব্যাপী হওয়া মামলার এজাহার, পত্রিকার ছবি, অডিও ভিডিও জমা দেওয়া হয়েছে। তারা হত্যার সঠিক বিচার, ন্যায়বিচার দাবি করেন তারা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক
শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ট্রাইব্যুনালে বিএনপির অভিযোগ
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন, প্রজ্ঞাপন জারি
প্রিয়জনকে চুম্বনের যত উপকারিতা  
এরকম একটা ঘরে হয়তো আমার বন্ধুকে আটকে রাখা হয়েছিল, আয়নাঘর নিয়ে ফারুকী
ছাত্রদের নতুন দলের ঘোষণা আসতে পারে ২৪ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশে এ বছরই আসতে পারে স্টারলিংক  
টাঙ্গাইলে হেফাজতের আপত্তিতে লালন স্মরণোৎসব বন্ধ  
আসাদের পতনের পর পুতিন ও আল-শারার প্রথম ফোনালাপ  
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতার কফিন মিছিল
রোজার আগেই বেক্সিমকোর শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের আশ্বাস
ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি সারলো ভারত
গোবিন্দগঞ্জের সাবেক এমপি আতাউর রহমান বেলাল আর নেই
নুরুজ্জামান কাফির পরিবারের পাশে সেনাবাহিনী, দোষীদের বিচারের আশ্বাস
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
একুশে বইমেলা তৌহিদী জনতার ‘ক্ষোভ-বিক্ষোভ’ ন্যায়সঙ্গত: ফরহাদ মজহার
দেশের প্রযুক্তি খাত ভারত ও শেখ পরিবারের কাছে জিম্মি: আমিনুল
বাকৃবিতে ৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে নতুন ছাত্র হল
অপারেশন ডেভিল হান্ট: চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার