কলকাতায় জড়ো হচ্ছে আওয়ামী লীগ; নেতৃত্বে শাওন-সম্রাট

ছবিঃ সংগৃহীত
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ রাজনীতিকদের মধ্যে অনেকে ভারতে যেতে সক্ষম হয়েছেন। দেশটির পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাসহ বিভিন্ন এলাকা এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সংগঠিত হন; তাদের জন্য সেখানে মনোরঞ্জনের নানা ব্যবস্থাও আছে।
সূত্রের দাবি, দলীয় পৃষ্ঠপোষকে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, যেখানে তাদের ভারতীয় বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা র-এর সহায়তায় রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ঢাকার কুখ্যাত সাবেক যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট এবং ভোলার সাবেক আওয়ামী লীগ এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে এরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে আবার হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থির করার পরিকল্পনা করছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
অনেক আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমানে কলকাতার পার্ক সার্কাস, গুলশান কলোনী, নিউটাউন, ভাঙড় ও যাত্রাগাছি এলাকায় অবস্থান করছেন। কিছু নেতা এই অঞ্চলে সম্পত্তি কিনেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে যখন কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীব গার্ডেনের একটি আধুনিক আবাসন থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের টুকরো টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়।
সঞ্জীব গার্ডেন একটি বিলাসবহুল আবাসন এলাকা, যেখানে একাধিক সুইমিংপুল ও উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানকার নিরাপত্তা রক্ষীরা জানিয়েছেন, অনেক বাংলাদেশি সেখানে আসেন এবং কেউ কেউ ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকেন।
এই ঘটনাগুলো আওয়ামী লীগ নেতাদের চলাফেরা এবং তাদের পরিকল্পনার উদ্দেশ্য নিয়ে নতুন করে সন্দেহ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে তারা কোন পরিকল্পনায় যুক্ত কিনা, তা নিয়ে বিস্তারিত তদন্তের দাবি উঠেছে।
