রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ব্রিফ করছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। রোববার (১১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে করা এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় কিছু বললে পদক্ষেপে নেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের মানুষ যেন ভাবে ভারত আমাদের বন্ধু। এই কাজে দিল্লীও সহযোগিতা করবে ঢাকাকে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্য, সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। তিনি বলেন, এই সরকার বিশেষ কোনো দিকের নয়, যুক্তরাষ্ট্র-চীন-ভারত; দেশের স্বার্থ রক্ষায় সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়।

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে একটা ‘ফায়ার ফাইটিং জব’ চলছে। স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কিছুটা সময় লাগবে। সরকারের মেয়াদ কতদিন, তা তারপর বলা যাবে বলে জানান তিনি।

সাম্প্রতিক আন্দোলন ও সহিংসতায় নিহতদের তালিকার ব্যাপারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। প্রাথমিকভাবে ৪৫০ জনের তালিকা হয়েছে, তবে সরকারে থাকা দুই সমন্বয়কের অধীনে নির্ভুলভাবে এটা করা হবে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা সীমিত রাখা গেছে। আগামীকাল সোমবার তাদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা কথা বলবেন। হামলার সব ঘটনার বিচার হবে বলে দৃঢ় মত ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভের দায়ে আটক বাংলাদেশিদের মুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা দেশটির সরকারপ্রধানের সঙ্গে দুই-একদিনের মধ্যে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার পতনের পর গত বৃহস্প‌তিবার নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। নতুন সরকারের কূটনী‌তির দেখভালের দা‌য়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেনকে।

তৌ‌হিদ হো‌সেন ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০০ সালে ফেব্রুয়ারি এবং ২০০৯ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১২ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত দুই মেয়াদে ফরেন সার্ভিস একা‌ডে‌মির প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তি‌নি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন। ২০০৬ সালে ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ৮ জুলাই পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালের জুনে তৌ‌হিদ হো‌সেন‌কে দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকমিশনার করা হয়।

Header Ad
Header Ad

মহিলা কলেজের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’

মহিলা কলেজের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর আদর্শ সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের ডিজিটাল স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কলেজের ডিজিটাল স্ক্রিনে এটি ভেসে উঠলে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।


স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় জীবননগর সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের ডিজিটাল স্ক্রিনে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা ভেসে ওঠে। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রেজাউল ইসলাম জানান, মাগরিবের নামাজের আগে হঠাৎ স্ক্রিনে লেখাটি ভেসে উঠলে স্থানীয়রা মোবাইল জানায়। পরে বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানাই। খবর পেয়ে পুলিশ স্ক্রিনের সার্ভারটি বন্ধ করে দেন।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ঘটনাটি শুনে কলেজে যাই। সেখানে গিয়ে স্ক্রিনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে বিষয়টা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

আমরা কাউকে ছাড়ব না: সারজিস

সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

হাসিনা ১৬ বছরে হাজার হাজার পরিবারকে উৎখাত করেছে। সে এক দিনে খুনি হাসিনা হয়নি। যাকে টার্গেট করেছে তাকেই মেরেছে সে। আগামীতে কাউকে এমন হতে দেব কি না, তা আমাদের ওপর নির্ভর করবে।

কেউ যদি ভুল পথে হাঁটে তাদেরও পরিণতি একই হবে। আমরা কাউকে ছাড়ব না, তাই বুক টান করে প্রতিবাদ করতে হবে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে খুনি হাসিনার মাধ্যমে নানাভাবে অত্যাচারিত হয়েছে এ দেশের মানুষ। তার ক্ষমতার পিপাসার কাছে জিম্মি ছিল মানুষ, গোপালগঞ্জের কাছেও জিম্মি হয়ে পড়েছিল এ দেশের মানুষ। তাই প্রত্যেকটি মানুষ জীবনের মায়া ত্যাগ করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। হাসিনা খুনির দোসররা মাদরাসার ছাত্রকে দেখলে টার্গেট করে গুলি করত।

তাই ছাত্ররা পাঞ্জাবি-পাজামা না পরে টি-শার্ট গায়ে দিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। শুধু মাদরাসা নয়, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। যারা হাসিনার দোসরদের ভয়ে আন্দোলনে যেতে পারেনি তারা তাদের স্ত্রী-সন্তান এবং স্বজনদের আন্দোলনে যেতে সহযোগিতা করেছে।’

তিনি আরো বলেন, আজকে চাঁদাবাজি হচ্ছে, সিন্ডিকেট হচ্ছে, কারা করছে তাদের কথা কেন বলতে পারছি না। প্রতিটি বাজারে চাঁদাবাজি জন্য পণ্যের দাম বাড়ছে। এতে সরকারকে দোষারোপ করে কোনো লাভ নেই।

সারজিস বলেন, ‘১৫ বছর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ছিল মানুষ, এখনো চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সিন্ডিকেট চলছে। কিন্তু কেউ তাদের নাম নিচ্ছে না। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল নিজেদের সুবিধা নিয়ে ব্যস্ত, কেউ দেশের চিন্তা করছে না।’

আস-সিরাজ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক মুফতি মুহিববুল্লাহর সভাপতিত্বে এ ছাড়া বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লুৎফর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ মাহাদী, ড. আতিক মুজাহিদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ। এরপর শহীদ ১৫ জন পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের অর্থ বিতরণ করেন অতিথিরা। পরে জাগরণী সংগীত অনুষ্ঠিত হয়।

Header Ad
Header Ad

ভ্যাট বাড়ায় কত টাকা বাড়ছে সিগারেটের দাম

ছবিঃ সংগৃহীত

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে তামাকজাত পণ্য সিগারেটও।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।

জারিকৃত নির্দেশনায় সিগারেটের মূল্যস্তর ভেদে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহার এবং মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আদায় করতে বলা হয়েছে। মূলত চলতি অর্থ বছরের শেষ ৬ মাসে রাজস্ব আদায় বাড়াতে ভ্যাট বসানোর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত ওই অধ্যাদেশে সিগারেটের চারটি স্তরে দাম ও শুল্ক উভয়ই বাড়ানো হয়েছে।

নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ টাকা করা হয়েছে। এতে প্রযোজ্য সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে।

এছাড়া মধ্যমস্তরে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে। উচ্চস্তরে ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

অতি উচ্চস্তরের সিগারেটের দাম ১৬০ টাকা থেকে ১৮৫ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৭ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, লাইম স্টোন ও ডলোমাইটে ১০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক বসানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মহিলা কলেজের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’
আমরা কাউকে ছাড়ব না: সারজিস
ভ্যাট বাড়ায় কত টাকা বাড়ছে সিগারেটের দাম
৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে কবরস্থান থেকে তরুণকে উদ্ধার
আবার ভারত থেকে ২৭ হাজার টন চাল আমদানি  
যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে তারা যেন পুরুষ হয়: আমির হামজা
সংখ্যালঘুদের ওপর বেশিরভাগ হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত: পুলিশ প্রতিবেদন  
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন না সাকিব
হাসিনার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই: জানালেন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা  
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের কোনো বিরোধ নেই: নায়েবে আমির
পরিবহনের লাইসেন্স দেবে সেনাবাহিনী: পরিবহন উপদেষ্টা  
হাসিনার আমলে ‘কাঁটা তারে লাশ ঝুলত, এখন পতাকা বৈঠক হয়’
উত্তেজনার মধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের বাঙ্কার নির্মাণ  
দিনাজপুরের বিরামপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা
টাঙ্গাইলে জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানে আহতদের সাথে মতবিনিময় সভা 
মাহফিলে যোগ দিতে সিলেটে মিজানুর রহমান আজহারি
২০০ আসন পেলেও বিএনপি একা সরকার গঠন করবে না: আমীর খসরু  
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণ পেলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশীদের লক্ষ্য করে সীমান্তে গুলি ছুড়েছে বিএসএফ
বসুন্ধরার মালিককে নিজ হাতে কেক খাইয়ে তোপের মুখে শফিক রেহমান