বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | ৩১ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় উপদেষ্টা নাহিদ

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আন্দোলনে বড় ভূমিকা ছিল মো. নাহিদ ইসলামের। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। এরপর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার, যার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হয়েছেন নাহিদ।

এবার টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের ‘টাইম-১০০’ তে নাহিদ ইসলামের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রতি বছর বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির এই তালিকা প্রকাশ করে বিখ্যাত সাময়িকীটি।

টাইম ম্যাগাজিন নাহিদের সম্পর্কে লিখেছে, আন্দোলনের অনেক নেতার মধ্যে নাহিদ অন্যতম, বাংলাদেশের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরে জনমানুষের কাছে তার পরিচিতি আরো বাড়তে থাকে।

নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

সেই নাহিদই ৩ আগস্ট জাতীয় শহীদ মিনারে লাখো জনতার সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করেন। কী ছিল ঐতিহাসিক একদফা, আজ কারো অজানা নয়। ওইদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নাহিদ ইসলাম মাইকে সমবেত মানুষের উদ্দেশে বলেন, 'মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এক দফা দাবির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। এক দফাটি হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এই সরকারের পতন ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ।'

টাইমকে নাহিদ বলেছেন, 'কেউ ভাবতেও পারেনি তাকে (হাসিনাকে) উৎখাত করা সম্ভব হবে।' কিন্তু তাই করে দেখায় মুক্তিকামী জনতা, দেশব্যাপী তীব্র বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান হাসিনা।

তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোই এখন সামনে। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারে জেন জি'র দুই উপদেষ্টার একজন নাহিদ। অন্যজন হচ্ছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। টাইম বলেছে, ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যেভাবে ভেঙে পড়েছে, এখন তাকে মেরামতের চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে নতুন সরকারকে।

এ বিষয়ে নাহিদের ভাষ্য, 'আমাদের নতুন প্রজন্মের পালস বুঝতে হবে। বাংলাদশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহিংসতার যে পালাক্রম– অবশ্যই তার অবসান হতে হবে। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।'

টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর পূণাঙ্গ তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Header Ad

ছাত্রদের আন্দোলনকে জামাত-শিবির নিয়ন্ত্রণ করেছে: জয়

সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘ছাত্র আন্দোলনকে জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রণ করেছে। এমনকি তারা নিজেরাও এটা স্বীকার করেছে।’

বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমরা অনলাইনে দেখেছি কীভাবে ছাত্রদের আন্দোলনকে জামাত-শিবির নিয়ন্ত্রণ করেছে, এমনকি তারা নিজেরাও স্বীকার করেছে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলতে তাদের কর্মকাণ্ডও আপনারা দেখেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখন তারা প্রকাশ্যে আামদের মুক্তির সংগ্রামে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করছে। নিজেদের রাজাকার হিসেবে নিজেরাই আবার জাতির সামনে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।’

Header Ad

৩ দিনে বেনাপোল দিয়ে এলো ৮০৬ টন কাঁচামরিচ

৩ দিনে বেনাপোল দিয়ে এলো ৮০৬ টন কাঁচামরিচ। ছবি: সংগৃহীত

আমদানি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোলসহ স্থানীয় সব খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ১৫০-২০০ টাকা। কারণ হিসেবে দুর্গা পূজার জন্য টানা ৫দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

এদিকে তিনদিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৮০৬ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানি বাড়লেও আড়তে তেমন কমেনি কাঁচামরিচের দাম। পাঁচদিন বন্দর বন্ধ থাকবে জেনে কাঁচামাল গুদামজাত করে দাম বাড়িয়েছেন আড়তদাররা।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বেনাপোল ও শার্শার একাধিক বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগেও এসব বাজারে ভারত থেকে আমদানিকৃত কাঁচামরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি। আজ তা বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৪০০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে বেনাপোল বন্দরে কয়েকগুণ বেড়েছে কাঁচামরিচের আমদানি। গত সোমবার একদিনে ৫০ ট্রাকে ৫৮২ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২ ট্রাকে আমদানি হয় ১৪৪ টন কাঁচামরিচ। সবশেষ আজ বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাঁচটি ট্রাকে ৮০ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়।

আমদানিকৃত এসব মরিচের ক্রয় থেকে শুরু করে শুল্ক-কর মিলিয়ে খরচ পড়ছে ৯৬-১০০ টাকা কেজি। অথচ যশোরে বিভিন্ন বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকা কেজি দরে।

বেনাপোল বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, এক সপ্তাহ আগেও মরিচ কিনেছিলাম ৯০ টাকা কেজিতে। আজ দেখছি ৩৮০-৪০০ টাকা কেজি। এভাবে চললে আমরা চলবো কি করে?

