বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সবচেয়ে বেশি আলোচিত বন্দিশালা আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল এবং র‌্যাব-২ এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেলগুলো পরিদর্শন করেন। পরে র‌্যাব সদর দপ্তরের টাস্কফোর্স ইন্টেলিজেন্স সেন্টারে যান।

বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে প্রধান উপদেষ্টা জানান, সবক্ষেত্রে আইয়্যামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার। যারা এমন অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করা হবে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা সবাই সঙ্গে ছিলেন, কাজেই আমার নতুন করে কিছু বলতে হবে না। এটার বর্ণনা যদি বলতে হয়, তাহলে বলব এটা বীভৎস দৃশ্য, নৃশংস অবস্থা, অতীতে এখানে যেসব অবস্থা হয়েছে। যতটা শুনি অবিশ্বাস্য মনে হয়। এটা কি আমাদেরই জগৎ, আমাদেরই সমাজ?

তিনি বলেন, যারা এর (গুম) শিকার হয়েছে, তারা আমাদের সঙ্গে আছেন, তাদের মুখ থেকে শুনলাম কী হয়েছে তাদের সঙ্গে, কোনো ব্যাখ্যা নেই এর। কোনো ব্যাখ্যা থাকলে মানুষ বুঝে এর কোনো কারণ ছিল। বিনা কারণে মানুষকে রাস্তা থেকে তুলে আনা হয়েছে।

এ রকম টর্চার সেল বাংলাদেশজুড়ে আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আমার ধারণা ছিল, আয়নাঘর বলতে কয়েকটি আছে এখানে। এখন শুনতেছি এই আয়নাঘরের বিভিন্ন ভার্সন দেশজুড়ে আছে। কেউ বলছে ৭০০, কেউ বলছে ৮০০, এটির সংখ্যাও নিরুপণ করা যায়নি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমার জানামতে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা ১৭০০ এর বেশি। অজানা কত তা তো আমরা জানি না। কেউ কেউ বলে যে এটা তিন হাজারেরও বেশি হতে পারে। এই যে মানুষ উধাও হয়ে গেল, নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল, কেউ বলতে পারছে না সে কোথায়। তার (একজন ভুক্তভোগী) মেয়ে আজ আপনাদের সামনেই ছিল। সে বলছে আমার মাকে কোথায় নিয়ে গেছে, আজ নয় বছর হলো। নয় বছর ধরে আমরা খোঁজ পাইনি। যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, সে নিজেও এখানে (আয়নাঘরে) ছিল। মায়ের সঙ্গে ছিল। তাকে রেখে মাকে নিয়ে চলে গেছে। এই দৃশ্য করুণ দৃশ্য।”

গুমের মতো ঘটনা হতে দেওয়া আমাদের সবারই অপরাধ বলে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকে আমরা মুক্ত হলাম। মুক্ত বাংলাদেশে আমরা যেন আবার নতুন সমাজ গড়তে পারি।

এটার নমুনা, সাক্ষী, ডকুমেন্টেশন, গুম কমিশনের রিপোর্টের মধ্যে থাকবে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এটি পাঠ্য হিসেবে অবশ্যই পড়তে হবে। আর যারা করেছে, তাদের বিচার করতে হবে। তা না হলে এ জাতি নিষ্কৃতি পাবে না।

যেসব এভিডেন্স দেখা গেছে, সেগুলো যাতে কেউ বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য সিলগালা করে দেওয়া হবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা সংরক্ষন অধিকার অভিযানে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ভোক্তা সংরক্ষন অধিকার অভিযানে এক ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। লাইসেন্স না থাকা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরীর অপরাধে এ জরিমানা করা হয়।

বুধবার দুপুরে জেলার জীবননগর উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান জানান, এদিন বেকারী মুদি দোকানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এ সময় জীবননগর ইসলামপুর এলাকার  আব্দুল হান্নানের মেসার্স আরিফ ফুড প্রোডাক্টস নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিতে অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়ায় বেকারিতে খাদ্য সামগ্রী  তৈরি, অস্বাস্থ্যকরভাবে সংরক্ষণ ও লাইসেন্স না থাকার  অপরাধ পাওয়া যায়। এ অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় তাকে দ্রুত লাইসেন্স গ্রহণ  করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো ক্যাব সদস্য ও  জেলা পুলিশের একটি টিম।

Header Ad
Header Ad

গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলায় আহত কাশেমের মৃত্যু

সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনায় আহত আবুল কাশেম (২০) মারা গেছেন। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর নগরের ধীরাশ্রম দাক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনায় আহত আবুল কাশেম (২০) মারা গেছেন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত কাশেম গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকার মৃত জামাল হাজীর ছেলে।

কাশেমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি লিখেছেন, "গাজীপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত কাশেম শহীদ হয়ে গেছেন। প্রতিবিপ্লবের প্রথম শহীদ আমার এই ভাই। ইন্টেরিম, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো, করতে হবে।"

গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ধীরাশ্রম দাক্ষিণখান এলাকায় মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা হয়। স্থানীয় মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত পড়েছে’ বলে ঘোষণা দেওয়া হলে এলাকাবাসী দেশীয় অস্ত্রসহ বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। হামলার শিকার অনেকে দৌড়ে পালিয়ে যান, কয়েকজন ধরা পড়েন এবং এলাকাবাসীর মারধরের শিকার হন ১৪ জন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তাদের মধ্যে ছিলেন কাশেম।

কাশেমের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম ও তার পরিবারের নামে থাকা ৪২টি কোম্পানির ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ২ হাজার ২৪৪টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব শেয়ারের বাজারমূল্য ৫ হাজার ১০৯ কোটি ৬৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৬০ টাকা।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে ১ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর, বিভাগীয় কার্যালয় ও চট্টগ্রামের সিডিএ এনেক্স ভবন (৬ষ্ঠ তলা) থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে ৪২ কোম্পানিতে ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ২ হাজার ২৪৪টি শেয়ারের মালিকানার তথ্য পাওয়া যায়। এসব শেয়ারের অভিহিত মূল্য ৫ হাজার ১০৯ কোটি ৬৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৬০ টাকা।

দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা মালিকানাধীন এসব শেয়ার হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। যা করতে পারলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা রুজু, আদালতে চার্জশিট দাখিল ও বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই এসব শেয়ার এবং শেয়ার থেকে উদ্ভূত সব মুনাফা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৪ ধারায় অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা সংরক্ষন অধিকার অভিযানে ব্যবসায়ীকে জরিমানা
গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলায় আহত কাশেমের মৃত্যু
এস আলম পরিবারের ৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ
চাকরিচ্যুত বিডিআরদের আইন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস দিলেন হাসনাত
ভারতে গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ ঘোষণার দাবি, মোদিকে আল্টিমেটাম
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছি: শান্ত
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘স্থিতিশীল’
লিবিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে ১৬ পাকিস্তানির মৃত্যু
আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা চায় ইসি
শেখ হাসিনা ও আ.লীগের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ মিলেছে: জাতিসংঘ
গণ-অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছেন ৪৪ পুলিশ কর্মকর্তা: জাতিসংঘ
আদমদীঘিতে ৯৮ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
বিশ্বনেতাদের সামনে মোদিকে পাত্তা দিলেন না ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট!
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ
আমি বিপ্লব করে হাসিনাকে লড়াইছি, ৭ দিনের মধ্যে বিপ্লবী সরকারের ডাক দিমু: কাফি
ভালোবাসা দিবসে ‘তামাশা’ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা ফরিদা
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৩৭ অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার
বন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজায় আবারও যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর
দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা