সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪ | ২২ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিল্পকলায় নিয়োগ জালিয়াতি: লিয়াকত আলী লাকীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী (লাকী)। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী (লাকী) এবং পরিচালক (প্রশাসন) জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে।

গত ৬ অক্টোবর (রোববার) দুদকের উপপরিচালক সুমিত্রা সেন বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের অনুসন্ধান টিমের দাখিল করা প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, লিয়াকত আলী লাকী এবং জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী পরস্পরের যোগসাজশে নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের নম্বরপত্রে কারসাজি করে তাদের উত্তীর্ণ দেখিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদান করেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ১০টি পদে মোট ২৩ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এর ফলে, অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা বিভিন্ন পদে যোগদান করে এবং তাদের বেতনভাতাসহ সরকারি তহবিল থেকে ৮ কোটি ২৮ লাখ ৪৯৫ টাকা উত্তোলন করে। এ অর্থ আত্মসাৎ বা সরকারি ক্ষতি সাধনের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, কালচারাল অফিসার আল মামুন, মো. হামিদুর রহমান, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, হাসান মাহমুদ, রুনা লায়লা মাহমুদ, সহকারী পরিচালক সামিরা আহমেদ, স্টেজ ম্যানেজার রহিমা খাতুন, গাইড লেকচারার মাহাবুবুর রহমান, ইন্সট্রাকটর মীন আরা পারভীন, ইন্সট্রাকটর প্রিয়াংকা সাহা, যন্ত্রশিল্পী নারায়ন দেব লিটন, মোহাম্মদ জিয়াউল আবেদীন, নৃত্যশিল্পী লায়লা ইয়াসমিন, মিফতাহল বিনতে মাসুক, সুমাইতাহ তাবাসসুম ধানম, কণ্ঠশিল্পী রোকসানা আক্তার রূপসা, আবদুল্লাহেল রাফি তালুকদার, মো. সোহানুর রহমান, আবিদা রহমান সেতু, মোহনা খাস, এবং ক্যামেরাম্যান রুবেল মিয়া।

এ মামলার মাধ্যমে নিয়োগ জালিয়াতির বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে এবং শিল্পকলা একাডেমির প্রশাসনিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

Header Ad

সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ৫ দিনের রিমান্ডে

সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যার মামলায় সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী এবং ঢাকা-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর নাজমুল হাচান। শুনানিতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলেও অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা সরকার পতনের কর্মসূচির সময় পল্টন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হলে আওয়ামী লীগ সমাবেশ বানচালের চেষ্টা করে। সেই সময় পুলিশের কিছু সদস্যের যোগসাজশে আওয়ামী লীগ কর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। আন্দোলন দমাতে লাঠিচার্জ, ককটেল হামলা, টিয়ারসেল নিক্ষেপ এবং গুলি চালানো হয়, যার ফলে বহু বিএনপি কর্মী আহত হন এবং মকবুল হোসেন নামক একজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করার জন্য সাবের হোসেন চৌধুরীকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে, গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে সাবের হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সাবের হোসেন চৌধুরী একাদশ জাতীয় সংসদে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

Header Ad

আবু সাঈদকে 'সন্ত্রাসী' আখ্যা দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উর্মিকে এবার সাময়িক বরখাস্ত

ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে ওএসডির পর এবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে উর্মিকে ওএসডি করা হয়।

তাপসী তাবাসসুম উর্মির ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে বেশকিছু পোস্টও করেছেন।

এছাড়া একটি স্ট্যাটাসে উর্মি ছাত্র আন্দোলনের নিহত শহীদ আবু সাইদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছেন।

Header Ad

আবরারের স্মৃতি আঁকড়ে একাকী দিন কাটছে মায়ের

ছবি: সংগৃহীত

প্রয়াত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ব্যবহৃত হাতঘড়ি, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, নামাজের টুপি, তসবিহ, ব্রাশ, না খাওয়া চকলেট, জুতা, জামাকাপড়, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড-সবকিছু স্বযত্নে রেখে দিয়েছেন তার মা রোকেয়া খাতুন। আলমারিতে সযত্নে রাখা রয়েছে আবরারের অর্জিত পুরষ্কারগুলোও। শেষবার কিনে দেওয়া নতুন জামাটিও অক্ষত রয়েছে মায়ের সংগ্রহশালায়।

