রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর এপিএস বাশারের সম্পদের পাহাড়

সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আ ন ম আহমাদুল বাশার। ছবি: সংগৃহীত

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পাড়ি জমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে থলের বিড়াল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তার অনেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং আমলাই আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার মতোই রাতারাতি বনে গিয়েছেন বিপুল সম্পদের মালিক। এমনই একজন হচ্ছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আ ন ম আহমাদুল বাশার।

গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রীর এপিএস হয়েই মাত্র পাঁচ থেকে ছয় বছরেই বাশার হয়ে গেছেন কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক। দিনাজপুর জেলা ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর প্রভাবে নিয়োগ-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, দলীয় পদ দেওয়ার নামে কামিয়েছেন হাজার কোটি টাকা। এসব টাকা পাচারে নিজেই নিয়েছেন এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার মালিকানা।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং তার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আ ন ম আহমাদুল বাশার। ছবি: সংগৃহীত

খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নাম পরিচয় কাজে লাগিয়ে যে শুধু নিজের স্বার্থ হাসিল করেছেন ব্যাপারটি এমন নয়। শতকোটি টাকার মালিক বানিয়েছেন নিজের মোটরসাইকেল চালককেও! একসময় মাদক কারবার ও নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হলেও খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর প্রভাবে সীমাহীন দুর্নীতি চালিয়ে গেছেন এপিএস বাশার।

এপিএস হওয়ার আগের সময়টা খুব একটা ভালো ছিল না বাশারের। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের টেনা এলাকার দরিদ্র কৃষক তাইজুল ইসলামের তিন ছেলের মধ্যে দ্বিতীয় তিনি। স্থানীয়রা জানান, একসময় বাশারের পরিবারের সম্পদ ছিল তিন থেকে চার বিঘা জমি। সেই জমিতে কোনো রকম আবাদ করে কষ্টে দিন কাটত এ পরিবারের। ছেলেদের পড়াশোনার খরচ চালাতে একসময় জমি বন্ধকও রেখেছিলেন কৃষক তাইজুল। তবে বাশারের অবৈধ টাকার কেরামতিতে সেই পরিবার এখন ফুলেফেঁপে কলাগাছ।

স্থানীয় মুদি দোকানদার রহমান আলীর ভাষ্যে, কেউ আলাদীনের চেরাগ পেলেও হয়তো এত দ্রুত কোটি কোটি টাকা, জায়গা-জমি, পুকুর, বাড়ি-গাড়ির মালিক হতে পারে না, যতটা এপিএস বাশার মাত্র ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে করেছেন।

জানা গেছে, খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সংসদীয় আসন বোচাগঞ্জের বাসিন্দা। এই সুবাদে তার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন বাশার। এক পর্যায়ে এলাকার পাশাপাশি ঢাকার রাজনীতিতেও বেশ প্রভাব খাটানো শুরু করেন তিনি। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সময় ২০১১ সালে খালিদ মাহমুদের সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হন বাশার। তবে সভাপতি পদ বাগিয়ে নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু করেন নিয়োগ-বাণিজ্য। শিক্ষক নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজের টেন্ডার নেওয়া থেকে শুরু করে শেরেবাংলা নগর এলাকায় মাদকের রমরমা কারবার শুরু করেন তিনি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে কলেজ গেট এলাকায় একটি বাসায় গড়ে তৈরি করেছিলেন নিজস্ব টর্চার সেল। ছাত্রলীগের অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীদের এবং টেন্ডার ও মাদক কারবারে কেউ বাধা দিলে সাঙ্গোপাঙ্গদের দিয়ে তাদের তুলে নিয়ে সেই টর্চার সেলে নির্যাতন করতেন। এসব অপকর্মের কারণে কমিটির এক বছরের মাথায় সভাপতির পদ ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হন।

এ বিষয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, বাশারের অত্যাচারে ক্যাম্পাসে টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তো বটেই, ছাত্রলীগের যারা রাজনীতি করত, তাদেরও নির্যাতন করত বাশার। তার কথার বাইরে কোনো নিয়োগ হতো না। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদকের কারখানা বানিয়ে ফেলেছিলেন।

আ ন ম আহমাদুল বাশার। ছবি: সংগৃহীত

তবে এত কিছুর পরও খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ হতো বাশারের মাধ্যমেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পরপরই ২০১৩ সালে তৎকালীন দিনাজপুর-২ আসনের এমপি খালিদ মাহমুদ তাকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর ২০১৯ সালে একাদশ জাতীয় সংসদের অধীনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে খালিদ মাহমুদ দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাশারকে। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং প্রতিমন্ত্রীর ক্ষমতার কারণে বাশার হয়ে ওঠেন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। রাজধানীসহ দিনাজপুর জেলায় শুরু হয় বাশারের তাণ্ডব।

বিআইডব্লিউটিএ ভবনে খালিদের চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান ছিলেন বাশার: জানা যায়, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মন্ত্রী হওয়ার পরপরই বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) প্রধান কার্যালয় দখলে নেন এপিএস বাশার। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন বিকেল ৪টার পর তার নিজস্ব ঠিকাদার ও ব্যক্তিগত ক্যাডার বাহিনী নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে প্রবেশ করে বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের কক্ষে গিয়ে তার পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করতেন তিনি। অপছন্দের ঠিকাদারকে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে প্রবেশ করতে দিতেন না। কেউ গেলেই ক্যাডার বাহিনী নিয়ে হামলা করতেন তিনি।

বিআইডব্লিউটিএ ভবনের কয়েকজন তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০ লাখ টাকার ওপরে যে কোনো কাজে এপিএস বাশারকে কাজের বিপরীতে কমিশন না দিলে কাজ পাওয়া যায় না। ওই ভবনে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আক্ষেপ করে বলেন, বিগত পাঁচ বছর থেকে টেন্ডার কাজে কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে এপিএস বাশার হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েকশ কোটি টাকার ওপরে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাশারের বড় সহযোগী ছিলেন সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর চাচাতো ভাইয়ের বউয়ের ছোট বোনের স্বামী মো. আরশাদ। এই দুজন মিলে নিয়ন্ত্রণ করতেন মন্ত্রণালয়ের সবকিছু। তাদের মাধ্যমেই কাজের পার্সেন্টেজ নিতেন প্রতিমন্ত্রী। কাকে কাজ দেওয়া যাবে, তা ঠিক করতেন আরশাদ আর বাশার। বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, চট্টগ্রাম বন্দর, পায়রা পোর্টের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নিজেদের সিন্ডিকেটের লোক বসাতেন এই দুজন। তাদের মধ্যে আরশাদ নৌপ্রতিমন্ত্রীর ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত ছিলেন সবার কাছে। মূলত এই আরশাদই প্রতিমন্ত্রীর হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে দিনাজপুরের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্যক্তিগত সহকারী হলেও বাশার এলাকায় কখনো কখনো খোদ খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর চেয়েও বেশি ক্ষমতা দেখাতেন। দিনাজপুরে তার হয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন বাশার।

দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি জানান, জেলার ডিসি, এসপি থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতারা তটস্থ থাকতেন বাশারের ভয়ে। বাশার চাইলেই যে কাউকে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী কাছে নায়ক বা ভিলেন বানাতে পারতেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা বাশার করেননি। নিজের অযোগ্য আত্মীয়স্বজনের দিয়ে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন। যে যত বেশি তার আত্মীয়দের খুশি করতে পারতেন, সেই পদ ক্ষমতাসহ অর্থের মালিক হতেন।

বাশারের যত সম্পদ: স্থানীয় নেতাকর্মী ও বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিজ গ্রাম টেনাসহ আশপাশের গ্রামে নামে-বেনামে ৩০০ বিঘা জমি রয়েছে বাশারের। এছাড়া কালুপীর বাজারের পাশে মসলাবাটি নামক স্থানে ১৫০ বিঘার ওপর পুকুরের সঙ্গে রয়েছে খামারবাড়ি। কালুপীর বাজারে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমি, দোকান ও গোডাউন করেছেন বাশার। পার্শ্ববর্তী উপজেলা পীরগঞ্জের ৫ নম্বর সৈয়দপুর ইউনিয়নে ৯০ বিঘা জমির ওপর আমবাগান, পীরগঞ্জ উপজেলায় কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ৫৮ শতাংশ জমি, সেতাবগঞ্জ বাজারে নিজের নামে এবং আত্মীয়স্বজনের নামে কয়েক কোটি টাকার ১ হাজার ৭৪১ শতাংশ জমি, বিরল স্থলবন্দরের পাশেই ৩৮৬ শতাংশ জমি, দিনাজপুর শহরে শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনের নামে ৫টি প্লট রয়েছে বাশারের। এ ছাড়া ঢাকার লালমাটিয়া, আদাবর, শেখেরটেক, মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটি, বাবর রোড়, হুমায়ুন রোডে রয়েছে ১৩টি ফ্ল্যাট এবং বছিলা ও ঢাকা উদ্যানে ৫ শতাংশ করে অসংখ্য প্লট রয়েছে বাশারের নামে।

টাকা পাচারে খালাতো ভাইয়ের নামে ‘খালাতো এন্টারপ্রাইজ’: মন্ত্রণালয় এবং বাশারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব, নিয়োগ-বাণিজ্য আর মাদকের কারবারের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশেও পাচার করেছেন বাশার। পাচারের দিকটা দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তার অন্যতম সহযোগী খালাতো ভাই রনি। এই রনিকে সবাই ‘খালাতো এন্টারপ্রাইজ’ নামে চেনে। রনিকে দিয়ে ‘খালাতো এন্টারপ্রাইজ’ নামে প্রতিষ্ঠান খুলে বোচাগঞ্জ উপজেলা নিয়ন্ত্রণ করতেন বাশার। তাকে দিয়েই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা নিয়েছিলেন তিনি। এই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আড়ালে প্রতি সপ্তাহে বিদেশে টাকা পাচার করতেন তিনি। এ ছাড়া খালাতো এন্টারপ্রাইজ দিয়ে এলাকার সব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন রনি। চাকরি-বাণিজ্য, বদলি, থানায় প্রভাব বিস্তার, মাদক-বাণিজ্য, সরকারি জমি গ্রাস—এমন কোনো কাজ নেই, যা রনি করতেন না। সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর কাছে যারা বিভিন্ন চাকরির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরির জন্য যেতেন, বাশার তাদের রনির কাছে পাঠাতেন। রনি প্রতিজনের কাজ থেকে ৫ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত টাকা নিতেন।

স্থানীয়রা জানান, কারও যদি কপালে চাকরি লেখা থাকত তাহলে হতো, আর না হলে ওই টাকা আর কখনো ফেরত পাওয়া যেত না। টাকা ফেরত চাইলেই মিথ্যা মামলা আর নির্যাতনের ভয় দেখানো হতো।

এদিকে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে বিদেশে গেলে তার মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের সঙ্গে আত্মগোপনে চলে যান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তার সঙ্গে আত্মগোপনে গেছেন এপিএস বাশার ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরাও। ফলে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অনিয়ম ও লুটপাটের বিষয়ে তাদের মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Header Ad

ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশি নারীদের দিয়ে যৌন ব্যবসা চালানো একটি চক্রের সন্ধান মিলেছে ভারতে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এক কিশোরীসহ অন্তত ২৩ তরুণী বাধ্য হয়ে সেখানে এসব কাজ করছেন। ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। রাজ্যটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওড়িশাটিভি রোববার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তরুণীরা বৃহৎ মানবপাচারের শিকার হয়েছেন। তাদের দৈনিক ২ হাজার রুপি বেতনের কাজের লোভ দেখিয়ে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা শোষণ ও অন্যায়ের শিকার হয়েছেন।

এই যৌনব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকা দালালরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে খদ্দেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যখন কোনো খদ্দের আগ্রহ প্রকাশ করেন তখন তাদের বাংলাদেশি তরুণীদের ছবি পাঠানো হয়। সেখান থেকে যে কোনো একজনকে বেঁছে নেয় তারা। এরপর আগেই অর্থ পরিশোধ করতে হয়। সবশেষে ওই খদ্দেরকে হোটেলের ঠিকানা দেওয়া হয় যেখানে নির্দিষ্ট তরুণী অপেক্ষা করেন।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কোটাক থেকে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে উদ্ধারের পর পুরো বিষয়টি সামনে আসে। ওই কিশোরীকে লিংক রোডের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তদন্ত শুরু হয় কীভাবে বাংলাদেশি তরুণীদের ওড়িশায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া এক যৌনকর্মী জানান, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি এখানে আটকা পড়ে গেছেন। উদ্ধারকৃত ওই যৌনকর্মী জানান, পুরো বিষয়টি পরিচালনা করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রতারণার শিকার এই তরুণীদের কয়েক বছর ধরে আটকে রেখেছে চক্রটি। যারা এরসঙ্গে জড়িত তাদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় যেসব দালাল এই ব্যবসা চালানোয় ভূমিকা রেখেছে তাদের শনাক্ত করতে সক্রিয় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

ভুবনেশ্বরের ডিসিপি পিনাক মিশ্রা ওড়িশাটিভিকে বলেছেন, “আমরা টুইন সিটিতে এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের ওপর দৃষ্টি রাখছে। আমাদের কাছে এসব বিষয়ে পর্যাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য আছে। যারা এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত আছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Header Ad

ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা

ছবি: সংগৃহীত

কনমেবল সাব-২০ ফুটসাল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। পেরুর লিমার ভিলা এল সালভাদর স্পোর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে চাপে রেখে ম্যাচটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।

পেরুর লিমাতে বসেছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ১০ দলের ফুটসাল টুর্নামেন্ট। যদিও ব্রাজিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল। বিপরীতে আর্জেন্টিনা রার্নাসআপ হয়ে। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের চারটিতেই জিতেছিল ব্রাজিল। কিন্তু আর্জেন্টিনা জয় পায় দুইটিতে। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ঠিকই জয় তুলে নেয় আলবিসেলেস্তেরা।

আগামীকাল সোমবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়াও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন প্যারাগুয়েকে একই ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে।

Header Ad

আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন

নায়েব আলী জোয়ারদার এবং তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ারদার ২টি মামলায় ৭ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। অন্যদিকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি ৩টি মামলায় ২০ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. এমরান হোসেন চেীধুরী আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ জামিন আদেশ দেন।

জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান।

জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য নায়ের আলী জোয়ারদারকে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের বাড়ি ও জেলা বিএনপির অফিসে হামলা অগ্নিসংযোগের অভিযোগের মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার দিন রাতে ঝিনাইদহ শহরের আরপপুরের জামতলা এলাকার বাড়ি থেকে র‍্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। তারপর থেকেই তিনি জেলে ছিলেন। ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ করলে বিনাভোটে নায়েব আলী জোয়ারদার এমপি নির্বাচিত হন।

এ দিকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে গত ৬ অক্টোবর সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ২০১৩ সালে জামায়াত নেতা আব্দুস সালাম হত্যা মামলা, জেলা বিএনপি সভাপতি এম এ মজিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও জেলা বিএনপি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, মেডিকেল গ্রাউন্ডে আদালত আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্যকে জামিন দিয়েছেন। দীর্ঘদিন তারা শারীরিকভাবে অসুস্থ বলে আসামির আইনজীবী আদালতকে জানান। তারপরও তাদেরকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