বেনাপোল বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী রাশেদ আলী বলেন, বেশি দামে মরিচ কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। সব সবজি এবং পেঁয়াজের দামও আকাশ ছোঁয়া। তবে পূজার কারণে পোর্ট বন্ধ থাকায় বাজারের বড় বড় ব্যবসায়ীরা বস্তা বস্তা মরিচ আর পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন দাম বেশি পাওয়ার আশায়। আমদানি স্বাভাবিক হলে আবার দাম কমে যাবে।

বেনাপোল বন্দরের পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, পেঁয়াজে তেমন পড়তা না থাকায় এখন কাঁচামরিচ আমদানি করছি। বর্তমানে মরিচ আমদানি হচ্ছে বেশি। বাজারে মূল্যবৃদ্ধির ভাবটা অচিরেই কেটে যাবে। গত তিনদিনে প্রায় ৬৭ ট্রাকে ৮০৬ টন মরিচ আমদানি হয়েছে এ বন্দরে দিয়ে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ইয়াসিন জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করছেন। ক্রয়-বিক্রয় রশিদ, মূল্য তালিকা, বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কি না সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির বলেন, এ বন্দরে দিয়ে ভারত থেকে তিনদিনে ৮০৬ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। বন্দর থেকে খালাস করে নিয়ে যাচ্ছেন আমদানিকারকরা। পচনশীল পণ্য হিসেবে আমরা দ্রুত খালাস দিয়ে থাকি। দাম বাড়ার বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

Header Ad

মতিয়া চৌধুরী

কট্টর আওয়ামী লীগবিরোধী থেকে শেখ হাসিনার ‘একনিষ্ঠ সমর্থক’ হওয়ার গল্প

মতিয়া চৌধুরী এবং শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

মতিয়া চৌধুরী। পাকিস্তান আমলে নিজের তারুণ্যে বক্তৃতার দক্ষতার জন্য ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে দেশজুড়ে পরিচিতি পান তিনি। মন্ত্রিত্বসহ প্রায় ছয় দশকের রাজনৈতিক জীবনে বরাবরই সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশংসা কুড়িয়েছেন মতিয়া চৌধুরী। বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন এই অগ্নিকন্যা।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন এবং শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাতিল হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা ছিলেন। ‘কট্টর আওয়ামী লীগ বিরোধী’ থেকে সময়ের পরিক্রমায় মতিয়া চৌধুরী হয়ে উঠেছিলেন দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠ অনুসারী ও একনিষ্ঠ সমর্থক’। শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হিসেবে দলীয় পরিমণ্ডলে শক্ত অবস্থান করে নিয়ে কয়েক দফায় তার মন্ত্রিসভার সদস্য ও সংসদের উপনেতা হয়েছিলেন।

গবেষক, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদের ভাষ্য, মতিয়া চৌধুরীকে ছাত্রনেতা হিসেবে ষাটের দশকে মানুষ এক নামে চিনতো। তিনি ঝড়ের গতিতে এসে তখন তরুণদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ দিকে শেখ হাসিনাকে বেপরোয়া শাসক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে তার নিরঙ্কুশ সমর্থনও ভূমিকা রেখেছে।

স্কুলজীবন শেষে ইডেন কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হন এবং এর মধ্যে ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। পরে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬৪ সালে ছাত্র ইউনিয়ন থেকেই তিনি ডাকসুর জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন।ওই বছরেই তিনি সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। প্রয়াত বজলুর রহমান পরবর্তীকালে দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন।

ষাটের দশকে পাকিস্তানি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যে তুমুল আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। সে সময় কয়েক দফায় কারাগারে যেতে হয়েছে এবং এর মধ্যে একবার টানা দুবছর জেলে ছিলেন তিনি।

ষাটের দশকেই দেশজুড়ে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে পরিচিত পান এবং তিনি গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। এক পর্যায়ে ছাত্র ইউনিয়ন দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে- তার ও রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে।তখন আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের সঙ্গে না থাকলেও ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষিত ছয় দফার সমর্থনে ব্যাপক সক্রিয় ছিলেন মতিয়া চৌধুরী।

ছাত্রজীবন শেষ হওয়ার পর ১৯৬৭ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে। এ সময় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।

১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পতনের পর আরও অনেক রাজনীতিবিদের সঙ্গে তিনিও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবার রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন।

