সমবায় আন্দোলনের মূল শক্তি একতা, বিভাজন নয়: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ। ছবি: সংগৃহীত
"একতাই সমবায় আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি, বিভাজন নয়," বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ। তিনি জানান, সমবায়ের মূল লক্ষ্য একত্রে কাজ করা। মামলা-মোকদ্দমার মাধ্যমে বিভাজন তৈরি করা সমবায় আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যের পরিপন্থী।
শনিবার ঢাকার আগারগাঁওস্থ সমবায় অধিদপ্তরে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় সমবায় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।
হাসান আরিফ বলেন, "দুটি মানুষের মাঝে মতবিরোধ থাকবেই। তবে প্রচলিত সমবায় আইন মেনে আলোচনার মাধ্যমে এ বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব। স্বার্থের সংঘাত কখনোই সমবায়ে কাম্য নয়।"
তিনি আরও বলেন, "সমবায় সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্ব আদালত পর্যন্ত গড়ালে সমবায় আন্দোলন ব্যর্থ হয়। তাই এই আন্দোলনের পথের সব বাধা একতাবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দূর করতে হবে।"
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, "৫৩ বছরে আমাদের গড়া সমাজের মূল্যবোধ আমাদের সন্তানরা ত্যাগ করেছে। আমাদের সৃষ্ট সমাজ দুর্নীতি ও অন্যায় ভরপুর ছিল, যা এখন অতীত। নতুন বাংলাদেশ গড়ে সন্তানদের স্বপ্ন ফিরিয়ে দিতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে যে সমবায় কতটা শক্তিশালী হতে পারে। সমবায় কাঠামো সংস্কার করে নতুন করে গড়ে তোলা জরুরি, যা দারিদ্র্য বিমোচন ও শিক্ষায় ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।"
অনুষ্ঠানের সভাপতি মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন বলেন, "সমবায়ের কার্যক্রমের গতিশীলতা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। সমবায় সমিতি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।"
৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবসে সাতটি ক্যাটাগরিতে সাতটি সমবায় সমিতি এবং তিনজন সমবায়ীকে জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করা হয়। এ বছর শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতির পুরস্কার অর্জন করে বাংলাদেশ পুলিশ কো-অপারেটিভ সোসাইটি (পলওয়েল), যার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম, এনডিসি।