বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২৭ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অভিযুক্ত বিচারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে উচ্চ আদালত: আইন উপদেষ্টা

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এখন থেকে উচ্চ আদালতই তদন্ত এবং ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সচিবালয়ে রোববার (২০ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, "হাইকোর্টে কিছু বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তারা অতীতে জুলাই বিপ্লবের নিপীড়ন চালিয়েছিল এবং অনেকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল যদি কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পায়, তবে তাদের অপসারণের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারবে।"

তিনি আরও বলেন, "ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ফোরাম পুনরুজ্জীবিত হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক দিক।"

এর আগে, রোববার সকালে আপিল বিভাগ বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নেওয়া ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করেন। এর ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা এখন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে থাকবে।

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। তবে এর বৈধতা নিয়ে রিট করা হলে ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্ট ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে। পরে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই আপিল বিভাগও এই রায় বহাল রাখে। একই বছরের ১ আগস্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

রাষ্ট্রপক্ষ এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন করে, কিন্তু দীর্ঘ আট বছরেও এই আবেদনের শুনানি হয়নি। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে।

১৯৭২ সালে মূল সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির কাছে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৭৭ সালে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ক্ষমতা আবারও সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনে, যা এখন বাতিল হয়েছে।

Header Ad

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের

ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক শিক্ষক-শিক্ষার্থী আলোচনা সভা শেষে তারা এই ঘোষণা দেন।

আলোচনা চলাকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক নূর নবী নিজেকে পুনরায় সমন্বয়ক হিসেবে ঘোষণা করলে উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক রইস উদদীন এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির আহমেদ এগিয়ে আসেন।

আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীরা জানান, চলমান আন্দোলনে কোনো সমন্বয়কের ভূমিকা বা পদ থাকবে না, সবাই নিজেকে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত করবেন। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, "আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত সিদ্ধান্ত দাবি করেছিলাম, কিন্তু কিছু ব্যক্তি আমাদের দাবিকে উপেক্ষা করে অতীতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন, যা চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।"

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আগে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে বিভিন্ন দিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের স্পষ্ট বার্তা-এই আন্দোলনে কোনো সমন্বয়ক নেই, সব শিক্ষার্থী এখানে সমান।

Header Ad

টাকার জন্য মাকে হত্যা, লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখেছিল ছেলে

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে উম্মে সালমা খাতুন (৫০) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করে তার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান। হত্যার পর লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখে যান তিনি এবং ঘটনাকে ডাকাতি হিসেবে সাজাতে আলমারি কুপিয়ে বাসার তালা লাগিয়ে বাইরে চলে যান।

গতকাল সোমবার রাতে র‍্যাব সদস্যরা সাদকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। সাদ দুপচাঁচিয়া দারুসসুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার কামিল শ্রেণির ছাত্র এবং মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের ছেলে।

র‍্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানান, গত ১০ নভেম্বর জয়পুরপাড়া এলাকায় তাদের বাসা ‘আজিজিয়া মঞ্জিল’-এ উম্মে সালমা খাতুনের লাশ ডিপ ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে র‍্যাব তদন্ত শুরু করে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সাদকে কাহালু থানার আগোবাড়ি গ্রামে দাদার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে সাদ জানান, হাত খরচের টাকা নিয়ে মায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার বিরোধ চলছিল। প্রায়ই বাসা থেকে টাকা হারিয়ে যেত, যা নিয়ে মা তাকে বকা দিতেন। ঘটনার দিন সকালে হাত খরচের টাকা নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। রাগে নাশতা না খেয়ে সাদ মাদ্রাসায় চলে যান। পরে মাদ্রাসার ক্লাস বিরতিতে বাসায় ফিরে মাকে একা পেয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তার মায়ের নাক-মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

ঘটনার ভয়াবহতা ও আকস্মিকতার কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

Header Ad

মাদক ও বাল্য বিবাহকে না বলে শপথ নিলো ৬শ শিক্ষার্থী

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর সদর উপজেলার চক আতিথা উচ্চ বিদ্যালয়ে লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা মাদক, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ বিরোধী ও দেশ প্রেমে জাগ্রত হতে শপথ নেন। পরে বিদ্যালয়ের ৬শ শিক্ষার্থীর মধ্যে শতাধিক শিক্ষার্থীকে গাছের চারা উপহার দেয় সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আয়োজনে গাছের চারা হাতে নিয়ে দেশ প্রেমের এ শপথ নিয়েছেন তারা।

এসময় লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. রবিন শীষ।

জানা যায়, গত ১৪ বছর থেকে সংগঠনটির সদস্যরা টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে সারাদেশে মাদক, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সচেতন ও গাছের চারা বিতরণ করে আসছেন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল বর্তমানে রাজশাহী বিভাগীয় সফরে রয়েছেন। তিনি প্রতিটি জেলার বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে গাছের চারা উপহার দিয়ে দেশপ্রেমে জাগ্রত করার শপথ পাঠ করাচ্ছেন।

এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চক আতিথা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইলিয়াছ আলী, লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ নাটোর জেলা শাখার সভাপতি শেখ রিফাদ মাহমুদ, সদস্য নুরুজ্জামান প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের
টাকার জন্য মাকে হত্যা, লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখেছিল ছেলে
মাদক ও বাল্য বিবাহকে না বলে শপথ নিলো ৬শ শিক্ষার্থী
ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে সাকিব আল হাসান
‘যুদ্ধ শেষ হয়নি’, আবারও লাল ফেসবুক ওয়াল
সাবেক এমপি ইলিয়াস মোল্লার সহযোগী বেনু গ্রেপ্তার
পরিবর্তনে খাপ খাইয়ে না চললে আ’লীগের মতো ছিটকে পড়তে হবে : মঈন খান
দুই মাসে তিতাসের অভিযানে ৭ হাজারের বেশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে একদিনে ৭৯ লাখ টাকা জরিমানা
প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট
রোবটের আঁকা একটি ছবি বিক্রি হলো ১৫ কোটি টাকায়
কপ ২৯ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে নেমে গেল বাংলাদেশ
আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলা সেই জাবি অধ্যাপক বরখাস্ত
পত্রিকার সঠিক প্রচার সংখ্যা প্রকাশে সাংবাদিকদের সহায়তা চাইলেন তথ্য উপদেষ্টা
হানিমুনের আগেই সুখবর দিলেন শিরিন শিলা
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করতে আইজিপিকে চিঠি
গণহত্যা মামলায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯০ জনের নিয়োগ, অনলাইনে আবেদন
সিরিজ হারের পর যা বললেন অধিনায়ক মিরাজ