রেলে ধূমপান করলে শাস্তি: রেলমন্ত্রী
রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বাংলাদেশ রেলওয়েকে ধূমপানমুক্ত ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, কেউ এই আইন না মানলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তিনি আরো বলেন, রেলওয়ে স্টেশন, প্লাটফর্ম এবং ট্রেনের কামরাসহ সমস্ত এলাকাকে ধূমপান ও তামাকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রেলভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত ইনিশিয়েটিভ টু মেক বাংলাদেশ রেলওয়ে টোবাকো ফ্রী শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন রেলমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরো বলেন, শুধু আইন করে, প্রচারণা বাড়িয়ে এটি বন্ধ করা সম্ভব নয় যদি তামাকের উৎস বন্ধ করা না যায়। রেলওয়েতে প্রকাশ্যে বিড়ি সিগারেট খাওয়া নিষেধ। রেল ভ্রমণের শুরুতেই যাত্রী যাহাতে তামাক জাতীয় দ্রব্য নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করতে না পারে তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে পরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় এটি কার্যকর করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘দি ইউনিয়নের’ অর্থায়নে সম্পুর্ণ অনুদানের ভিত্তিতে রেলপথ মন্ত্রণালয় এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশু, নারী, অসুস্থ ব্যক্তি, গর্ভবতী নারীসহ অধূমপায়ী যাত্রীদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি হতে সুরক্ষা প্রদান। পানের পিকমুক্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রেল স্টেশন ও ট্রেনের অভ্যন্তরে পান-জর্দা/ সাদা পাতার ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ। তামাক ও ধূমপানমুক্ত রেলওয়ে গড়ে তোলা এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ প্রকল্প সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, মাদক দ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানষ) প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইসরাত চৌধুরী, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খন্দকার, যুগ্ম সচিব মো. হামিদুর রহমান খান।
প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন রেলপথ মন্ত্রণালয় যুগ্ম সচিব জালাল উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এনএইচবি/এসআইএইচ