মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২১ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় সম্পৃক্ত সেই ইন্সপেক্টর গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় হত্যার পর মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সম্পৃক্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর আরাফাতকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‌্যাব।

এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর আফতাবনগর থেকে আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে র‍্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে লাশ পোড়ানোর ঘটনার ভিডিও দেশ-বিদেশে নাড়া দেয়। এতে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে উঠে আসে যে, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন ইন্সপেক্টর আরাফাত হোসেন। এরপর আত্মগোপনে চলে যান তিনি। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রাজধানীর আফতাবনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে একই ঘটনার অভিযোগে গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপার নিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহিল কাফিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

প্রসঙ্গত, সরকার পতনের দিন আশুলিয়া থানার সামনে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, দুজন পুলিশ সদস্যের একজন হাত ও একজন পা ধরে ভ্যানে একটি লাশ নিক্ষেপ করছেন। এর আগেই ভ্যানে লাশের স্তূপ করে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন তারা। সর্বশেষ লাশটি তুলে একটি ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। শেষে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি দেখা মেলে।

Header Ad
Header Ad

জাবিতে ইন্টারনেট কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু  

নিহত প্রীতম রায়। ছবিঃ সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রীতম রায় নামে মাস্টারনেটের এক ইন্টারনেট কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করেন হলের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত প্রীতম রায়ের (২৩) গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। তিনি মীর মশাররফ হোসেন হলে ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টারনেটের কর্মচারী ছিলেন। প্রীতম সাভারের ভাটপাড়া এলাকায় মাস্টারনেটের বাসায় থাকতেন।

মীর মশাররফ হোসেন হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, রাত ১০টার দিকে প্রীতমসহ চারজন কর্মচারী ইন্টারনেট মেরামতের কাজে হলে আসেন। প্রীতম হলের এ-ব্লকের চারতলা ভবনের ছাদে কাজ করছিলেন। বাকিরা হলের অন্যদিকে ছিলেন। পরে প্রীতমের খোঁজ না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তাকে হলের পেছনের অংশে মাটিতে নিস্তেজ অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়। তারা ধারণা করছেন, প্রীতম ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন।

এ বিষয়ে মাস্টারনেটের মালিক মো. রুবেল বলেন, দিনের বেলায় সব শিক্ষার্থী কক্ষে থাকেন না। সেজন্য রাতে তার কর্মচারীরা ইন্টারনেট মেরামতের কাজ করছিলেন। ছাদে প্রীতম ইন্টারনেটের লেজারের কাজ করছিলেন। রাত ১১টার দিকে হলে বাকি যারা কাজ করছিলেন তাদের একজনকে প্রীতম ফোনে জানিয়েছিলেন, তিনি দুটি লেজার মেরামতের কাজ করেছেন। এখনো দুটি লেজারের কাজ বাকি আছে। এরপরে তার আর সাড়া শব্দ না পাওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।

প্রীতমের সঙ্গে হলে বাকি যে তিনজন কাজ করছিলেন তাদের একজন মো. লিংকন বলেন, কাজ করার সময় তার সঙ্গে ফোনে কথা হয় প্রীতমের। পরে তাকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি আর ফোন ধরেননি। পরে ছাদের যে অংশে কাজ করছিল সে অংশে গিয়ে কল দিলে ভবনের নিচে প্রীতমের মুঠোফোনের রিংটন বাজতে থাকে। পরে তারা নিচে গিয়ে দেখেন তিনি মাটিতে পরে আছেন।

এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘স্পটে (ঘটনাস্থলে) দুবার গিয়ে ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে যেটা ধারণা করছি সেটা হলো, হলের ছাদের চিলেকোঠার অংশের কার্নিশ ধরে ওপরে উঠতে গিয়ে হয়তো সে পড়ে গেছে। কারণ আমরা কার্নিশের ইট ভাঙা পেয়েছি।’

Header Ad
Header Ad

দেশে অবৈধ ৫০ হাজার বিদেশির মধ্যে ১৫ হাজার দেশ ছেড়েছেন  

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশে ৫০ হাজার বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে অবস্থান করছিল। অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের গত ডিসেম্বর মাসে আবেদন করে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ১৫ হাজার ৬১৮ জন নাগরিক বাংলাদেশ ছেড়ে যান। এখনো ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে এ দেশে অবস্থান করছে। অবৈধ এই নাগরিকদের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে ১১ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক ও বহিরাগমন-২ অধিশাখার যুগ্ম সচিবকে কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) ভিসা শাখা সূত্র জানায়, গত ৮ ডিসেম্বর বৈধ ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে সতর্ক করা হয়, ভিসার মেয়াদ না বাড়ালে বা নবায়ন না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাসপোর্ট অধিদপ্তরে ভিসার মেয়াদ বাড়াতে বা নবায়ন করতে ১৫ হাজার আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ভারতীয়। এছাড়া চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকও রয়েছেন।

পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) সূত্র জানায়, বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়দের মধ্যে ২৭ হাজার নাগরিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশিদের মধ্যে চীনের নাগরিকরা দ্বিতীয় স্থানে ছিল। প্রায় ১০ হাজার চীনা নাগরিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

ডিআইপির ভিসা শাখার তথ্য মতে, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া এই বিদেশিদের বাংলাদেশ ত্যাগ করার আগে জরিমানা দিয়ে ভিসা নবায়ন করতে হবে কিংবা আইনি জটিলতার ঝুঁকি নিতে হবে।

Header Ad
Header Ad

গুমের ঘটনার তদারকিতে শেখ হাসিনা : এইচআরডব্লিউ এর তদন্ত প্রতিবেদন  

ছবিঃ সংগৃহীত

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বাংলাদেশে গুমের ঘটনা তদারকিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত ৫০ পৃষ্ঠার ‘আফটার দ্য মনসুন রেভ্যুলিউশন : আ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে সাড়ে তিন হাজারের বেশি জোরপূর্বক গুমের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের বন্দিদশাকে "মৃত্যুর চেয়েও ভয়াবহ" অভিজ্ঞতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

ন্যাশনাল ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতনের ধরন শুধু পদ্ধতিগত নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিকও ছিল।

এইচআরডব্লিউ আরও বলেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোপন আটককেন্দ্রগুলোতে আটক ব্যক্তিদের নির্যাতন করা হতো এবং বিচারের মুখোমুখি না করেই দীর্ঘ সময় আটকে রাখা হতো। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর তিনজনকে গোপন আটককেন্দ্র থেকে মুক্তি দেওয়া হয়, যাদের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বরাবরই অস্বীকার করে আসছিল।

প্রতিবেদনে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে, যাকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও গুমের জন্য দায়ী করা হয়।

এইচআরডব্লিউ বাংলাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যক্রমের ওপর স্বাধীন বেসামরিক তদারকি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে গুম, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো অপরাধের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনা যায়।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাবিতে ইন্টারনেট কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু  
দেশে অবৈধ ৫০ হাজার বিদেশির মধ্যে ১৫ হাজার দেশ ছেড়েছেন  
গুমের ঘটনার তদারকিতে শেখ হাসিনা : এইচআরডব্লিউ এর তদন্ত প্রতিবেদন  
সামরিক বিমানে করে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে ১০ মৃত বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে  
জুলাই-জানুয়ারিতে ২৩৫৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি  
রাজধানীতে সড়ক পার হতে গিয়ে নিখোঁজ ১১ বছরের শিশু, থানায় জিডি
টানা দ্বিতীয় শিরোপা থেকে এক জয় দূরে ফরচুন বরিশাল
তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার, ৭ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্তের আশ্বাস
নারী ভক্তদের চুম্বন বিতর্কে উদিত নারায়ণ: বললেন, ‘সবটাই জনপ্রিয়তার কারণে’
টাঙ্গাইলে রডমিস্ত্রিকে গলাকেটে হত্যা: জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষা, সৌদি আরবে গ্রেপ্তার ১০ পাকিস্তানি
আ.লীগের লিফলেট বিতরণ করলে গ্রেফতার করা হবে: প্রেস সচিব  
আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের ক্যাডার! শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রভাষকের হুমকি  
তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  
তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন
অনলাইনে মামলা দায়ের পদ্ধতি চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ আর চাইনা : সাবেক বিমানমন্ত্রী ফারুক খানের পোস্ট ভাইরাল
চুপ থাকার সময় শেষ, রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ : আদালতে প্রাঙ্গণে পলক  
১১ দফা দাবিতে মতিঝিলে শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের সমাবেশ