সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর এপিএস বাশারের সম্পদের পাহাড়

সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আ ন ম আহমাদুল বাশার। ছবি: সংগৃহীত

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পাড়ি জমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে থলের বিড়াল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তার অনেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং আমলাই আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার মতোই রাতারাতি বনে গিয়েছেন বিপুল সম্পদের মালিক। এমনই একজন হচ্ছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আ ন ম আহমাদুল বাশার।

গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রীর এপিএস হয়েই মাত্র পাঁচ থেকে ছয় বছরেই বাশার হয়ে গেছেন কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক। দিনাজপুর জেলা ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর প্রভাবে নিয়োগ-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, দলীয় পদ দেওয়ার নামে কামিয়েছেন হাজার কোটি টাকা। এসব টাকা পাচারে নিজেই নিয়েছেন এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার মালিকানা।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং তার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আ ন ম আহমাদুল বাশার। ছবি: সংগৃহীত

খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নাম পরিচয় কাজে লাগিয়ে যে শুধু নিজের স্বার্থ হাসিল করেছেন ব্যাপারটি এমন নয়। শতকোটি টাকার মালিক বানিয়েছেন নিজের মোটরসাইকেল চালককেও! একসময় মাদক কারবার ও নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হলেও খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর প্রভাবে সীমাহীন দুর্নীতি চালিয়ে গেছেন এপিএস বাশার।

এপিএস হওয়ার আগের সময়টা খুব একটা ভালো ছিল না বাশারের। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের টেনা এলাকার দরিদ্র কৃষক তাইজুল ইসলামের তিন ছেলের মধ্যে দ্বিতীয় তিনি। স্থানীয়রা জানান, একসময় বাশারের পরিবারের সম্পদ ছিল তিন থেকে চার বিঘা জমি। সেই জমিতে কোনো রকম আবাদ করে কষ্টে দিন কাটত এ পরিবারের। ছেলেদের পড়াশোনার খরচ চালাতে একসময় জমি বন্ধকও রেখেছিলেন কৃষক তাইজুল। তবে বাশারের অবৈধ টাকার কেরামতিতে সেই পরিবার এখন ফুলেফেঁপে কলাগাছ।

স্থানীয় মুদি দোকানদার রহমান আলীর ভাষ্যে, কেউ আলাদীনের চেরাগ পেলেও হয়তো এত দ্রুত কোটি কোটি টাকা, জায়গা-জমি, পুকুর, বাড়ি-গাড়ির মালিক হতে পারে না, যতটা এপিএস বাশার মাত্র ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে করেছেন।

জানা গেছে, খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সংসদীয় আসন বোচাগঞ্জের বাসিন্দা। এই সুবাদে তার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন বাশার। এক পর্যায়ে এলাকার পাশাপাশি ঢাকার রাজনীতিতেও বেশ প্রভাব খাটানো শুরু করেন তিনি। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সময় ২০১১ সালে খালিদ মাহমুদের সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হন বাশার। তবে সভাপতি পদ বাগিয়ে নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু করেন নিয়োগ-বাণিজ্য। শিক্ষক নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজের টেন্ডার নেওয়া থেকে শুরু করে শেরেবাংলা নগর এলাকায় মাদকের রমরমা কারবার শুরু করেন তিনি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে কলেজ গেট এলাকায় একটি বাসায় গড়ে তৈরি করেছিলেন নিজস্ব টর্চার সেল। ছাত্রলীগের অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীদের এবং টেন্ডার ও মাদক কারবারে কেউ বাধা দিলে সাঙ্গোপাঙ্গদের দিয়ে তাদের তুলে নিয়ে সেই টর্চার সেলে নির্যাতন করতেন। এসব অপকর্মের কারণে কমিটির এক বছরের মাথায় সভাপতির পদ ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হন।

এ বিষয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, বাশারের অত্যাচারে ক্যাম্পাসে টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তো বটেই, ছাত্রলীগের যারা রাজনীতি করত, তাদেরও নির্যাতন করত বাশার। তার কথার বাইরে কোনো নিয়োগ হতো না। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদকের কারখানা বানিয়ে ফেলেছিলেন।

আ ন ম আহমাদুল বাশার। ছবি: সংগৃহীত

তবে এত কিছুর পরও খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ হতো বাশারের মাধ্যমেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পরপরই ২০১৩ সালে তৎকালীন দিনাজপুর-২ আসনের এমপি খালিদ মাহমুদ তাকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর ২০১৯ সালে একাদশ জাতীয় সংসদের অধীনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে খালিদ মাহমুদ দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাশারকে। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং প্রতিমন্ত্রীর ক্ষমতার কারণে বাশার হয়ে ওঠেন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। রাজধানীসহ দিনাজপুর জেলায় শুরু হয় বাশারের তাণ্ডব।

