পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে কাজ শুরু করেছে দুদক, আসছে এফবিআই
ছবি: সংগৃহীত
গত ৫ আগস্ট তুমুল বিক্ষোবের তোপে পড়ে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে সরকার পতনের পরেই আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭ বছরে পাচার হওয়া প্রায় এক লাখ কোটি টাকার খোঁজে পূর্নাঙ্গ শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এই কাজে সংস্থাটিকে সাহায্য করছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একটি দল।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় এফবিআইয়ের লিগ্যাল অ্যাটাচে রবার্ট ক্যামেরুন ও সুপারভাইজার স্পেশাল এজেন্টের সমন্বয়ে একটি দল দুদকের মানিলন্ডারিং এবং লিগ্যাল শাখার মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক মহাপরিচালক জাগো নিউজকে বলেন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছে দুদক। এছাড়া পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে আমাদের সফলতা আছে। মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত কার্যক্রম, আইন ও আমাদের সক্ষমতা এফবিআইকে জানাবো।
তিনি বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে সংস্থাটির কোনো সাহায্য নেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে আমাদের কথা হবে। এছাড়া যৌথ টাস্কফোর্স নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
দুদকের সঙ্গে এফবিআইসহ একাধিক বিদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয় বলে জানান তিনি। এদিকে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিদেশে পাচার অর্থ ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্স গঠন করার কথা জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সভা শেষে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, টাস্কফোর্সের কর্মপদ্ধতি কী হবে, কারা থাকবে, এর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যে এই টাস্কফোর্স দৃশ্যমান হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যাংক খাতের সংস্কারে আলাদা টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
জানা গেছে, সরকারের বিশেষ টাস্কফোর্সে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন, অর্থ বিভাগ, এনবিআর, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইত্যাদি সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকছেন।