পুলিশ সংস্কার কমিশনে প্রস্তাব: নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা চায় পুলিশ
ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা বাড়াতে জেলা ও মহানগর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে পুলিশ। পাশাপাশি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ঠেকাতে জাতীয় জননিরাপত্তা কমিশন গঠনের দাবিও করা হয়েছে।
পুলিশ আইন ১৮৬১-এর ধারা ৫ অনুসারে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া থাকলেও তা সরকারনিয়ন্ত্রিত। পুলিশ এই ক্ষমতা আরও বিস্তৃত ও নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার প্রস্তাব করেছে। বিকল্পভাবে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রেষণে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে পুলিশের এই প্রস্তাবে আপত্তি জানানো হয়। বৈঠকে কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এবং তাদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হলে তা আরও বিতর্কিত হতে পারে।
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ রোধে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ জননিরাপত্তা কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিশনে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বা আইজিপিকে চেয়ারপারসন করার কথা বলা হয়েছে।
পুলিশ সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে আলাদা একটি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাবও রয়েছে। তবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করেন, এই মুহূর্তে এটি অগ্রাধিকার নয়।
পুলিশ সংস্কারে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, পুলিশকে পেশাদার ও জবাবদিহিমূলক করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এখনো এই প্রস্তাবগুলো খসড়া পর্যায়ে রয়েছে এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদনে পরিবর্তন আসতে পারে।