বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সংসদ এলাকায় একটি কক্ষে ২৪ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন পলক

সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে চলে যান। এর পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার একটি কক্ষে আত্মগোপনে ছিলেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দিন মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত পলক ওই এলাকাতেই ছিলেন। এরপর তিনি বিশেষ উপায় অবলম্বন করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে যান। কিন্তু সেখান থেকে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জুনায়েদ আহমেদ পলকের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, সরকারের পতনের আগের দিন স্ত্রী ও সন্তানকে বিদেশে পাঠিয়ে দেন তিনি। অবশ্য তার স্ত্রী একা যেতে চাননি। পলককে সঙ্গে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পালিয়ে গেলে শেখ হাসিনার সঙ্গে বেইমানি করা হবে বলে স্ত্রীকে বোঝান। পরে অবশ্য তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন মনিকা ও তার তিন সন্তান সরকার পতনের একদিন আগেই দেশ ছাড়েন।

পলক ঘনিষ্ঠ আরেকটি সূত্রের দাবি, গত ২ আগস্ট নাটোরে নিজ এলাকায় জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি বক্তব্য দেন পলক। এরপরই তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পদত্যাগের আবেদন নিয়ে যান। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাকে ধমক দেন। মন্ত্রিসভা থেকে একজন পদত্যাগ করলে অন্যরাও পদত্যাগ করবে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে বলে পলককে বোঝান শেখ হাসিনা।

ওই সূত্রের দাবি, জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও পলককে ধমক দিয়েছেন। এসব কারণে সরকার পতনের আগে তিনি দেশ ছেড়ে যেতে পারেননি বলেন জানায় ওই সূত্র।

Header Ad
Header Ad

দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও টেকসই সমাধান না হলে পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। শরণার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস তাদের মধ্যে গভীর হতাশা তৈরি করেছে, যার ফলাফল হিসেবে দেখা যাচ্ছে অপরাধ প্রবণতা ও চরমপন্থায় জড়ানোর প্রবণতা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন’-এর দ্বিতীয় দিনে ‘বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তুচ্যুত জনগণের সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ—রোহিঙ্গা ইস্যু’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, “রোহিঙ্গা সংকট এখন আর কেবল মানবিক বিষয় নয়, এটি একটি জটিল বহুস্তর বিশিষ্ট চ্যালেঞ্জ—যার প্রভাব সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং পরিবেশগত প্রতিটি স্তরেই পড়ছে।”

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা দিন দিন কমে আসছে, যা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলছে। এই অবস্থায়, বাংলাদেশ মনে করে রোহিঙ্গাদের টেকসই ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনই একমাত্র স্থায়ী সমাধান।

জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ড. ইউনূস কাতারসহ ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, “জাতিগত নিধন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতে জবাবদিহি করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরার আস্থা ও সাহস ফিরে আসবে।”

রোহিঙ্গা সংকটে আন্তর্জাতিক মহলের কার্যকর ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “আলোচনা আর আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে নয়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। এখনই সময় কার্যকর উদ্যোগের।”

Header Ad
Header Ad

আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, “আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই। তবে যে সংস্কার দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনটি ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণযোগ্য হবে না।” বুধবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস জানিয়েছেন, দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। “নির্বাচনের বিকল্প নির্বাচনই হতে পারে, অন্য কিছু নয়। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আমরা চাই, তবে সেটা মানুষের জন্য উপকারী হোক।”

তিনি আরও বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন না হওয়ার জন্য নানা শর্ত আরোপ করেছে। “যারা বলছেন, যদি এমন না হয়, তাহলে নির্বাচন হবে না; তাদের এমন কথায় নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে। নির্বাচন অবশ্যই হবে, তবে সময়ের ব্যাপারে আমাদের আশাবাদী হতে হবে।”

মির্জা আব্বাস তারেক রহমানের বর্তমান অবস্থান নিয়েও কথা বলেছেন। “২০ বছর আগে যার সঙ্গে আমরা পরিচিত ছিলাম, আজ তিনি অনেক পরিণত। এখন তার মধ্যে একটি ম্যাচুরিটি এসেছে, যা অনেকেই স্বীকার করছেন,” বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, “যারা দেশের বাইরে থেকে নিন্দা করছেন, তারা আসুন, আমাদের সাথে রাজনীতি করুন। যারা পালিয়ে গেছেন, তাদের কথা শুনে আমাদের কোনো লাভ নেই।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য অভিযোগ করেন, কিছু সোশ্যাল মিডিয়া একটিভিস্ট দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। “এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। জাতির বিবেক এখনও জীবিত, এবং এই ধরনের ক্ষতিকর প্রচার কোনোভাবেই সফল হবে না।”

নির্বাচন ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, “আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা এখন দুর্বল, ধসে পড়েছে। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সংস্কার নিয়ে কাজ করছেন। আমাদের নির্বাচন নিয়ে কোনো ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা যাবে না।”

এছাড়া, সরকার দলের কিছু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মির্জা আব্বাস বলেন, “আওয়ামী লীগের প্রোডাক্ট হিসেবে কিছু ব্যক্তি এখন সরকারী পদে আছেন। তারা আপনার সাফল্যের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, সাবধান থাকতে হবে।”

Header Ad
Header Ad

কাশ্মীরের হামলা ‘সাজানো’ দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের

ছবি: সংগৃহীত

ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে এক ভয়াবহ হামলায় অন্তত ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের অধিকাংশই পর্যটক। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে, পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে এই হামলাকে ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ বা ‘সাজানো’ হামলা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘আরওয়াই নিউজ’-এর প্রতিবেদনে বিশ্লেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, এটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি সরকারের একটি রাজনৈতিক চাল হতে পারে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মোদি সরকার রাজনৈতিক লাভের জন্য এমন হামলা সংগঠিত করতে পারে বলে অতীতে এমন অভিযোগ রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামলার পর ভারতের গণমাধ্যম ও ‘র’-এর সাথে জড়িত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবান্তর অভিযোগ ছড়াতে শুরু করেছে। তাছাড়া, এই হামলাটিকে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

২০১৯ সালে ভারত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার কারণে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপরই বহিরাগতদের আগমনের কারণে কাশ্মিরের জনগণ ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা
আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই: মির্জা আব্বাস
কাশ্মীরের হামলা ‘সাজানো’ দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের
ভাইরাল ভিডিও সমন্বয়ক রুবাইয়ার নয়, দাবি এনসিপি নেতার
স্বৈরাচারের দোসররাই ভাস্কর মানবেন্দ্রর বাড়িতে আগুন দিয়েছে: রিজভী
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে লাগবে না অনুমতি
সিলেট টেস্ট চলাকালে হার্ট অ্যাটাক, বিসিবি কর্মকর্তার মৃত্যু
আমাকে দেখলেই মানুষ বলে ‘শাকিব খানের বউ’: টিকটকার রিমু
ভয়েস অফ আমেরিকা বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা আটকে দিলেন মার্কিন বিচারক
এসএসসি পাসেই বিমানে চাকরি, নেবে ৬৬২ জন
সৌদি সফর কাটছাঁট করে দেশে ফিরেই কঠোর হুঁশিয়ারি মোদির (ভিডিও)
কুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চলছে আলোচনা
বিসিবির চাকরি ছাড়ছেন এলিট প্যানেলের আম্পায়ার সৈকত
ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ যুবকের মৃত্যু
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা বাতিল
‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন’ এর প্রতিবেদন বাতিল চান আজহারী
রাজধানীতে বড় সমাবেশ ডেকেছে বিএনপি
সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাজমুলকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি
কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলা, নিহত ২৬
পালিয়ে গিয়েও থেমে নেই আড্ডা, কলকাতায় দেখা মিলল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের