গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা
বক্তব্য রাখছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তার জন্য পেনশন স্কিম ব্যবস্থা শুরু করে দিয়ে যাব। পরবর্তী জীবনে যাতে তাদের দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে না হয়।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে টঙ্গীতে জাবের জুবায়ের ফেব্রিক্স কারখানায় পোশাক শ্রমিকদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে টিসিবি পণ্য বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে মালিক ও শ্রমিকদের আহ্বান জানান, পোশাক খাতে যেন উৎপাদন ব্যাহত না হয়।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, পোশাক শ্রমিকদের ১৮ দফা মেনে নেওয়ার পর এবারই প্রথম ন্যায্য মূল্যে টিসিবি পণ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। ৪৭০ টাকায় ৫ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল ও ২ লিটার সয়াবিন তেল গার্মেন্টস শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ করা শুরু হয়েছে। যাতে পরবর্তীতে তাদের দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে না হয়। পোশাক খাতে যেন উৎপাদন ব্যাহত না হয়।
তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই শ্রমিক অসন্তোষের সম্মুখীন হয়েছি। শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির জন্য বহিরাগতরাও দায়ী রয়েছে। এ নিয়ে আমরা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ মালিকপক্ষসহ সকলদের সাথে বারবার বসে গত ২৪ তারিখ ১৮ দফা প্রণয়ন করেছি। আমরা আশাবাদী অচিরেই এই খাতের সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দেশে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাটের পরেও অর্থনীতি টিকে আছে পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভর করে। দীর্ঘ লড়াই শেষে আমরা দায়িত্বে এসেছি। আমাদের প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। শ্রম অঞ্চলে অসন্তোষের ঘটনায় বহিরাগতরা জড়িত। শ্রমণ অসন্তোষে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
বিজিএমইএ`র সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, টেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো, মোস্তফা ইকবাল, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এইচ এম রফিকুল ইসলামসহ কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার কারখানাটির ১ হাজার শ্রমিকের হাতে টিসিবির পণ্য তুলে দেওয়া হয়। পরে কয়েকটি ধাপে কারখানাটির ১৩ হাজার শ্রমিককে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা জানায় শ্রমিকদের প্রতি মাসের পাওনা বেতন থেকে টিসিবির পণ্যের মূল্য বাবদ ৪৭০ টাকা কেটে নেওয়া হবে।