দৈনিক প্রথম আলো নিষিদ্ধের দাবি জানালেন ৬ শতাধিক ওলামা-মাশায়েখ
ছবি: সংগৃহীত
দেশের ৬ শতাধিক প্রতিনিধিত্বশীল আলেম-ওলামা এক যৌথ বিবৃতিতে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকাকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, পত্রিকাটি বাংলাদেশের ইসলামী শিক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কাজ করছে।
ওলামা-মাশায়েখরা তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন,
- প্রথম আলো প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশকে মৌলবাদী ও ব্যর্থ রাষ্ট্র প্রমাণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
- ইসলামী শিক্ষা এবং মাদরাসার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
- অশ্লীলতা ও পারিবারিক মূল্যবোধ ধ্বংসে ভূমিকা রাখছে।
- কলকাতাকেন্দ্রিক ভাষা প্রচারের মাধ্যমে মুসলিম সংস্কৃতিকে আঘাত করছে।
- সমাজে পুরুষ বিদ্বেষ এবং বিভেদ সৃষ্টি করছে।
- বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
ওলামারা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, পত্রিকাটি নিষিদ্ধ না করলে তারা শিগগিরই আন্দোলনে নামবেন। তারা এ দাবিকে ইসলামের সুরক্ষা এবং দেশপ্রেমের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বিবৃতিতে আল্লামা সিদ্দিকুর রহমান ইসলামাবাদী, মুফতী রফিকুন্নবী কাসেমী, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুর রহমান মাদানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শীর্ষ আলেমরা স্বাক্ষর করেছেন।
বিবৃতিদাতা ওলামা-মাশায়েখরা হলেন-আল্লামা সিদ্দিকুর রহমান ইসলামাবাদী, মুফতী রফিকুন্নবী কাসেমী, মুফতী আবদুল জলিল ফরাজী, আল্লামা আজিজুল্লাহ জালালাবাদী, মুফতী ওমর ফারুক খলিলী, হাফেজ মাওলানা নুরুল আমিন জাহানাবাদী, মুফতী আবদুল গাফ্ফার নদভী, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুর রহমান মাদানী, আল্লামা কামাল উদ্দীন যশোরী, হাফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ ভৈরবী, মুফতী মুহিউদ্দীন তরফদার, মাওলানা মামুনুর রশিদ কাসেমী, হাফেজ মাওলানা আলী হোসেন খাঁন, মুফতী মো. নুরুল ইসলাম, শাইখুল হাদীস মোহাম্মদ জালালুদ্দিন হবিগঞ্জি, মাওলানা আতাউর রহমান প্রধানিয়া, মাওলানা জুনায়েদ আলী কাসেমী, মাওলানা আবদুল বারী নূর, মুফতী ওমর ফারুক চৌধুরী, হাফেজ মাওলানা আলী হোসেন আকন, মাওলানা জহিরুল ইসলাম হাওলাদার, মুফতী শাহাদাত হোসেন, আল্লামা জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, মুফতী আবদুল কুদ্দুস প্রধান, মুফতী সাখাওয়াত হোসেন নাটোরী, মাওলানা আলমগীর হোসেন, মুফতী নজরুল ইসলাম, মুফতী সেলিম উদ্দিন, মুফতী ইমরান হোসেন, মুফতী মাহফুজুর রহমান, মুফতী সফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা আলিমুজ্জামান, মাওলানা আবদুল আলিম, মাওলানা ফজলুল হক, মাওলানা গাজী রফিকুল ইসলাম, মাওলানা লুৎফুর রহমান, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা ছালেহ আহাম্মদ, মাওলানা ইসমাইল কাশিমপুরী ও মুফতী রিয়াদুল করীম খান প্রমুখ।
এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান এখনো জানা যায়নি। তবে বিষয়টি সামাজিক এবং ধর্মীয় মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।