আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ৫৮ জেলায় সেনাবাহিনীর ২০৬ ক্যাম্প
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ৫৮ জেলায় সেনাবাহিনীর ২০৬ ক্যাম্প। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার ২৯টি থানাসহ দেশজুড়ে ৪১৭টি থানায় সেনা মোতায়নের কথা জানিয়েছে আইএসপিআর। জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় দেশের ৫৮ জেলায় ২০৬টি ক্যাম্প স্থাপন করে সেনাবাহিনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর জানিয়েছে।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলা ও লুটপাট প্রতিহতের কথা জানিয়ে শুক্রবার রাতে আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ঢাকার ২৯টি থানাসহ দেশজুড়ে ৪১৭টি থানায় ইতোমধ্যে সেনা মোতায়ন করা হয়েছে।
“তারা পুলিশের হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযান ত্বরান্বিত করবে। সেইসঙ্গে বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মহাখালী ডেটা সেন্টারসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।”
শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার দিনই দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সদস্যদের অনেকে হতাহত হন। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, আওয়ামী লীগ অফিস ও সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে আক্রমণ চালানোর খবর আসে।
থানায় হামলার কারণে দেশের অনেক থানা পুলিশশূন্য হয়ে পড়ে। সড়কে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় ভেঙে পড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা। নিরাপত্তা শঙ্কায় নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান পুলিশ সদস্যরা।
সরকারপতন ও অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বগ্রহণের পর ভেঙে পড়া পুলিশি ব্যবস্থা পুনর্গঠনে কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। থানার নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যরা কাজ করছে, সঙ্গে দেখা গেছে আনসার সদস্যদের।
আইএসপিআর জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দুটি দল জামালপুর ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করা কয়েদিদের আটকে দেওয়ার পাশাপাশি কারাগারের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সুরক্ষিত করেছে।
“সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নোয়াখালী জেলার একটি মন্দিরে দুষ্কৃতকারীদের আক্রমণ সেনাবাহিনী প্রতিহত করেছে।”
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও সেনাসদস্য মোতায়েন করে টহল জোরদারের কথা জানানো হয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে গুজবে আতঙ্কিত না হয়ে সেনা ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।