দেশ ও জাতিকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে চাই: সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত
দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা দিনরাত দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কঠিন সময় পার করে দেশ ও জাতিকে একটি নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের সংবর্ধনা এবং সেনাবাহিনীর শান্তিকালীন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।
সেনাপ্রধান বলেন, দেশের কঠিন সময়ে সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতি গঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিশ্ব শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘ মিশনে কাজ করার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় সেনাবাহিনীর দক্ষতা উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, "আমরা যেন দেশ ও জাতিকে একটি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। সামনে কিছুটা কঠিন সময় পার করতে হবে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমরা সঠিকভাবে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি।"
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, "আপনারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধ নয়, সেনাবাহিনীর শুরুর সময়েও আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আপনাদের অবদানের কারণেই আজকের সেনাবাহিনী এখানে পৌঁছেছে। আপনারা আমাদের প্রেরণা ও পথপ্রদর্শক।"
অনুষ্ঠানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিভিন্ন বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য ২৮ জন সেনা সদস্যকে পদক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে পাঁচজন সেনাবাহিনী পদক (এসবিপি), পাঁচজন অসামান্য সেবা পদক (ওএসপি), এবং ১৮ জন বিশিষ্ট সেবা পদক (বিএসপি) লাভ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাঁথা এবং শান্তিকালীন পদক প্রাপ্ত সেনা সদস্যদের প্রশংসনীয় কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। সেনাপ্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্য এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
প্রতিবছর এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখার উদ্যোগ নেয় সেনাসদর। এ অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, "যদি আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি, ইনশাআল্লাহ, দেশের ক্রান্তিলগ্ন থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সক্ষম হব।"
সেনাবাহিনীর এই অবদান ও প্রচেষ্টা জাতিকে একটি নিরাপদ এবং উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।