বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় মিডিয়া: উপদেষ্টা নাহিদ

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বাংলাদেশে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি চলবে না। যেকোনো রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে ভারতকে। দেশটির গণমাধ্যম আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নেই মিথ্যাচার করছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় জুলাই অভ্যুত্থানের পর ভারতের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন কীভাবে দেখছেন, প্রশ্নের জবাবে এ উপদেষ্টা বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে তাদের জনগণকে উত্তেজিত করে জিনিসটি (দূতাবাসে হামলা) পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের যা নজর এড়ানোর কিছু নেই।

তার মতে, সহকারী হাইকমিশনে হামলা কিংবা সীমান্তে প্রাণহানির পর ভারতের দুঃখ প্রকাশ এক রকমের প্রহসন।

নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করে বলেন, আমরা দেখেছি, বাংলাদেশে এক ধরনের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ছিল। ভারতের সাথে অনেক অসম চুক্তি বিগত সরকার করেছে। আমরা বলেছি, বর্তমান সরকার ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ এ ধরনের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি রাখবে না। সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে যেকোনও রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক করবে। ভারতকে নতুন বাস্তবতা মেনে নিতে হবে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি ভারতীয় মিডিয়া একরকম চাপিয়ে দিচ্ছে বলেও মত তার

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, ভারতীয় মিডিয়া এটা তৈরির চেষ্টা করছে, আমার দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে এই অনাস্থা তৈরির চেষ্টা করছে। আমরা এটাই বলবো যে, খারাপ হোক, ভালো হোক, এই দেশ আমাদের, মিলেমিশে আমাদের থাকতে হবে। আমাদের বিপদে রক্ষা করতে কেউ বাহির থেকে আসবে না। আমরা কোনও সংকটকে উড়িয়ে দিচ্ছি না। আমরা জানি, আমাদের দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ধরনের অনিরাপত্তাবোধ আছে এবং সেটা আসলে বিগত সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক সরকার, বিশেষত আওয়ামী লীগ তাদেরকে তাদের ওপর যে ধরনের দমন-পীড়ন করেছে তার কারণে। অথচ আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার হিসেবে বারবার বহির্বিশ্বে দেখাতে চেয়েছে।

তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগের ন্যারেটিভ বাস্তবায়ন করতে চায় বলেই ভারতীয় মিডিয়া এতটা আগ্রাসী। ভারতীয় মিডিয়া এখন যা প্রচার করছে, তা আওয়ামী লীগের ন্যারেটিভ। ভারতকে আমরা বারবার বলেছি, আনুষ্ঠানিকভাবেও বলেছি যে, এই ধরনের অপপ্রচার না করতে, বাংলাদেশ যখন শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে, তখন যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরত দেয়া হয়।

জুলাই অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগ করেছে সব মত-ধর্মের মানুষ। কিন্তু সেসময় ভারতের গণমাধ্যম কেন সরব ছিল না- সে প্রশ্নও তোলেন তথ্য উপদেষ্টা।

নাহিদ ইসলাম বলেন, যখন আমরা রাস্তায় নেমেছি, তখন দেখি নাই আমরা কে হিন্দু, কে মুসলমান। যখন আমাদের বিরুদ্ধে গুলি চালানো হয়েছে, হিন্দু-মুসলমান দেখে গুলি চালানো হয়নি। ফলে তখনও যে এত সংখ্যালঘু মারা গেলো, সেটা নিয়ে ভারত কোনো বার্তা দেয়নি।

কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা আর সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারত সরকার আরও সচেষ্ট হবে বলে আশাবাদী অন্তর্বর্তী সরকারের তরুণ এই উপদেষ্টা।

Header Ad
Header Ad

ফোনে ‘আপা আপা’ বলা সেই জাহাঙ্গীরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির। ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানের চাপে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার বেশ কিছু কথোপকথন ফাঁস হয়ে যায়, যা নিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ফাঁস হওয়া ফোনালাপগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ ফোনালাপ ভাইরাল হয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। ওই ফোনালাপে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবিরকে শেখ হাসিনাকে বারবার ‘আপা আপা’ বলে সম্বোধন করতে শোনা যায়।

সম্প্রতি জাহাঙ্গীর কবিরকে একটি মামলায় হাইকোর্টে জামিন চাওয়া হলে আদালত তা মঞ্জুর করেননি। এ ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন এই নেতা। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হেমায়েত উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০১৬ সালের এক চাঁদাবাজির মামলায় বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট আসেন জাহাঙ্গীর কবির। এ মামলায় তিনি ১ নম্বর আসামি।

জাহাঙ্গীর কবির বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গত ১৪ আগস্ট ভোরে বরগুনায় নিজ বাসভবন আমতলার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের দিন বরগুনা সদর থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান জানিয়েছিলেন, ঢাকা থেকে পুলিশের একটি টিম এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার পর বিশৃঙ্খলা ও ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাহাঙ্গীর কবিরের ফোনে কথোপকথন ভাইরাল হওয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ৯ অক্টোবর আদালতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

১২ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিন মিনিটের ফোনালাপে শেখ হাসিনা জাহাঙ্গীর কবীরকে বলেন, আপনারা শৃঙ্খলা মেনে দলীয় কার্যক্রম চালাবেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে যথাযথভাবে পালন করবেন। মো. জাহাঙ্গীর কবীর শেখ হাসিনাকে বলেন, আপা আপনি ঘাবড়াবেন না। (মনোবল হারাবেন না)। আপনি ঘাবড়ালে আমরা দুর্বল হয়ে যাই। আমরা শক্ত আছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি ঘাবড়াবো কেন। আমি ভয় পাইনি। আপনারা দেখছেন, আমাদের পুলিশ বাহিনীকে মেরে কীভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমাদের কর্মীদের মেরেছে। বোরকা পরে মেরেছে। এ দেশটা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। আপনারা যেভাবে আছেন থাকেন।

এদিকে জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় তিনি বরগুনা জেলহাজতে রয়েছেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হেমায়েত উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এ আসামি আইনের ৬০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর হাইকোর্টে জামিন চেয়েছিলেন। তা যথাযথ না হওয়ায় তাকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

Header Ad
Header Ad

পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ে বাতিল হলো যেসব বিধান

হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

২০১১ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তত ৫৪টি বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পরবর্তীতে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দুটি রিট আবেদন করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই রিটের ওপর জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেছেন।

রায়ে গণভোট, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করে দেওয়া বিধান অবৈধ ও বাতিল করেন হাইকোর্ট। বাকি বিধানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আগামী জাতীয় সংসদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেন, সংসদ আইন অনুসারে জনগণের মতামত নিয়ে বিধানগুলো সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করতে পারবে।

এ বিষয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ আবেদনকারীর আইনজীবী ড. শরীফ ভুঁইয়া বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার বিধান বাতিল হলো; সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ এবং সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলি সংশোধন অযোগ্য সংক্রান্ত ৭ক এবং ৭খ বাতিল হলো, মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের বিধান নিয়ে হাইকোর্টের ক্ষমতা কমানো বিষয়ক ৪৪ (২) বাতিল করা হলো। এছাড়া ১৪২ অনুচ্ছেদে গণভোটের বিধান বাতিল করাকে বাতিল করা হয়েছে। ফলে সংবিধানের প্রস্তাবনা ও কিছু অনুচ্ছেদ সংশোধনে আজ রায়ে গণভোটের বিধান ফিরে আসছে।

তিনি বলেন, ৭ক এবং খ , ৪৪ (২) ও ১৪২ অনুচ্ছেদ বিষয় আজকের রায়ের ফলে বাস্তবায়িত হলো। তবে সংসদের মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হলো— সেটার প্রতিবন্ধকতা আজকে পার হলাম। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে যে রায় (তত্ত্ববধায়ক অবৈধ) সেটার পুনর্বিবেচনা পরে হতে হবে ব্যবস্থাটা ফিরে আসার জন্য। সেটা জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে শুনানি হবে। যদি রিভিউ আমাদের পক্ষে আসে তাহলে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরবে।

যেসব বিষয় বাতিল করা হলো:

১. সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ সংক্রান্ত ৭ক অনুচ্ছেদে (১) বলা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোনো অসাংবিধানিক পন্থায়-

(ক) এ সংবিধান বা ইহার কোনো অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বা বাতিল বা স্থগিত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে; কিংবা (খ) এ সংবিধান বা ইহার কোনো বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে— এ কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ওই ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে।

(২) কোনো ব্যক্তি (১) দফায় বর্ণিত— (ক) কোনো কার্য করিতে সহযোগিতা বা উসকানি প্রদান করিলে; কিংবা (খ) কার্য অনুমোদন, মার্জনা, সমর্থন বা অনুসমর্থন করিলে— এইরূপ কার্যও একই অপরাধ হইবে।

(৩) এ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অপরাধে দোষী ব্যক্তি প্রচলিত আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলি সংশোধন অযোগ্য সংক্রান্ত ৭ ‘খ’তে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগের সব অনুচ্ছেদ, দ্বিতীয় ভাগের সব অনুচ্ছেদ, নবম-ক ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদসমূহের বিধানাবলি সাপেক্ষে তৃতীয় ভাগের সব অনুচ্ছেদ এবং একাদশ ভাগের ১৫০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের অন্যান্য মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদগুলোর বিধানাবলি সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ কিংবা অন্য কোনো পন্থায় সংশোধনের অযোগ্য হইবে।

২. মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ সংক্রান্ত ৪৪ (২) এ বলা হয়েছে, এই সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের অধীন হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতার হানি না ঘটাইয়া সংসদ আইনের দ্বারা অন্য কোন আদালতকে তাহার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে ওই সকল বা উহার যে কোনো ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা দান করিতে পারিবেন।

৩. তত্ত্বাবধায়ক সংক্রান্ত ৫৮ক অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত এবং ক পরিচ্ছেদ এ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত।

৪. সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা সংক্রান্ত গণভোটের বিধান বাতিল সংক্রান্ত ১৪২ এর অনুচ্ছেদ। আদালত বলেছেন, গণভোট সংক্রান্ত ১২তম সংশোধনী এখানে বহাল হবে।

এর আগে ৪ ডিসেম্বর পৃথক রিটে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়।

২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়; সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।

অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও যুক্ত করা হয়। আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচন করার বিধান থাকলেও ওই সংশোধনীতে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিষয়টি সংযোজন করা হয়।

এই সংশোধনী বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে।

পরে এ রুল সমর্থন করে সহায়তাকারী (ইন্টারভেনার) হিসেবে যুক্ত হন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণফোরাম, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা। তাদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এছাড়া নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও রিট করেন।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষক বাকি ১৯ জন কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৫তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর এ সিদ্ধান্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও ১৯ জন কর্মকর্তাকে আজ অনুষ্ঠিত ২৬৫তম সিন্ডিকেটে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নাম-পদবি জানানো হয়নি। ঠিক কী কারণে তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানায়নি কর্তৃপক্ষ। তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়েও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ফোনে ‘আপা আপা’ বলা সেই জাহাঙ্গীরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ে বাতিল হলো যেসব বিধান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল জনগণের আরেক বিজয়: জামায়াত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০
অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তর হতে পারে: অ্যাটর্নি জেনারেল
চীনে ১০ দিন পর্যন্ত ভিসা ছাড়াই অবস্থানের সুযোগ
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস আহমেদ
জনসমর্থনের কারণে বিএনপি অনেকের হিংসার কারণ: তারেক রহমান
পূর্বাচলের লেক থেকে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধার
২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন: প্রেস সচিব
টাঙ্গাইলে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষ বহিষ্কার
শেখ হাসিনার সেই পিয়নের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয় ৬২৬ কোটি টাকা
আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় মিডিয়া: উপদেষ্টা নাহিদ
ডিবি হারুন ও তার স্ত্রী-ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুদকের ৩ মামলা
বিরামপুরে নূরানী কোরআন একাডেমির অভিভাবক সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণ
স্বাধীন রাষ্ট্রে গুম ও আয়নাঘরের অস্তিত্ব লজ্জাজনক: ধর্ম উপদেষ্টা
দোয়া করবেন ভাই, বোবা হয়ে আছি: পলক
নগদে ডিজিটাল জালিয়াতি, মিলছে না ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার হিসাব
হাসিনা, রেহানা, টিউলিপ ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত