উত্তরায় জামায়াতে ইসলামীর বিজয় র্যালি
ছবি: সংগৃহীত
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর উত্তরায় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে বিজয় র্যালি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। র্যালিটি উত্তরার জসীমউদ্দিন মোড় ঘুরে ফের রাজলক্ষ্মী আমির কমপ্লেক্সের সামনে এসে সমাবেশের জন্য জড়ো হয়।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জমজম টাওয়ারের সামনে থেকে সংগঠনটির ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার উদ্যোগে বিজয় র্যালি শুরু হয়।
বিজয় র্যালিতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের ‘জামায়াত শিবির জনতা, গড়ে তোলা একতা’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘বাধা আসবে যেখানে, প্রতিরোধ সেখানে’, ‘ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘এই বাংলায় হবে না, বৈষম্যের ঠিকানা’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও রুখে দাও’ সহ বিভিন্ন স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
র্যালি পূর্ব সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, একটি দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল। ক্ষমতার মসনদে বসে তারা নানা ধরনের অন্যায় অপরাধ করেছে। বিরোধী মত দমনে এমন কোনো কাজ নেই, যা তারা করেনি। অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে এবং জেলে বন্দি রেখেছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তাদের ক্ষমতার মসনদ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। যে স্বাধীনতা ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে এসেছে, সেটি যেকোনো মূল্যে রক্ষা করা হবে।
বিজয় র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
অপরদিকে দীর্ঘ ১৫ বছর পর বাধাহীনভাবে বিজয় র্যালি করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, বিগত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের বিজয় র্যালি পর্যন্ত করতে দেয়নি। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। বিরোধী মত দমন করতে তাদের আগ্রাসী মনোভাব ছিল। এবার বাধাহীনভাবে বিজয়ী র্যালি করতে পেরে আমরা আনন্দিত।