রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আজ মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী । ছবি: সংগৃহীত

আজ ১৭ নভেম্বর, মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়। মহান এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার পরিবার, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ তার ভক্ত ও মুরিদানবৃন্দ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।

মাওলানা ভাসানী ছিলেন শোষিত, অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অবিচল অধিকার রক্ষাকারী। জাতীয় সংকটের মুহূর্তে জনগণের পাশে থেকে তাদের আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতেন। ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে তিনি জাতীয় স্বার্থকে সর্বদা প্রাধান্য দিয়েছেন। ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান করেও কখনো ক্ষমতার মোহে আবিষ্ট হননি। সাধারণ জীবনযাপন এবং সাদাসিধে ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি এ দেশের মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং আত্মত্যাগের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

শোষণমুক্ত, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তার অবদান বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ এবং মুক্তির সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার ধানগড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া মাওলানা ভাসানী তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। কৈশোর-যৌবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট গঠনে তিনি প্রধান নেতাদের একজন ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতিও ছিলেন তিনি।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল থেকে তার মাজারে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। ইতোমধ্যেই তার ভক্ত ও মুরিদানবৃন্দ সন্তোষে এসে জড়ো হয়েছেন। এ উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ চলছে, যা স্থানীয় বাসিন্দা এবং ভক্তদের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিয়েছে।

মাওলানা ভাসানীর মতো নেতার জীবন ও কর্ম প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুপ্রেরণা জোগাবে। শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে তার আদর্শ আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

Header Ad

মাওলানা ভাসানী সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের প্রেরণাদাতা: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম। সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তিনি ছিলেন এক অদম্য প্রবাদ পুরুষ।

রোববার (১৭ নভেম্বর) মজলুম জননেতার ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান বলেন, “মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী দেশমাতৃকার মুক্তির পথপ্রদর্শক হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার অগাধ দেশপ্রেম ও শোষিতের পক্ষে অবস্থান ছিল আমাদের জন্য প্রেরণাদায়ী। তিনি মানুষের অধিকার আদায়ে দৃঢ় নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং জাতিকে সাহস যুগিয়েছেন।”

তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে উপমহাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায়ে মাওলানা ভাসানী ছিলেন আপসহীন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি জনতার অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

তিনি বলেন, “তার নির্ভীক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব শোষণের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল। তার প্রতিবাদী কণ্ঠে অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর ভিত কেঁপে উঠত। দেশের ভয়াবহ সংকটময় সময়গুলোতে তিনি সবসময় জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। এ কারণেই জনগণের মধ্যে তিনি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে ওঠেন।”

তারেক রহমান আরও বলেন, “মাওলানা ভাসানী সবসময় অসহায় মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে অটল থেকেছেন। তার আদর্শ আমাদের জন্য যুগ যুগ ধরে প্রেরণা হয়ে থাকবে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র সুরক্ষায় তার অবদান আমাদের জাতিকে পথ দেখাবে।”

তিনি বলেন, “তার নিরলস সংগ্রামের মাধ্যমে শোষিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার হুংকারে অত্যাচারীরা বারবার পরাজিত হয়েছে। এমন একজন আদর্শিক নেতা চিরকাল আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।”

তারেক রহমান তার পোস্টে মাওলানা ভাসানীর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, “মাওলানা ভাসানীর মতো মহান নেতার আদর্শকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলে আমরা আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হব। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”

Header Ad

ইসরায়েলের পাঁচ সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা

ছবি: সংগৃহীত

লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের পাঁচ সামরিক ঘাঁটিতে ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে। এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল হাইফা শহর এবং এর আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিগুলো।

হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের যোদ্ধারা হাইফার একটি প্রযুক্তিগত ঘাঁটি, হাইফা নৌ ঘাঁটি, স্টেলা ম্যারিস নৌ ঘাঁটি, এবং এর আশপাশের দুটি সামরিক ঘাঁটিতে একযোগে হামলা চালায়। হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে একটি গ্যাস স্টেশন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের গুদামও ছিল।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, হাইফার একটি সিনাগগেও রকেট আঘাত হেনেছে। এর পাশাপাশি, লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় গ্যালিলি এলাকায় প্রায় ২০টি রকেট ছোড়া হয়েছে বলে তারা নিশ্চিত করেছে।

এই রকেট হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননের রাজধানী বৈরুতে পাল্টা হামলা জোরদার করেছে। সামরিক বাহিনীর দাবি, গত এক সপ্তাহে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে ৫০টিরও বেশি হামলা চালানো হয়েছে।

হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে। ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ফলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করছে।

এই হামলাগুলো মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও অস্থির করে তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত যদি আরও বিস্তৃত হয়, তবে তা পুরো অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। সূত্র: এএফপি, টাইমস অব ইসরায়েল, আল-জাজিরা

Header Ad

পরীক্ষায় ফেলের হতাশা থেকে স্কুলে হামলা, নিহত ৮

ছবি: সংগৃহীত

চীনের পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশের ইক্সিং শহরে এক সাবেক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে ৮ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উক্সিং ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড টেকনোলজিতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, ২১ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারী একই প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী। চলতি বছর তার স্নাতক সম্পন্ন করার কথা থাকলেও পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার হতাশা থেকেই তিনি এই নৃশংস কাণ্ড ঘটান। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

উক্সিং ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রায় ১২,০০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। প্রতিষ্ঠানটি সাংহাই থেকে ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। এখানে শিল্প, নকশা, সিরামিক, ও ফ্যাশনসহ নানা বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়।

ইক্সিং শহরের পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের চিকিৎসায় জরুরি সেবা চালু রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ যত্ন নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার পরপরই পুরো এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

চীনে কঠোর বন্দুক আইন এবং ব্যাপক নজরদারির কারণে সাধারণত সহিংস অপরাধের হার কম। তবে, সম্প্রতি ছুরিকাঘাত ও অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।

এর আগে, ঝুহাই শহরে এক ব্যক্তি তার গাড়ি চালিয়ে ভিড়ের ওপর আছড়ে পড়লে ৩৫ জন নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি আহত হন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি বড় সহিংস ঘটনায় চীনের নাগরিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। কেউ কেউ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। অন্যরা সমাজে বাড়তে থাকা ধনী-গরিব বৈষম্য এবং কঠোর প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের কারণে হতাশার মাত্রা বাড়ছে বলে মত দিয়েছেন।

এই ঘটনাগুলো চীনের জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন মর্মান্তিক ঘটনা এড়াতে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি জরুরি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মাওলানা ভাসানী সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের প্রেরণাদাতা: তারেক রহমান
ইসরায়েলের পাঁচ সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা
পরীক্ষায় ফেলের হতাশা থেকে স্কুলে হামলা, নিহত ৮
মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
উত্তরের জনপদে শীতের আমেজ, পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
নতুন প্রেমে মজেছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা
এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার
ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠকের কথা নাকচ করেছে ইরান
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ
পাকিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ৭ সেনা নিহত
বাংলাদেশের দুটি কিডনিই খেয়ে ফেলা হয়েছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
গণঅভ্যুত্থানে আহত কাজলকে থাইল্যান্ড পাঠানো হচ্ছে
বাচ্চারা জীবন দেয় আর মুরব্বিরা পদ ভাগাভাগি করেন: হাসনাত আবদুল্লাহ
‘ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের আবর্তে আটকে বাংলাদেশ, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রতিবেশীদের অনাগ্রহ’
মণিপুরে রণক্ষেত্র, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের রোমাঞ্চকর জয়
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল
২১ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে
সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা জনগণ মেনে নেবে না: তারেক রহমান
ভবিষ্যতে কেউ টাকা পাচার করলে ধরা পড়বে: অর্থ উপদেষ্টা