বিআইডব্লিউটিএ ভবনে খালিদের চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান ছিলেন বাশার: জানা যায়, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মন্ত্রী হওয়ার পরপরই বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) প্রধান কার্যালয় দখলে নেন এপিএস বাশার। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন বিকেল ৪টার পর তার নিজস্ব ঠিকাদার ও ব্যক্তিগত ক্যাডার বাহিনী নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে প্রবেশ করে বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের কক্ষে গিয়ে তার পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করতেন তিনি। অপছন্দের ঠিকাদারকে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে প্রবেশ করতে দিতেন না। কেউ গেলেই ক্যাডার বাহিনী নিয়ে হামলা করতেন তিনি।

বিআইডব্লিউটিএ ভবনের কয়েকজন তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০ লাখ টাকার ওপরে যে কোনো কাজে এপিএস বাশারকে কাজের বিপরীতে কমিশন না দিলে কাজ পাওয়া যায় না। ওই ভবনে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আক্ষেপ করে বলেন, বিগত পাঁচ বছর থেকে টেন্ডার কাজে কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে এপিএস বাশার হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েকশ কোটি টাকার ওপরে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাশারের বড় সহযোগী ছিলেন সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর চাচাতো ভাইয়ের বউয়ের ছোট বোনের স্বামী মো. আরশাদ। এই দুজন মিলে নিয়ন্ত্রণ করতেন মন্ত্রণালয়ের সবকিছু। তাদের মাধ্যমেই কাজের পার্সেন্টেজ নিতেন প্রতিমন্ত্রী। কাকে কাজ দেওয়া যাবে, তা ঠিক করতেন আরশাদ আর বাশার। বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, চট্টগ্রাম বন্দর, পায়রা পোর্টের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নিজেদের সিন্ডিকেটের লোক বসাতেন এই দুজন। তাদের মধ্যে আরশাদ নৌপ্রতিমন্ত্রীর ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত ছিলেন সবার কাছে। মূলত এই আরশাদই প্রতিমন্ত্রীর হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে দিনাজপুরের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্যক্তিগত সহকারী হলেও বাশার এলাকায় কখনো কখনো খোদ খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর চেয়েও বেশি ক্ষমতা দেখাতেন। দিনাজপুরে তার হয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন বাশার।

দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি জানান, জেলার ডিসি, এসপি থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতারা তটস্থ থাকতেন বাশারের ভয়ে। বাশার চাইলেই যে কাউকে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী কাছে নায়ক বা ভিলেন বানাতে পারতেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা বাশার করেননি। নিজের অযোগ্য আত্মীয়স্বজনের দিয়ে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন। যে যত বেশি তার আত্মীয়দের খুশি করতে পারতেন, সেই পদ ক্ষমতাসহ অর্থের মালিক হতেন।

বাশারের যত সম্পদ: স্থানীয় নেতাকর্মী ও বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিজ গ্রাম টেনাসহ আশপাশের গ্রামে নামে-বেনামে ৩০০ বিঘা জমি রয়েছে বাশারের। এছাড়া কালুপীর বাজারের পাশে মসলাবাটি নামক স্থানে ১৫০ বিঘার ওপর পুকুরের সঙ্গে রয়েছে খামারবাড়ি। কালুপীর বাজারে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমি, দোকান ও গোডাউন করেছেন বাশার। পার্শ্ববর্তী উপজেলা পীরগঞ্জের ৫ নম্বর সৈয়দপুর ইউনিয়নে ৯০ বিঘা জমির ওপর আমবাগান, পীরগঞ্জ উপজেলায় কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ৫৮ শতাংশ জমি, সেতাবগঞ্জ বাজারে নিজের নামে এবং আত্মীয়স্বজনের নামে কয়েক কোটি টাকার ১ হাজার ৭৪১ শতাংশ জমি, বিরল স্থলবন্দরের পাশেই ৩৮৬ শতাংশ জমি, দিনাজপুর শহরে শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনের নামে ৫টি প্লট রয়েছে বাশারের। এ ছাড়া ঢাকার লালমাটিয়া, আদাবর, শেখেরটেক, মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটি, বাবর রোড়, হুমায়ুন রোডে রয়েছে ১৩টি ফ্ল্যাট এবং বছিলা ও ঢাকা উদ্যানে ৫ শতাংশ করে অসংখ্য প্লট রয়েছে বাশারের নামে।

টাকা পাচারে খালাতো ভাইয়ের নামে ‘খালাতো এন্টারপ্রাইজ’: মন্ত্রণালয় এবং বাশারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব, নিয়োগ-বাণিজ্য আর মাদকের কারবারের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশেও পাচার করেছেন বাশার। পাচারের দিকটা দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তার অন্যতম সহযোগী খালাতো ভাই রনি। এই রনিকে সবাই ‘খালাতো এন্টারপ্রাইজ’ নামে চেনে। রনিকে দিয়ে ‘খালাতো এন্টারপ্রাইজ’ নামে প্রতিষ্ঠান খুলে বোচাগঞ্জ উপজেলা নিয়ন্ত্রণ করতেন বাশার। তাকে দিয়েই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা নিয়েছিলেন তিনি। এই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আড়ালে প্রতি সপ্তাহে বিদেশে টাকা পাচার করতেন তিনি। এ ছাড়া খালাতো এন্টারপ্রাইজ দিয়ে এলাকার সব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন রনি। চাকরি-বাণিজ্য, বদলি, থানায় প্রভাব বিস্তার, মাদক-বাণিজ্য, সরকারি জমি গ্রাস—এমন কোনো কাজ নেই, যা রনি করতেন না। সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর কাছে যারা বিভিন্ন চাকরির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরির জন্য যেতেন, বাশার তাদের রনির কাছে পাঠাতেন। রনি প্রতিজনের কাজ থেকে ৫ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত টাকা নিতেন।

স্থানীয়রা জানান, কারও যদি কপালে চাকরি লেখা থাকত তাহলে হতো, আর না হলে ওই টাকা আর কখনো ফেরত পাওয়া যেত না। টাকা ফেরত চাইলেই মিথ্যা মামলা আর নির্যাতনের ভয় দেখানো হতো।

এদিকে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে বিদেশে গেলে তার মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের সঙ্গে আত্মগোপনে চলে যান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তার সঙ্গে আত্মগোপনে গেছেন এপিএস বাশার ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরাও। ফলে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অনিয়ম ও লুটপাটের বিষয়ে তাদের মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Header Ad
Header Ad

টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশন মাত্র ১০ টাকায় ৪২০টি পরিবারের মাঝে গরুর মাংস বিতরণ করেছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে কামারখাড়া হাই স্কুল মাঠে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে অসহায় ও দুস্থ পরিবারগুলোকে ১০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস দেওয়া হয়।

বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশন শুধু ঈদের দিনেই নয়,প্রতিবছর রমজানে বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ, মেধাবৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন এবং অসহায়দের জন্য নানা সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

১০ টাকায় গরুর মাংস কিনতে আসা খালেদা বেগম বলেন, "১০ টাকা আজকাল বাচ্চারাও নিতে চায় না, অথচ আমরা এখানে ১০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস পাচ্ছি। যারা এই আয়োজন করেছেন, আল্লাহ তাদের ভালো রাখুক।"

একইভাবে বৃদ্ধ মো. ফজল বলেন, "বাজারে গরুর মাংসের যে দাম, ভাবছিলাম ঈদের দিন মাংস খেতে পারব না। কিন্তু বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশনের জন্য ঈদের দিনেও মাংস খেতে পারছি, এ জন্য আমি খুব খুশি।"

বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক (হিরা) বলেন, "এটি আমাদের চতুর্থবারের মতো আয়োজন। আমরা চাই, সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষও যেন ঈদের দিনে মনে করে তারা নিজের টাকায় গরুর মাংস কিনে খেতে পারছে। এই চিন্তা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ।"

এই মানবিক উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঢাকা, ফরিদপুর, পটুয়াখালী ও রাঙামাটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (৩১ মার্চ) প্রকাশিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, সিলেট বিভাগের দু-একটি স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আগামীকাল মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

এছাড়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে গরমজনিত অসুস্থতা বাড়তে পারে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের পর্যাপ্ত পানি পান এবং সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে জামাল হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কাদপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ছেলে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

রোববার (৩০ মার্চ) রাতে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের শফি ইটভাটা সংলগ্ন সেতাই-বালুন্ডা সড়কের পাশে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে শার্শা থানার ওসি কে এম রবিউল ইসলাম নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

ওসি কেএম রবিউল ইসলাম জানান, "লাশের পাশে একটি অ্যাপাচি ৪ভি কালো রঙের মোটরসাইকেল এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত কিছু মেহগনি গাছের চলাকাঠ পাওয়া গেছে। নিহতের মুখ ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।"

প্রাথমিকভাবে নিহতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নিহত জামাল হোসেন মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া সীমান্ত এলাকা থেকে ফেনসিডিল বহন করে শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে সরবরাহ করতেন।

পুলিশের সন্দেহভাজন তালিকায় থাকা কাদপুর গ্রামের আলী হোসেন খাঁর ছেলে জাহিদ হাসানকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এদিকে, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের কারণ ও এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার
ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১
চীনে বিশাল তেলক্ষেত্র আবিষ্কার, মজুদ ১০ কোটি টনের বেশি
রাজধানীতে সুলতানি আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল
গাজীপুরে বাসচাপায় শিশুসহ দুই যাত্রী নিহত, আহত ৪
টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল জামাত অনুষ্ঠিত
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: পরমাণু চুক্তি না হলে ইরানে বোমা হামলা ও নিষেধাজ্ঞা
লোহাগাড়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত
বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান