বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৫ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঢাবি-সাত কলেজ সংঘর্ষ নিয়ে আজহারীর প্রতিক্রিয়া    

ড. মিজানুর রহমান আজহারী। ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন আলোচিত ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, শকুনদের টার্গেট শিক্ষার্থীদের ঐক্য নষ্ট করা। ঐক্য নষ্ট করার মতো নির্বুদ্ধিতাপূর্ণ কোনো কাজ আর হতে পারে না। ঐক্যবদ্ধ থাকলে, দেশীয় বা আন্তর্জাতিক যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব ইনশাআল্লাহ।

এর আগে রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রো-ভিসির সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তিনি ‘দুর্ব্যবহার’করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এমন অভিযোগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরটরি মোড় অবরোধ করেন তারা। এ সময় প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

তাতে সাড়া না পেয়ে রাত ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়ে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আগে থেকে নীলক্ষেত সংলগ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের প্রবেশমুখে অবস্থান নেন।

রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে পৌঁছান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে ঢাবি শিক্ষার্থীরা লাঠি নিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় দুপক্ষ ঢিল মারতে থাকেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।

দুপক্ষের উত্তেজনাময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পরে পুলিশের সহায়তায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

কঠিন বিপাকে মিজানুর রহমান আজহারী  

মিজানুর রহমান আজহারী। ছবিঃ সংগৃহীত

জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী জানিয়েছেন, নতুন করে রেস্ট্রিকশনে পড়েছে তার ফেসবুক পেইজ! রিচ ডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানান।

ওই পোস্টে আজহারী বলেন, ‘ফেসবুকে কয়েক দফা রেস্ট্রিকশন পার করে আসার পর, বিগত ৬ মাস পূর্বের একটি পোস্টের জের ধরে আবারও নতুন করে রেস্ট্রিকশন এসেছে। নির্যাতিত ভাইদের নিয়ে কথা বলাসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করায় এর আগেও রেস্ট্রিকশনের কবলে পড়েছি আমরা।’

তিনি বলেন, ‘ভাষা ও শব্দগত বিকৃতি ঘটিয়ে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের চোখ ফাঁকি দেওয়াটা এখন সহজসাধ্য নয়। প্রতিটা রেস্ট্রিকশন মানেই দাওয়াহ প্রচারের এই বড় প্লাটফর্মটা হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। এবার ফেসবুক লাস্ট ওয়ারনিং দিয়ে জানিয়েছে যে—আর কোনো ভায়োলেশন হলে পেইজটি আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে।’

শুভানুধ্যায়ীদের প্রত্যাশা থাকে—যেন চলমান প্রতিটি ইস‍্যুতেই আমরা কথা বলি বা শক্ত অবস্থান প্রকাশ করি উল্লেখ করে আজহারী বলেন, ‘আমাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে এটা বুঝাতেই আজকের এই পোস্ট। স্পর্শকাতর অনেক বিষয়ে চাইলেও আমরা ইচ্ছেমতো সব বলতে বা লিখতে পারি না। প্রজেক্ট আলফা সংক্রান্ত বেশ কিছু আপডেট দেওয়ার ছিল। লেটেস্ট পোস্টে যে হারে রিচ ডাউন করা হয়েছে, এটা জারি থাকলে জানি না প্রজেক্ট সংক্রান্ত আপডেটগুলো আপনাদের পর্যন্ত কতটুকু পৌঁছবে। সপ্তাহে প্রতি জুমার নামাজের পর পরই আমাদের নিয়মিত আপডেট থাকে। সেগুলো ম্যানুয়ালি চেক করার আহ্বান রইল।’

Header Ad
Header Ad

ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ  

ছবিঃ সংগৃহীত

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগ ও ‘অপশাসন-নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি ও ১৮ই ফেব্রুয়ারি হরতালের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার ( ২৮ জানুয়ারি) রাতে দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবং হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকেই মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে ৫ই ফেব্রুয়ারি বুধবার পর্যন্ত দাবির লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি করবে দলটি।

ছয়ই ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার দেশে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১০ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।

আর ১৬ই ফেব্রুয়ারি রোববার অবরোধ এবং ১৮ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘কঠোর’ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার এবং 'প্রহসনমূলক বিচার' বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।

এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনাকে 'প্রধানমন্ত্রী' হিসেবে উল্লেখ করেছে ক্ষমতাচ্যুত দলটি।

ক্ষমতাচ্যুত এই দলের পক্ষ থেকে এর আগে গত ১০ই নভেম্বর রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েও নামতে পারেনি আওয়ামী লীগ।

এমন অবস্থার মধ্যেই মঙ্গল হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিলো আওয়ামী লীগ।

যদিও ৫ই অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের কোথাও দলটির সক্রিয় কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। দলটির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই দেশের বাইরে, পলাতক অথবা কারাগারে রয়েছেন। গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই রয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

দনিয়ায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি কর্মী খুন

নিহত মিনহাজুর। ছবিঃ সংগৃহীত

যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন বিএনপি কর্মী। পেশায় তিনি প্রকৌশলী ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্বজন ও বন্ধুরা বলছেন, নিহত মিনহাজুর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে স্থানীয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করেছে।

মিনহাজুর বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন। বন্ধু ও স্বজনরা বলছেন, তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। তার বাবা ওলামা দলের নেতা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক ফারুক বলেন, গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। রাত পৌনে ৮টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত মিনহাজুরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার বন্ধু শামীমসহ কয়েকজন। শামীম বলেন, মিনহাজ বিএনপির রাজনীতি করত। তার বাসা সাদ্দাম মার্কেট তুষারধারা এলাকায়।

শামীমের অভিযোগ, ছাত্রলীগের স্থানীয় এক নেতাসহ কয়েকজন মিনহাজুরকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

নিহতের ভগ্নিপতি খালিদ মাহফুজ বলেন, বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন মিনহাজ। তাঁর বাসা যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেটের তুষারধারা এলাকায়। তাঁর বাবা হাফেজ কারি মো. রফিকুল ইসলাম মহানগর দক্ষিণ ওলামা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুরে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন মিনহাজ। এক বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী মিষ্টি হাওলাদার সন্তানসম্ভবা বলে জানা গেছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কঠিন বিপাকে মিজানুর রহমান আজহারী  
ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ  
দনিয়ায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি কর্মী খুন
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগ মূহুর্তে হঠাৎ আইসিসির নির্বাহীর পদত্যাগ  
গাজীপুরের কাঁচাবাজারের আড়তে আগুন  
ইন্টারনেটের মান বাড়াতে ও দাম কমাতে আইনি নোটিশ
ট্রাম্পের হুমকির পর গ্রীনল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে ফ্রান্স  
দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন খালেদা জিয়া  
কর্মসূচি প্রত্যাহার : ৩০ ঘণ্টা পর ঘুরল ট্রেনের চাকা  
আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা রেলের আন্দোলনে: নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাব্বানির শ্বশুর
বেরোবিতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
ভারতে গোমূত্রের পর এবার চীনে বিক্রি হচ্ছে বাঘমূত্র!
ব্রাজিল বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চায়: আমীর খসরু
ছাত্র আন্দোলনের মুখে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
আইনি লড়াইয়ে নয়নতারার বিপক্ষে ধানুশের বড় জয়
দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে চলছে: রিজভী
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি হবে: তারেক রহমান
ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসকে রক্ষা করতে চান? জেনে নিন উপায়
৩৩৭ জনকে নিয়োগ দেবে বন অধিদপ্তর, আবেদন অনলাইনে
নবাবগঞ্জে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, আটক ১