কুষ্টিয়ায় পারিবারিক বাড়ির ছোট একটি কক্ষ, যা আবরারের থাকার জন্য নির্ধারিত ছিল, সেই কক্ষেই সাজানো রয়েছে তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও বইগুলো। একাকী দিন কাটে মায়ের, ছেলের স্মৃতির সঙ্গেই কথা বলেন তিনি।

রোকেয়া খাতুন বলেন, “এই মোবাইলটাই ছিল ওর জীবনের কাল। যদি জানতাম যে মোবাইলের ফেসবুক পোস্ট ওর জীবন কেড়ে নেবে, তাহলে কখনোই মোবাইল কিনে দিতাম না।”

আবরারের বাবা ঢাকায় ব্র্যাকের নিরীক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকেন, মূলত ছোট ছেলে ফায়াজের পড়াশোনার জন্য ঢাকায় তার পোস্টিং। কুষ্টিয়ার বাড়িতে একাই থাকেন রোকেয়া খাতুন। ছেলের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “সেদিন ছিলো ৬ তারিখ, রবিবার। ঠিক পাঁচ বছর পরেও আজকের দিনটিও রবিবার এবং ৬ তারিখ। সেদিন আমার ছেলেকে বাসে তুলে দিয়েছিলাম। বারবার ফোন দিয়ে বলছিলো দেরি হচ্ছে। হয়তো এটাই ছিলো ওর শেষ যাত্রা।”

তিনি আরও বলেন, “কেউ সেদিন আমার ছেলেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। ওদের হাতে আমার ছেলেকে শিবির বলে মেরে ফেলা হলো। পাঁচ বছর পরেও আমি কিছুই ভুলতে পারিনি।”

আবরারের মা চান, দ্রুত মামলার রায় কার্যকর করা হোক এবং পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “জেলে থাকা খুনিরা পালিয়ে যাবে কি না, এই ভয়ও আমাকে তাড়া করে।”

আবরার ফাহাদের হত্যার ঘটনায় দেশের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে সহপাঠীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন আবরার। তার বাবা বরকতউল্লাহ ওই বছরের ১৩ নভেম্বর চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার রায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ জন শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতে ডেথ রেফারেন্স শুনানির অপেক্ষায় আছে।

আবরারের মা দেশপ্রেমিক ছেলের স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে আছেন, তার মৃত্যুর বিচারের আশায় অপেক্ষায় রয়েছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ৫ দিনের রিমান্ডে
আবু সাঈদকে 'সন্ত্রাসী' আখ্যা দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উর্মিকে এবার সাময়িক বরখাস্ত
আবরারের স্মৃতি আঁকড়ে একাকী দিন কাটছে মায়ের
শিল্পকলায় নিয়োগ জালিয়াতি: লিয়াকত আলী লাকীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন
চঞ্চলের জনপ্রিয়তায় ভাটা !
সশস্ত্র বাহিনী বিএসইসি কার্যালয়ের নিরাপত্তায় থাকবে
বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস
নির্বাচনের চেয়েও সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় : প্রধান উপদেষ্টা
আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে ‘হেক্সা মিশন’ পূরণ করলো ব্রাজিল
স্ত্রীসহ সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাংবাদিকদের সঙ্গে দাসসুলভ আচরণের সুযোগ নেই : উপদেষ্টা নাহিদ
দিল্লিতে পালিয়েছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম
গ্রাহককে মারধরের ঘটনায় স্টার কাবাবের ১১ জন গ্রেপ্তার
সামিট গ্রুপের আজিজ খানসহ তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ
প্রথম মাসের বেতন ত্রাণ তহবিলে দিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
খুতবায় সাঈদী ও মামুনুল হককে নির্যাতনের কথা বলায় চাকরি হারালেন ইমাম
বসুন্ধরার চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
বৈরুতে রাতভর ইসরায়েলের হামলা, সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা
এক বছরে প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলে