সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কবীর চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকীর আলোচনা

‘অসাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে হবে’

মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী নাগরিক আন্দোলনের পুরোগামী নেতা বরেণ্য বুদ্ধিজীবী একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর শততম জন্মদিন ৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার। এ দিনে শুরু হয়েছে অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নির্মূল কমিটির বছরব্যাপী অনুষ্ঠান।

এ উপলক্ষে বুধবার বেলা ২টায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ‘মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা, আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। দিনের কর্মসূচি শুরু হয় সকাল ১০টায় মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক প্রদানের মাধ্যমে।

নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল স্মারক বক্তৃতা করেন সাংবাদিক আবেদ খান।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউটের সাম্মানিক সভাপতি নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী সমাজকর্মী আরমা দত্ত এমপি, নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, নির্মূল কমিটির সহসভাপতি মমতাজ লতিফ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, লেখক গবেষক মফিদুল হক, নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন, প্রজন্ম ’৭১-র সভাপতি শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, নির্মূল কমিটির যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম, নির্মূল কমিটির বহুভাষিক সাময়িকী ‘জাগরণ’ হিন্দি বিভাগের সম্পাদক ভারতের সমাজকর্মী তাপস দাস, তুরস্কের টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফোরাম ফর হিউম্যানিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ও চলচ্চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি এবং নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা কাজী মুকুল।

সভার প্রারম্ভে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী নাগরিক আন্দোলনের পুরোগামী নেতা অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর (১৯২৩-২০১১) জীবন ও কর্ম সম্পর্কে প্রামাণ্যচিত্র ‘নাই বা হলো পারে যাওয়া’র অংশবিশেষ প্রদর্শিত হয়।

শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘২০১১ সালে মৃত্যুর পূর্বে অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন শিক্ষা কমিশন যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছিল অবিলম্বে সেই অসাম্প্রদায়িক মানবিক শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রশাসন, সমাজ, শিক্ষা, সংস্কৃতি সর্বক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ মানবতার দর্শনের প্রতিফলন থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী নাগরিক আন্দোলনের নেতা ও সংগঠকদের কাছে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী শুধু একটি পরিচিত নাম নয়- সাহস ও প্রেরণারও অফুরন্ত উৎস। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমৃত্যু তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন ’৭১-এর ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং তাদের মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের আন্দোলনের। ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা গোলাম আযমের বিচারের জন্য যে ঐতিহাসিক গণআদালত বসেছিল, যেখানে সমাগম হয়েছিল পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের তার অন্যতম বিচারক ছিলেন অধ্যাপক কবীর চৌধুরী। খালেদা জিয়ার সরকার তাঁকে ও জাহানারা ইমাম সহ গণআদালতের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করেছিল। শাসকশ্রেণীর ক্রোধ ও প্রতিহিংসা কখনও তাঁকে দমন করতে পারেনি। অন্যায়ের সঙ্গে কখনও আপোষ করেননি তিনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সতের বছরে দুই শতাধিক আলোচনা সভা ও জনসমাবেশে পৌরহিত্য করেছেন তিনি, নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজপথের মিছিলে।’

স্মারক বক্তৃতায় আবেদ খান বলেন, ‘আমরা কবীর চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকী পালন করব তাঁর কর্ম ও দেখানো পথের চর্চার মাধ্যমে। পঁচাত্তরের পর যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললে নানাভাবে নির্যাতিত হতে হতো তখন তিনি আমাদের পথ দেখিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে তিনি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য তিনি কখনো কারো সাথে আপোষ করেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো চক্রান্ত করে যাচ্ছে। বস্তুত, বাংলাদেশ এখনো চেতনাগতভাবে পুরোপুরি স্বাধীন হতে পারেনি। স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পূর্ণভাবে নির্মূল না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ পুরোপুরি স্বাধীনতা লাভ করতে পারবে না। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে বাংলাদেশের অর্জনগুলো ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদেরকে ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করেই সামনে অগ্রসর হতে হবে।’ বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মৌলবাদীরা যে অপপ্রচার, ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তা আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে রুখতে হবে। করোনার কারণে আমাদেরকে ঘরে আবদ্ধ থাকতে হলেও আমরা কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারি। সুতরাং আমরা যদি যার যার জায়গা থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিপক্ষে লড়াই করি তাহলে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।’’

রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘তিনি আমাদের জন্য তাঁর যে কর্মময় জীবন রেখে গেছেন তা আমাদের জন্য পাথেয় এত কাজের ফাঁকেও তিনি নির্মূল কমিটির মতো এতবড় সংগঠনের নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন। তাঁর শেষ সম্বল গুলশানের বাড়িটি বিক্রয় করে তিনি বাংলা একাডেমিসহ নানা সংগঠনে অর্থ দান করে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আজীবন লড়াই করে গিয়েছিলেন। অকুতোভয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী যে পথে চলেছিলেন সে পথে আমরা যদি চলতে পারি তাহলেই মুক্তিযুদ্ধে চেতনা নির্ভর বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’

আরমা দত্ত বলেন, ‘অধ্যাপক কবীর চৌধুরী কখনো মৌলবাদীদের আস্ফালনের ভীত হয়ে তাদের সাথে আপোষ করেননি। তিনি আমাদের যে পথ দেখিয়ে গেছেন আমরা যেন সে পথে আজীবন চলতে পারি এ কামনাই করি।’

শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের মনোজগতের প্রসার পিছিয়ে পড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। সমৃদ্ধ জাতি গঠন ও টেকসই উন্নয়নে অবশ্যই মানুষকে শুদ্ধাকারী ও মননশীল হতে হবে। আজ সংবেদনশীল উদার মানবিক চেতনাবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে বাড়ছে প্রচণ্ড ধর্মান্ধতা। সাম্প্রদায়িকতায় ছেয়ে গেছে দেশ। হিংসা বিদ্বেষে ভরা অপসংস্কৃতির ভাষণ চলছে। যার ফলে জঙ্গিবাদসহ নানা রকম অশুভ তৎপরতায় দেশ ভরে যাচ্ছে। তাই অবকাঠামোর উন্নয়নের সাথে একইভাবে থাকতে হবে উপযুক্ত শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চা।’

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর-এর প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি, লেখক গবেষক মফিদুল হক বলেন, ‘পঁচাত্তর পরবর্তী তামসিক বাংলাদেশকে আজকে উন্নয়নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যাঁদের ভূমিকা রয়েছে তাঁদের মধ্যে অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে কবীর চৌধুরী যে লড়াই করেছিলেন তা আজও আমাদের জন্য পাথেয়। শিক্ষা সংস্কৃতির জন্য তিনি যে কাজগুলো করে গিয়েছিলেন তা তাঁর চলে যাওয়ার পর অনেকটা স্তিমিত হয়ে গেছে। আজকে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা ও সংস্কৃতি সপ্তাহ আর পালন করা হয় না। এমনভাবে প্রগতিশীল কাজগুলো এখন স্তিমিত হয়ে গেছে। আমরা চাই, কবীর চৌধুরীর ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতি যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।’

এপি/

Header Ad

ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশি নারীদের দিয়ে যৌন ব্যবসা চালানো একটি চক্রের সন্ধান মিলেছে ভারতে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এক কিশোরীসহ অন্তত ২৩ তরুণী বাধ্য হয়ে সেখানে এসব কাজ করছেন। ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। রাজ্যটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওড়িশাটিভি রোববার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তরুণীরা বৃহৎ মানবপাচারের শিকার হয়েছেন। তাদের দৈনিক ২ হাজার রুপি বেতনের কাজের লোভ দেখিয়ে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা শোষণ ও অন্যায়ের শিকার হয়েছেন।

এই যৌনব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকা দালালরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে খদ্দেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যখন কোনো খদ্দের আগ্রহ প্রকাশ করেন তখন তাদের বাংলাদেশি তরুণীদের ছবি পাঠানো হয়। সেখান থেকে যে কোনো একজনকে বেঁছে নেয় তারা। এরপর আগেই অর্থ পরিশোধ করতে হয়। সবশেষে ওই খদ্দেরকে হোটেলের ঠিকানা দেওয়া হয় যেখানে নির্দিষ্ট তরুণী অপেক্ষা করেন।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কোটাক থেকে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে উদ্ধারের পর পুরো বিষয়টি সামনে আসে। ওই কিশোরীকে লিংক রোডের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তদন্ত শুরু হয় কীভাবে বাংলাদেশি তরুণীদের ওড়িশায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া এক যৌনকর্মী জানান, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি এখানে আটকা পড়ে গেছেন। উদ্ধারকৃত ওই যৌনকর্মী জানান, পুরো বিষয়টি পরিচালনা করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রতারণার শিকার এই তরুণীদের কয়েক বছর ধরে আটকে রেখেছে চক্রটি। যারা এরসঙ্গে জড়িত তাদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় যেসব দালাল এই ব্যবসা চালানোয় ভূমিকা রেখেছে তাদের শনাক্ত করতে সক্রিয় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

ভুবনেশ্বরের ডিসিপি পিনাক মিশ্রা ওড়িশাটিভিকে বলেছেন, “আমরা টুইন সিটিতে এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের ওপর দৃষ্টি রাখছে। আমাদের কাছে এসব বিষয়ে পর্যাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য আছে। যারা এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত আছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Header Ad

ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা

ছবি: সংগৃহীত

কনমেবল সাব-২০ ফুটসাল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। পেরুর লিমার ভিলা এল সালভাদর স্পোর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে চাপে রেখে ম্যাচটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।

পেরুর লিমাতে বসেছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ১০ দলের ফুটসাল টুর্নামেন্ট। যদিও ব্রাজিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল। বিপরীতে আর্জেন্টিনা রার্নাসআপ হয়ে। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের চারটিতেই জিতেছিল ব্রাজিল। কিন্তু আর্জেন্টিনা জয় পায় দুইটিতে। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ঠিকই জয় তুলে নেয় আলবিসেলেস্তেরা।

আগামীকাল সোমবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়াও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন প্যারাগুয়েকে একই ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে।

Header Ad

আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন

নায়েব আলী জোয়ারদার এবং তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ারদার ২টি মামলায় ৭ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। অন্যদিকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি ৩টি মামলায় ২০ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. এমরান হোসেন চেীধুরী আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ জামিন আদেশ দেন।

জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান।

জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য নায়ের আলী জোয়ারদারকে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের বাড়ি ও জেলা বিএনপির অফিসে হামলা অগ্নিসংযোগের অভিযোগের মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার দিন রাতে ঝিনাইদহ শহরের আরপপুরের জামতলা এলাকার বাড়ি থেকে র‍্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। তারপর থেকেই তিনি জেলে ছিলেন। ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ করলে বিনাভোটে নায়েব আলী জোয়ারদার এমপি নির্বাচিত হন।

এ দিকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে গত ৬ অক্টোবর সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ২০১৩ সালে জামায়াত নেতা আব্দুস সালাম হত্যা মামলা, জেলা বিএনপি সভাপতি এম এ মজিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও জেলা বিএনপি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, মেডিকেল গ্রাউন্ডে আদালত আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্যকে জামিন দিয়েছেন। দীর্ঘদিন তারা শারীরিকভাবে অসুস্থ বলে আসামির আইনজীবী আদালতকে জানান। তারপরও তাদেরকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