ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সোহাগী জাহান তনুর গ্রাফিতির ওপর নিজের অভিনীত সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’-এর পোস্টার লাগিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) তনুর স্মৃতি বিজড়িত গ্রাফিতির ওপর পোস্টার লাগানোর সময় মেহজাবীনের সঙ্গে সিনেমার পরিচালক শঙ্খ দাসকেও দেখা যায়। এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে, যেখানে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
ইতোমধ্যেই মেহজাবীনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। যেখানে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগী জাহান তনুর গ্রাফিতির ওপর পোস্টার লাগাচ্ছেন অভিনেত্রী।
শুধু তনুই নয়, দেয়ালে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতির ওপরও ‘প্রিয় মালতী’র পোস্টার লাগাতে দেখা যায় মেহজাবীন ও তার দলকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিওতে নেটিজেনরাও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন মেহজাবীনকে। তার মতো একজন তারকা কীভাবে তনু কিংবা জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতির ওপর নিজের পোস্টার লাগিয়ে সিনেমার প্রচারণা করেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশীদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেহজাবীনকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘আমার শহীদ বোন তনুকে চেনেন না মেহজাবীন? কার গ্রাফিতির উপর নিজের খোমাওয়ালা পোস্টার লাগাইছেন? চিনবেন কেমনে? আপনাগো সো কল্ড কাল-চারাল পাড়ায় আমার বোনেরে নিয়ে কথা হয় কি?’
উল্লেখ্য, সোহাগী জাহান তনু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ছিলেন। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস সংলগ্ন একটি ঝোঁপে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিভিন্ন বিষয়ে গ্রাফিতি আঁকা হয়। হত্যাকাণ্ডের শিকার তনুকে নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ডাস চত্বরে একটি গ্রাফিতি আঁকা হয়। এতে লেখা ছিল ‘Who do you call when the army rapes?’ এই গ্রাফিতির ওপরই মেহজাবীন তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘প্রিয় মালতী’র পোস্টার সাঁটালেন।