বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

কবীর চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকীর আলোচনা

‘অসাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে হবে’

মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী নাগরিক আন্দোলনের পুরোগামী নেতা বরেণ্য বুদ্ধিজীবী একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর শততম জন্মদিন ৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার। এ দিনে শুরু হয়েছে অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নির্মূল কমিটির বছরব্যাপী অনুষ্ঠান।

এ উপলক্ষে বুধবার বেলা ২টায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ‘মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা, আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। দিনের কর্মসূচি শুরু হয় সকাল ১০টায় মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক প্রদানের মাধ্যমে।

নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল স্মারক বক্তৃতা করেন সাংবাদিক আবেদ খান।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউটের সাম্মানিক সভাপতি নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী সমাজকর্মী আরমা দত্ত এমপি, নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, নির্মূল কমিটির সহসভাপতি মমতাজ লতিফ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, লেখক গবেষক মফিদুল হক, নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন, প্রজন্ম ’৭১-র সভাপতি শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, নির্মূল কমিটির যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম, নির্মূল কমিটির বহুভাষিক সাময়িকী ‘জাগরণ’ হিন্দি বিভাগের সম্পাদক ভারতের সমাজকর্মী তাপস দাস, তুরস্কের টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফোরাম ফর হিউম্যানিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ও চলচ্চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি এবং নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা কাজী মুকুল।

সভার প্রারম্ভে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী নাগরিক আন্দোলনের পুরোগামী নেতা অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর (১৯২৩-২০১১) জীবন ও কর্ম সম্পর্কে প্রামাণ্যচিত্র ‘নাই বা হলো পারে যাওয়া’র অংশবিশেষ প্রদর্শিত হয়।

শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘২০১১ সালে মৃত্যুর পূর্বে অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন শিক্ষা কমিশন যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছিল অবিলম্বে সেই অসাম্প্রদায়িক মানবিক শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রশাসন, সমাজ, শিক্ষা, সংস্কৃতি সর্বক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ মানবতার দর্শনের প্রতিফলন থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী নাগরিক আন্দোলনের নেতা ও সংগঠকদের কাছে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী শুধু একটি পরিচিত নাম নয়- সাহস ও প্রেরণারও অফুরন্ত উৎস। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমৃত্যু তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন ’৭১-এর ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং তাদের মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের আন্দোলনের। ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা গোলাম আযমের বিচারের জন্য যে ঐতিহাসিক গণআদালত বসেছিল, যেখানে সমাগম হয়েছিল পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের তার অন্যতম বিচারক ছিলেন অধ্যাপক কবীর চৌধুরী। খালেদা জিয়ার সরকার তাঁকে ও জাহানারা ইমাম সহ গণআদালতের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করেছিল। শাসকশ্রেণীর ক্রোধ ও প্রতিহিংসা কখনও তাঁকে দমন করতে পারেনি। অন্যায়ের সঙ্গে কখনও আপোষ করেননি তিনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সতের বছরে দুই শতাধিক আলোচনা সভা ও জনসমাবেশে পৌরহিত্য করেছেন তিনি, নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজপথের মিছিলে।’

স্মারক বক্তৃতায় আবেদ খান বলেন, ‘আমরা কবীর চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকী পালন করব তাঁর কর্ম ও দেখানো পথের চর্চার মাধ্যমে। পঁচাত্তরের পর যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললে নানাভাবে নির্যাতিত হতে হতো তখন তিনি আমাদের পথ দেখিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে তিনি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য তিনি কখনো কারো সাথে আপোষ করেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো চক্রান্ত করে যাচ্ছে। বস্তুত, বাংলাদেশ এখনো চেতনাগতভাবে পুরোপুরি স্বাধীন হতে পারেনি। স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পূর্ণভাবে নির্মূল না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ পুরোপুরি স্বাধীনতা লাভ করতে পারবে না। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে বাংলাদেশের অর্জনগুলো ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদেরকে ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করেই সামনে অগ্রসর হতে হবে।’ বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মৌলবাদীরা যে অপপ্রচার, ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তা আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে রুখতে হবে। করোনার কারণে আমাদেরকে ঘরে আবদ্ধ থাকতে হলেও আমরা কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারি। সুতরাং আমরা যদি যার যার জায়গা থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিপক্ষে লড়াই করি তাহলে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।’’

রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘তিনি আমাদের জন্য তাঁর যে কর্মময় জীবন রেখে গেছেন তা আমাদের জন্য পাথেয় এত কাজের ফাঁকেও তিনি নির্মূল কমিটির মতো এতবড় সংগঠনের নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন। তাঁর শেষ সম্বল গুলশানের বাড়িটি বিক্রয় করে তিনি বাংলা একাডেমিসহ নানা সংগঠনে অর্থ দান করে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আজীবন লড়াই করে গিয়েছিলেন। অকুতোভয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী যে পথে চলেছিলেন সে পথে আমরা যদি চলতে পারি তাহলেই মুক্তিযুদ্ধে চেতনা নির্ভর বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’

আরমা দত্ত বলেন, ‘অধ্যাপক কবীর চৌধুরী কখনো মৌলবাদীদের আস্ফালনের ভীত হয়ে তাদের সাথে আপোষ করেননি। তিনি আমাদের যে পথ দেখিয়ে গেছেন আমরা যেন সে পথে আজীবন চলতে পারি এ কামনাই করি।’

শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের মনোজগতের প্রসার পিছিয়ে পড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। সমৃদ্ধ জাতি গঠন ও টেকসই উন্নয়নে অবশ্যই মানুষকে শুদ্ধাকারী ও মননশীল হতে হবে। আজ সংবেদনশীল উদার মানবিক চেতনাবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে বাড়ছে প্রচণ্ড ধর্মান্ধতা। সাম্প্রদায়িকতায় ছেয়ে গেছে দেশ। হিংসা বিদ্বেষে ভরা অপসংস্কৃতির ভাষণ চলছে। যার ফলে জঙ্গিবাদসহ নানা রকম অশুভ তৎপরতায় দেশ ভরে যাচ্ছে। তাই অবকাঠামোর উন্নয়নের সাথে একইভাবে থাকতে হবে উপযুক্ত শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চা।’

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর-এর প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি, লেখক গবেষক মফিদুল হক বলেন, ‘পঁচাত্তর পরবর্তী তামসিক বাংলাদেশকে আজকে উন্নয়নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যাঁদের ভূমিকা রয়েছে তাঁদের মধ্যে অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে কবীর চৌধুরী যে লড়াই করেছিলেন তা আজও আমাদের জন্য পাথেয়। শিক্ষা সংস্কৃতির জন্য তিনি যে কাজগুলো করে গিয়েছিলেন তা তাঁর চলে যাওয়ার পর অনেকটা স্তিমিত হয়ে গেছে। আজকে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা ও সংস্কৃতি সপ্তাহ আর পালন করা হয় না। এমনভাবে প্রগতিশীল কাজগুলো এখন স্তিমিত হয়ে গেছে। আমরা চাই, কবীর চৌধুরীর ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতি যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।’

এপি/

Header Ad
Header Ad

কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নারী নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সিমা বেগম (৪০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বামী আক্তার হোসেন জানান, সন্ধ্যার দিকে তিনি তার মেয়েকে কোচিং থেকে নিয়ে ফেরার পথে ছিনতাইকারীরা তার স্ত্রীকে আক্রমণ করে। ছিনতাইকারীরা এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে তার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়।

আক্তার হোসেন বলেন, "আমি খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, আমার স্ত্রী আর বেঁচে নেই।"

তিনি আরও জানান, তার স্ত্রীর মাথা, হাত ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের বাড়ি মাদারীপুর জেলার সদর থানার বড়কান্দি এলাকায়।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন,
"কেরানীগঞ্জ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক নারীকে জরুরি বিভাগে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।"

এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় যৌথ বাহিনীর টহল সন্দেহ হলেই করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নিরাপত্তা জোরদার করতে নওগাঁয় যৌথ বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। সন্দেহ হলে করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে সদর থানা থেকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসারের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনীর এই টহল শুরু করা হয়।

জানা যায়, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আজ রাত ৮টা থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যৌথ বাহিনীর টহল শুরু করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও বাস থামিয়ে কাগজপত্র যাচাই ও তল্লাশি করা হচ্ছে। এছাড়া, সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, ‘ছিনতাই, ডাকাতি ও চাঁদাবাজি রোধে আমরা সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন উপজেলায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছি। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যৌথ টহল অভিযান শুরু করা হয়েছে। মানুষ যাতে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারে, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া প্রকৃত দুষ্কৃতকারী আইনের আওতায় আনা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নওগাঁ ধান ও চালের জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন বিভিন্ন ট্রাকে করে ধান ও চাল বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এ সময় কেউ অনিরাপদ মনে করলে, আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাদেরকে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।’

Header Ad
Header Ad

সরকারের কারও কারও বক্তব্যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু ব্যক্তির বক্তব্যে দেশে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্থিতিশীলতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, "আমরা কোনো অস্থিতিশীলতা দেখতে চাই না। সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারবে। নির্বাচন বিলম্ব হলে যাদের সুবিধা হবে, তারাই ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি শক্তিশালী হলে তৃণমূলে আরও দৃঢ় হবে, তাই অনেকে ষড়যন্ত্র করছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করা সম্ভব। গণতন্ত্র যত বেশি চর্চিত হবে, ততবেশি দেশ নিরাপদ থাকবে।"

তারেক রহমান দাবি করেন, "আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা দেখছি, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন কথা বলছেন। আমরা বাংলাদেশে অস্থিরতা চাই না। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই এই অস্থিরতা দূর করা সম্ভব।"

বিএনপির চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, "গত ১৫-১৬ বছর ধরে বিএনপি গুম, খুন, হামলা, মামলা ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে বিএনপি জনগণের দল, জনগণের কথা বলে। আমরা মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাব।"

তিনি আরও বলেন, "মত পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু সেটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। বিভেদ সৃষ্টি করা উচিত নয়। আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে দেশের জন্য কাজ করতে চাই।"

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেন, "শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কিন্তু জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।"

বুলু নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসের প্রসঙ্গে বলেন, "হাসিনা আপনাকে হয়রানি করেছেন, বিএনপি তার প্রতিবাদ করেছে। তারেক রহমান আপনাকে সম্মান করেন। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকুন।"

সম্মেলনে মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি হয়েছেন উদবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন রাজিউর রহমান রাজিব।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোশতাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমিরসহ অন্যান্য নেতারা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নারী নিহত
নওগাঁয় যৌথ বাহিনীর টহল সন্দেহ হলেই করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ
সরকারের কারও কারও বক্তব্যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে: তারেক রহমান
বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ, আটক ৪
জুলাইয়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় আসবে পাকিস্তান
টাঙ্গাইল পৌরসভায় দুদকের অভিযান
ডিআইজি-এসপিসহ পুলিশের ৮২ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ওএসডি
অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন ৭ জন অতিরিক্ত সচিব
দেশজুড়ে ডেভিল হান্টে আরও ৬৩৯ জন গ্রেপ্তার
এআই প্ল্যাটফর্ম সালামা: ২০ সেকেন্ডে মিলবে দুবাইয়ের ভিসা
অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ পণ্ড হওয়ায় যেমন দাঁড়ালো ‘বি’ গ্রুপের সমীকরণ
চুয়াডাঙ্গায় নবদম্পতিকে কুপিয়ে লুট, ৪৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪
রমজানে ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত
হস্তান্তরের আগেই ফাঁটল রামগঞ্জের মডেল মসজিদে, স্থানীয়দের অসন্তোষ
৫০৪ জন নিয়োগ দেবে ডাক বিভাগ, আবেদন অনলাইনে
‘আল্লাহ জানেন, একদিন নাহিদ হয়তো দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন’
বাসে ডাকাতি ও নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় মূলহোতাসহ আরও ২ জন গ্রেফতার
ভারতে ১৬৮ বছরের পুরনো মসজিদ গুঁড়িয়ে দিল যোগী সরকার
সরকারে থাকার চেয়ে রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন, তাই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