মুক্তিযুদ্ধেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়ন যে গেরিলা বাহিনী গঠন করেছিল, তাতেও তিনি সংগঠক ছিলেন।

তবে মুক্তিযুদ্ধের পর আবার ন্যাপের রাজনীতি শুরু করেন। সে সময় তিনি আওয়ামী লীগের কট্টর সমালোচক হিসেবে আলোচিত ছিলেন।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সমালোচক ছিলেন। পরে ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগেই যোগ দিয়ে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন। মূলত শেখ হাসিনার বিষয়ে কট্টর ছিলেন তিনি। শেখ হাসিনাকে যারা ঘিরে ছিলেন এবং পরে তাকে বেপরোয়া হয়ে উঠতেও সাহায্য করেছেন- মতিয়া চৌধুরীও ছিলেন তাদের একজন।’

২০০৭ সালে বাংলাদেশে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা দলটিতে সংস্কার আনার পক্ষে অবস্থান নেন। এর বিপরীতে মতিয়া চৌধুরীসহ অন্যরা শেখ হাসিনার পক্ষে তাদের দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করেন।পরে শেখ হাসিনা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন এবং ২০০৯ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় গেলে মতিয়া চৌধুরীর অবস্থান দলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে।

মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু বলেন, মুক্তিযুদ্ধসহ জাতীয় জীবনের নানা উত্থান পতনে মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্ব তারা দেখেছেন।ষাটের দশকের বর্ণাঢ্য যুগে যে কয়জন ছাত্রনেতার নাম শুনেছি তার মধ্যে একজন মতিয়া চৌধুরী। তবে দীর্ঘ বাম রাজনীতির অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিত্বের প্রখরতা নিয়ে তিনি হয়ে গেলেন শেখ হাসিনার অনুসারী। দলকে ইতিবাচক ধারায় রাখতে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি তিনি।’

তবে তিনি মনে করেন, মতিয়া চৌধুরীর ব্যক্তিগত আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেম তাকে অনেকটা সময় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করে রাখবে।এমন দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ খুব বেশি দেখা যায় না। মন্ত্রী হিসেবেও তার খুব একটা সমালোচনা নেই।

মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-১ আসন থেকে বেশ কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।

এরপর ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর জাতীয় সংসদের উপনেতা করা হয়েছিল তাকে। মন্ত্রিসভায় মতিয়া চৌধুরীর সহকর্মী সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, সততা ও সাদামাটা জীবনযাপন মতিয়া চৌধুরীকে গণমানুষের নেতায় পরিণত করেছিল।তিনি ছিলেন আমাদের ছাত্রজীবনের আইকন। সব প্রগতিশীল আন্দোলনে ছিলেন সামনের সাড়িতে। মন্ত্রী হিসেবেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সততা ও নিষ্ঠার প্রশ্নে কখনো তাকে আপস করতে দেখিনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ছাত্রদের আন্দোলনকে জামাত-শিবির নিয়ন্ত্রণ করেছে: জয়
৩ দিনে বেনাপোল দিয়ে এলো ৮০৬ টন কাঁচামরিচ
কট্টর আওয়ামী লীগবিরোধী থেকে শেখ হাসিনার ‘একনিষ্ঠ সমর্থক’ হওয়ার গল্প
শরীয়তপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় জামায়াত নেতা নিহত
বিপিএলে চিটাগং কিংসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর শহীদ আফ্রিদি
ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম গ্রেফতার
ডাক বিভাগের সাবেক ডিজি শুধাংশু শেখর ভদ্র গ্রেপ্তার
পালিয়ে থাকা শিল্পীদের প্রকাশ্যে আসার আহ্বান ওমর সানীর
জাতীয় ৮ দিবস বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের বিবৃতি
‘আগে যারা আব্বু আম্মুকে কটু কথা বলতো, তারাই এখন এসে ভালো কথা বলে’
বিদায়ী টেস্ট খেলতে আগামীকাল দেশে ফিরছেন সাকিব
গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা
খুনিদের বিচার করতে ড. ইউনূসকে সরকারে বসানো হয়েছে: ফারুক
ইংল্যান্ডের নতুন কোচ হলেন টমাস টুখেল
ক্যারিবীয়দের ৮৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল শ্রীলঙ্কা
৬ বছর পর মুখ্যমন্ত্রী পেল জম্মু-কাশ্মীর, শপথ নিলেন ওমর আবদুল্লাহ
মাওলানা ভাসানীর অবদান অস্বীকার করেছে আওয়ামী লীগ: তথ্য উপদেষ্টা
কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ
অভিযোগ ওঠা ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত
আ. লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন