২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধন্যবাদ
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় জেনোসাইড ওয়াচ ও লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জেনোসাইড ওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. গ্রেগরি এইচ স্টান্টন ও লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনের কো-ফাউন্ডার ও কো-প্রেসিডেন্ট এলিসা জোডেন-ফোর্জি ও ইরিনে ভিক্টোরিয়া মাসিমিনোর কাছে পাঠানো পৃথক দুটি চিঠির মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠিতে বলেন, '১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী তাদের স্থানীয় দোসরদের সহযোগে পরিকল্পিতভাবে যে ব্যাপক গণহত্যা ও অপরাধ সংঘটন করেছিল— সেটিকে আপনাদের পক্ষ থেকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়ে সমব্যথী হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ সান্ত্বনা খুঁজে পেয়েছে।'
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, '২০১৭ সালের ১১ মার্চ তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করা হচ্ছে। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘জেনোসাইড কর্নার’ স্থাপন করেছি।'
বাংলাদেশের গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের প্রতি জাতীয় সংসদের প্রদত্ত দায়িত্বের কথা চিঠিতে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ বাংলাদেশের গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে জেনোসাইড ওয়াচ ও লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনের দেওয়া স্বীকৃতি বিশেষ সহায়ক হবে।
জেনোসাইড ওয়াচ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কর্তৃক বাঙালি জনগোষ্ঠীর উপর সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি জাতির উপরে সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
এ ছাড়া সংস্থা দুটি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যাকে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। গণহত্যা বিষয়ক সংস্থাসমূহের স্বীকৃতির ফলে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে অগ্রগতি হবে।
আরইউ /টিটি